সূচীপত্র
সর্বজনীন পেনশন চাঁদা আপনি মোবাইলে পরিশোধ করতে পারবেন- ক্রমান্বয়ে হয়তো ইউজার আইডি বা এনআইডি ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপ হতেও পরিশোধের ব্যবস্থা চালু হবে – সর্বজনীন পেনশন চালুর নিয়ম ২০২৪
আমার বয়স ৪৮ আমি কি পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবো? –হ্যাঁ, পারবেন। ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। ৫০-৬০ অর্থাৎ এই ১০ বছর ন্যূনতম চাঁদা পরিশোধ করলে পেনশন পাবেন। ১৮ (আঠারো) বৎসর বা তদূর্ধ্ব বয়স হইতে ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সকল বাংলাদেশি নাগরিক তাহাদের জন্য প্রযোজ্য কোনো স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করিতে পারিবেন।
নাগরিকের বয়স ৫০ উর্ধ্ব হলেও কি নিবন্ধন করা যাবে? হ্যাঁ, বিশেষ বিবেচনায় ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর ঊর্ধ্ব বয়সের নাগরিকগণও স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন এবং সেইক্ষেত্রে স্কিমে অংশগ্রহণের তারিখ হইতে নিরবচ্ছিন্ন ১০ (দশ) বৎসর চাঁদা প্রদান শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হইবেন সেই বয়স হইতে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হইবেন।
নমিনিও কি আজীন পেনশন পাবেন? না। পেনশনধারীরা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগপর্যন্ত পেনশন–সুবিধা ভোগ করবেন। নিবন্ধিত চাঁদা জমাকারী পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে জমাকারীর নমিনি বাকি সময়কালের (মূল জমাকারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন।
অনলাইনে আজই আপনার সর্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন করে ভবিষ্যত নিশ্চিত করুন / স্মার্টফোন ব্যবহার করেও পেনশনের আবেদন করা যাবে
মোবাইলেই আপনি জমাকৃত অর্থ অথবা মুনাফা চেক করতে পারবেন।
Caption: Click and Apply for upension
সর্বজনীন পেনশন চালুর প্রক্রিয়া বা ধাপ সমূহ ২০২৪ । পেনশন রেজিস্ট্রেশন করে যেভাবে চাঁদা জমা দিবেন।
- ‘ইউপেনশন‘ ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। ‘আমি সম্মত আছি’ নামে ক্লিক করতে হবে।
- রেজিস্ট্রেশন করুন পেইজে আবেদনকারীকে প্রথমে ‘প্যাকেজ/স্কিম’ নির্বাচন করতে হবে। পর্যায়ক্রমে ১০, ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ই–মেইলের তথ্য দিতে হবে। ক্যাপচা এন্ট্রি করে পরবর্তী ধাপ ক্লিক করলেই মোবাইল নম্বর ও ই–মেইলে একটি ওটিপি আসবে। ওটিপি লিখে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
- ব্যক্তিগত তথ্য এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিলে অন্যান্য তথ্য যেমন- ছবি, বাংলা ও ইংরেজি নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা অটো চলে আসবে। বার্ষিক আয়ের সম্ভাব্য পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে এবং নিজের পেশা, বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম সিলেক্ট করতে হবে।
- স্কিম তথ্য-মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের সময় বেছে নিতে হবে। এখানে চাঁদা পরিশোধের জন্য মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক তিনটি অপশন থাকবে।
- ব্যাংক তথ্য -ব্যাংক হিসাবের নাম ও নম্বর, হিসাবের ধরন (সঞ্চয়ী অথবা চলতি), ব্যাংকের নাম ও শাখার নাম এবং রাউটিং নম্বর দিতে হবে।
- নমিনির তথ্য-নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ উল্লেখ করতে হবে। নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক , প্রাপ্যতার হার ইত্যাদি উল্লেখ করে দিতে হবে।
- সম্পূর্ণ ফর্ম- একনজড়ে তথ্য দেখে আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন এবং আমি নিশ্চিত করছি-তে টিক দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন।
- পেমেন্ট – আপনি পেমেন্ট করুন এ ক্লিক করুন এবং সোনালী ব্যাংক, কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং মেন্যুর মাধ্যমে পেমেন্ট ইনফো দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন এবং পেমেন্ট সম্পন্ন হলে রিসিড পাবেন সেটি ডাউনলোড করুন।
- ইউজার তৈরি- এ ক্লিক করে আপনি অটো প্রাপ্ত ইউজার আইডি’র নিচের বক্সে পাসওয়ার্ড দুইবার ইনপুট করে ইউজার তৈরি করুন। ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করুন।
বিকাশ বা রকেটেও পেমেন্ট করা যাবে?
হ্যাঁ। যাবে। আপনি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমেও পেমেন্ট করতে পারবেন। বিকাশ রকেট, নগদ, ডেবিট কার্ড বা সোনালী ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে সহজেই অনলাইনে ইউপেনশন ওয়েবসাইটে লগিনে মাধ্যমে পেমেন্ট অগ্রিম বা বকেয়া থাকলে পেমেন্ট করতে পারেন। পেমেন্ট করার পর রিসিডও পেয়ে যাবেন এবং তা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করবেন। যদিও পেমেন্টের সকল তথ্য অনলাইনে সংরক্ষণ থাকবে। ওয়েবসাইটটি মোবাইল দিয়েও ব্যবহার করা যাবে এবং ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি লগিন করে তথ্য দেখতে পারবেন। দ্রুত সময়েই অ্যাপও চলে আসবে আশা করা যায়।
Universal Pension User Registration | ইউজার রেজিস্ট্রেশন নিয়ম দেখুন: ভিডিও
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর নিয়ম ২০২৩ । পেনশন স্কিম নিয়ে যে ১০টি প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখুন
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। সর্বজনীন পেনশন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
বিকাশ বা নগদে সর্বজনীন পেনশন চাদা
জমা দেওয়ার নিয়ম
অনলাইনে লগিন করে পেমেন্ট গেইট ওয়েতে গেলেই বিকাশ নগদ অপশন চলে আসে।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। সর্বজনীন পেনশন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।