সূচীপত্র
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর বিধান অনুসরণ এবং নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্ৰদান নির্দেশনা– সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩
ভোট গ্রহণ কবে হবে? নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ২৫ মে ২০২৩ তারিখে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, ১২ জুন ২০২৩ তারিখে খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং ২১ জুন ২০২৩ তারিখে রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে (সময়সূচির প্রজ্ঞাপন সংযুক্ত)। উল্লিখিত নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে (অনুলিপি সংযুক্ত)। নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, আধাস্বায়ত্ত্বশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হতে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান হতেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে।
যে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের কি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে? হ্যাঁ। কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্য হতে কারও কারও নির্বাচনে অন্যান্য দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন হতে পারে। সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণের মধ্য হতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংস্থার স্থাপনা/অঙ্গন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
নির্বাচন কালীন বদলি নির্দেশনা কি? গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৩ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের যে কোন ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত হলে উক্ত ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত দায়িত্ব পালন বা উক্তরূপ সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। উক্ত বিধিমালার বিধি ৮৯ অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর হলে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার পর ১৫ (পনের) দিন সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সাথে পরামর্শ ব্যতীত বিধি উল্লিখিত কর্মকর্তাগণকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোন ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তাঁর উক্তরূপ নিয়োগের পর নির্বাচনি দায়িত্ব হতে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সূচি ২০২৩ / খুলনা ও বরিশাল নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে?
গাজীপুর ২৫ মে ২০২৩ ভোট গ্রহণ এবং খুলনা ও বরিশাল ১২ জুন ২০২৩ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে
বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের সময়সূচি ও নির্দেশনা
নির্বাচন দায়িত্ব ২০২৩ । নির্বাচন কেন্দ্রে কার কি কি দায়িত্বে থাকে?
- প্রিজাইডিং অফিসার: সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত /আধা- স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেনীর /প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা, ক্ষেত্র বিশেষে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা; কলেজ মাদ্রাসা শিক্ষক, ব্যাংক বীমা, কর্পোরেশন, উচ্চ বিদ্যালয় নির্ভরযোগ্য যে কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হতে দায়িত্ব দেয়া হয়।
- সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার: সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত /আধা- স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা, কলেজ, রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংক, বীমা ও মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক/ প্রধান শিক্ষকদের বানানো হয়।
- পোলিং অফিসার: সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত /আধা- স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের তৃতীয়/চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের, কলেজ, রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংক, বীমা ও মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের এ দায়িত্ব দেয়া হয়।
নির্বাচনের কাজে নিয়োজিদের উক্ত সময়ে কি বদলি করা যাবে না?
না। নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ তাঁদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি মোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে অতীতের ন্যায় সহায়তা প্রদান করবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গকে অব্যাহতি না দেয়া পর্যন্ত যাতে তাঁদের অন্যত্র বদলি করা বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনি দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোন কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/ প্রতিষ্ঠান/সংস্থাসমূহকে নির্দেশ প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রে সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব বন্টন প্রক্রিয়া।