সূচীপত্র
মূত্রনালীতে মূলত পাথর হয় না-প্রেসারের রাস্তা দিয়ে কিডনির পাথর বের হওয়ার সময়ই মূলত মূত্রনালী ব্যাথা করে এবং অপারেশন করে বের করতে হয় – মূত্রনালীর পাথর অপারেশন খরচ বাংলাদেশ
প্রেসাবের রাস্তায় পাথর কি? – মূত্রগ্রন্থি বা কিডনির মধ্যে পাথরের টুকরো সৃষ্টি হলে তাকে বলে মূত্র পাথরি। এই পাথর কখনও মূত্র কোষ, কখনও মূত্রবাহী নালীতে আবার কখনও বা মূত্রথলীতে এসে জমা হয়। তারপর প্রস্রাবের সঙ্গে আর বের হতে পারে না বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। এই পাথর কণা কিডনি, মূত্রনালী বা মূত্রথলীতে এসে প্রস্রাব অবরুদ্ধ করে ও অত্যন্ত যন্ত্রণা হয়।
প্রস্রাবের রাস্তায় পাথর হলে করণীয় কি? প্রস্রাবে কোনো নির্দিষ্ট খনিজের মাত্রা বেশি হলে বৃক্কে এই পাথরগুলো জমতে থাকে। আর এই জটিলতায় দুটি প্রধান কারণ হল পানিশূন্যতা ও অতিরিক্ত খাওয়া। শরীরে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করা না হলে প্রস্রাব ঘন হয়। যা থেকে বিশেষ কিছু খনিজের মাত্রা বেড়ে বৃক্কে পাথর হতে শুরু করে। কিডনি জনিত সমস্যার কারণেই মূলত কিডনির পাথর প্রেসাবের রাস্তা দিয়ে বের হওয়ার সময়ই লিঙ্গে বা প্রেসাবের রাস্তায় পাথর জমা বা পাথর নামে পরিচিত।
মূত্রথলিতে পাথর কেন হয়? মূত্রথলি হলো মূত্রনালীর ভেতরের আস্থির গঠনবিশিষ্ট স্ট্রাকচার। মূত্রথলির মধ্যে মূত্রনালী অবস্থিত থাকে এবং পাথর হওয়া হলে এটি মূত্রনালীর পাথে জমা হয়ে থাকে। পাথর মূত্রথলিতে গঠিত হয় কারণ মূত্রনালীতে অসমস্যা হলে মূত্রের রক্তপাত সঠিকভাবে হতে পারে না বা সম্পূর্ণরূপে বাহুল্য করতে পারে না। সাধারণত মূত্রনালী থেকে বাইরে পাথর পাস হলে এটি মূত্রনালীতে আঘাত দেয় এবং জমে অবাধ্য করে দেয়। পাথর হওয়ার কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট বিষয়ে বিজ্ঞানগত সম্পর্কে এখনও পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়নি। কিন্তু মূত্রনালীতে পাথর গঠনের সাধারণ কারণগুলি এইভাবে মনে করা হয়- খাদ্য ও পানির পরিমাণ ও মান সম্পর্কে অস্বাভাবিকতা: অন্যান্য কারণের মধ্যে পাথর গঠনের একটি প্রধান কারণ হলো খাদ্য ও পানির পরিমাণ ও মানের অসমমত্ব।
প্রচুর প্রোটিন, অক্সালেট, ক্যালসিয়াম বা সিস্টিন সম্মত খাবার সমৃদ্ধ খাবার প্রচুর রক্তে মূত্রথলিতে উচ্চ পরিমাণে মূত্রসংক্রমণ করে পাথর গঠন করতে পারে। অস্বাভাবিক ক্যালসিয়াম সংক্রমণ: মূত্রনালীতে ক্যালসিয়াম সংক্রমণ হলে পাথর গঠন হতে পারে। এটি হলো অন্য একটি প্রমুখ কারণ যা মূত্রনালীর পাথরের উত্পাদনে ভূমিকা পালন করতে পারে। সাধারণত এই কারণগুলি একসাথে কার্যকর হয়ে পাথর গঠনের প্রক্রিয়াতে যোগাযোগ করে। কিছু মানসিক ও আন্তর্দ্রবিষয়গুলির প্রভাবেও পাথর গঠনের ক্ষেত্রে কিছু প্রভাব হতে পারে, কিন্তু এগুলি পর্যাপ্তভাবে সমর্থিত নয়।
মূত্রনালীর পাথর দূর করার উপায় কি? । কিডনি পাথর অপারেশন খরচ কত
বাংলাদেশে হাসপাতাল ভেদে মূত্রথলি বা নালীর পথর বের করতে বা অপারেশন খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে।
