জাতীয় সঞ্চয়পত্র কেনাবেচার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২০ জুলাই, ২০২২ তারিখে নতুন নিয়ম জারি করেছে। এবং সার্কুলার দিয়ে নতুন এই নিয়ম অনুসরণ করার জন্য সকল ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যিনি সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, তাঁর আবেদন ইস্যু অফিস কর্তৃক গ্রহণের পর উক্ত তারিখ থেকে পরবর্তী ০১ (এক) কর্মদিবসের মধ্যেই ক্রেতার দাখিলকৃত চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য উপস্থাপন করতে হবে।
চেক নিকাশ হওয়ার তারিখেই গ্রাহকের অনুকূলে সংশ্লিষ্ট ইন্সট্রুমেন্ট ইস্যু করতে হবে। এ ছাড়া গ্রাহক কর্তৃক ডেবিট অথরিটির মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য আবেদন করা হলে, গ্রাহকের হিসাব ডেবিট করার তারিখ এই গ্রাহকের অনুকূলের সংশ্লিষ্ট ইন্সট্রুমেন্ট ইস্যু করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরো নির্দেশনা দিয়েছে যে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিক্রীত সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও মেয়াদ পূর্তিতে আসল বা মূল অর্থ প্রদেয় হওয়ার তারিখেই ইন্টিমেশন প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
সঞ্চয়পত্র ক্রয়-পরবর্তী গ্রাহকের যেকোনো আবেদন (যেমন—নমিনি পরিবর্তন, হিসাব নম্বর পরিবর্তন, মোবাইল নম্বর পরিবর্তন, ইএফটিসংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদি) গ্রহণের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন জেলা বা ব্যুরো সঞ্চয় অফিস ও জাতীয় সঞ্চয় বিশেষ ব্যুরোর দায়িত্বপ্রাপ্ত লিংক ব্যাংক, অফিস অথবা ব্যুরোর গ্রাহকদের চেক যথাসময়ে ক্লিয়ারিং করে সংশ্লিষ্ট অফিসকে অবহিত করবে মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে।
এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র কেনার নিমিত্তে ক্লিয়ারিংয়ের জন্য উপস্থাপিত চেক যথোপযুক্ত কারণ ছাড়া ফেরত দেওয়া যাবে না। গ্রাহকের অনুকূলে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ইন্সট্রাকশনের মাধ্যমে পাঠানো সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল বা মূল ফেরত দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক আরো বলেছে, সঞ্চয়পত্র বিক্রয়কালে ইস্যুকারী ব্যাংক বা শাখা কর্তৃক ওই ব্যাংকে বা শাখায় গ্রাহককে হিসাব খোলার জন্য বাধ্য করা যাবে না।