সাধারণত এই কারণগুলি একসাথে কার্যকর হয়ে পাথর গঠনের প্রক্রিয়াতে যোগাযোগ করে। কিছু মানসিক ও আন্তর্দ্রবিষয়গুলির প্রভাবেও পাথর গঠনের ক্ষেত্রে কিছু প্রভাব হতে পারে, কিন্তু এগুলি পর্যাপ্তভাবে সমর্থিত নয়। মূত্রথলির পাথর গঠনের কারণগুলি বিভিন্ন কারণে মঞ্চিত হতে পারে এবং এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ভিন্ন হতে পারে। পাথর গঠনের বিস্তারিত কারণ জানার জন্য ব্যক্তিগত চিকিৎসা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
মূত্রনালীর পাথর দূর করার জন্য কিছু উপায় আছে, কিন্তু এগুলো মেডিকেল পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজন। নিম্নলিখিত কিছু সাধারণ পদক্ষেপ আপনাকে সাহায্য করতে পারে
- পানি পান করুন: প্রতিদিন যথায়থ পরিমাণে পানি পান করা উচিত, যাতে মূত্রনালীর পাথর গলে চলে আসতে পারে। পানিতে নিম্নলিখিত উপাদানগুলি যুক্ত করতে পারেন:
- লেমন জুস: লেমন জুসের অসিডিক প্রকৃতি মূত্রনালীর পাথর দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
পোটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: সবুজ শাকসবজি, ফল, দুধ, মটরশুঁটি, নাটকটা, কেলা, আদা, ঘাস, মাছ ইত্যাদি পোটাসিয়ামের উচ্চ স্তর থাকে এবং মূত্রনালীর পাথর ত্বক মসৃণ করতে সাহায্য করতে পারে। - পরিবর্তন করা খাদ্য পদার্থ: মূত্রনালীর পাথর থাকলে আপনাকে ক্ষেত্রে মত্ত খাবার পরিবর্তন করা উচিত হতে পারে। ক্যালসিয়াম ও অক্সলেট সমৃদ্ধ খাদ্য সীমাবদ্ধতা করা উচিত, যেমন পালং শাক, শালগম, ছাইড়া শাক, স্পিনাচ, চাউল, গম, ডাল, ডাইটারি পণ্য ইত্যাদি এই সামগ্রী থাকলে আপনার মূত্রনালীর পাথর গলে পারে আরামে চলে যাবে।
- ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম মূত্রনালীর পাথর গলে সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে। ব্যায়াম করে দেহের দ্রুত পানি হারানো হয় এবং মূত্রনালীর পাথর দূর করতে সাহায্য করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসম্পর্কী সমস্যা থাকলে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করুন।সম্ভবত, মূত্রনালীর পাথর সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসা পেতে আপনাকে নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
মূত্রনালীতে পাথর হওয়ার লক্ষণ কি?
ব্যাথা বা স্পষ্ট প্রমাণে মূত্রপাথে ব্যাথা: মূত্রনালীতে পাথর থাকলে ব্যাথা অনুভব করতে পারেন, যা হাঁচটে থাকতে পারে এবং মূত্রপাথের পর্যায়ে ব্যাথা অনুভব করতে পারেন। মূত্রনালীতে পাথর থাকলে মূত্রপাথে অস্বাভাবিক অনুভব হতে পারে, যেমন আতঙ্কিত বা গোলাপোকার অনুভব। পাথর থাকলে মূত্রপাথ অনিয়মিত হতে পারে। আপনি মূত্রপাথে সস্তানি অনুভব করতে পারেন বা প্রচুর পানি স্নান বা মূত্রপাথে অভ্যন্তরীণ বাণী অনুভব করতে পারেন। পাথর থাকলে মূত্র রঙে পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। সাদা, গ্রে বা গাঢ় রঙের মূত্র দেখতে হতে পারে। মূত্রনালীতে পাথর হলে মূত্র সম্পূর্ণরূপে বাহুল্য করা যায় না এবং মূত্রনালীর কোন বিন্দুতে অবাধ্যতা অনুভব করা যায়। এই লক্ষণগুলি মূত্রনালীতে পাথর হলে দেখা যেতে পারে। তবে, এই লক্ষণগুলি আপনার শুধুমাত্র পাথর থাকলেই নয় বরং অন্যান্য সমস্যার সাথে সংযুক্তও হতে পারে। যদি আপনি মূত্রনালীতে এই লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তাহলে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করার জন্য সময় নেয়া উচিত।