সূচীপত্র
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালনা সক্ষমতা শক্তিশালীকরন প্রকল্প (জুলাই ২০২০ হতে জুন ২০২৫ পর্যন্ত)– Bangladesh Digital Survey
ডিজিটাল সার্ভেয়ার কি? ডিজিটাল/ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে স্থলজ নির্ণয় করার কৌশল এবং বিজ্ঞান, অর্থাৎ বিন্দুর ত্রিমাত্রিক অবস্থান এবং তাদের মধ্যকার দূরত্ব এবং কোণ। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ডিজিটাল জরিপ: চিত্র-ভিত্তিক রেকর্ডিং এবং ডকুমেন্টেশন পদ্ধতি।
জরিপ কী? ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে বিভিন্ন বস্তুর প্রকৃত অবস্থান আপেক্ষিক উচ্চতা দিক, রৈখিক ও কৌনিক দূরত্ব পরিমাপের মাধ্যমে একটি স্কেল অনুসরণ করে সমতল কাগজে উপস্থাপন করার পদ্ধতিকে জরিপ বলে। জরিপের মাধ্যমে মূলত জমির বা ভূমি প্রকৃত মালিক চিহ্নিত করা হয়।
সাভার ডিজিটাল জরিপ- ২০০৯-১০ অর্থ বছরে আধুনিক জরিপ যন্ত্রপাতি (জিপিএস, ইটিএস, ডাটা রেকর্ডার, কম্পিউটার, ম্যাপ প্রসেসিং সফটওয়্যার, প্লটার, প্রিন্টার ইত্যাদি)-এর সাহায্যে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ৫টি মৌজার (জিঞ্জিরা, আকরান, খাগান, কলমা ও আউকপাড়া) ডিজিটাল পদ্ধতিতে নক্সা ও খতিয়ান প্রণয়নের জন্য একটি পাইলট কর্মসূচী শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে উক্ত ৫টি মৌজার ডিজিটাল ডাটা সংগ্রহ শেষে সংগৃহীত ডাটা কম্পিউটার ও ম্যাপ প্রসেসিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে প্লটারের সাহায্যে ৫টি মৌজার ডিজিটাল ম্যাপ মুদ্রণের কাজ শেষ হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রস্ত্ততকরণ – ২০০৯-১০ অর্থ বছরে আন্তর্জাতিক সীমানার বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ সেক্টরের ৭১৭ টি মেইন পিলার, ৭২৬২টি সাব-সিডিয়ারী পিলার, ২০১৭টি রেফারেন্স পিলার, বাংলাদেশ-আসাম সেক্টরের ১৩২টি মেইন পিলার, ৯৬৩টি সাব-সিডিয়ারী পিলার, ১৫৪টি রেফারেন্স পিলার, ১৯৫০টি টি-সেপ্ড পিলার, বাংলাদেশ-মেঘালয় সেক্টরের ২৬৭টি মেইন পিলার, ২৮৭২টি সাব-সিডিয়ারী পিলার, ১৭০টি রেফারেন্স পিলার, ৪৩২২টি টি-সেপ্ড পিলার, বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সেক্টরের ৫০৫টি মেইন পিলার, ২০৩৪৭টি সাব-সিডিয়ারী পিলার, ৮১৮টি রেফারেন্স পিলারসহ সর্বমোট ৪২,৩২৩টি সীমানা পিলারের ডাটা এন্ট্রির কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
ভূমি জরিপ কখন হবে ২০২৩ । ডিজিটাল রেকর্ড রুম বাংলাদেশ । বিডিএস জরিপ ২০২৩
বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভের পর আর কোনো জরিপের প্রয়োজন নেই
Caption: Digital Land Survey Manual pdf
New Digital Land Survey । নতুন ডিজিটাল জরিপে আপনার করণীয় দেখুন
- নতুন BDS জরিপ চলাকালে কোন আপত্তি থাকলে জরিপ অফিসে ২৮ ধারা মোতাবেক মামলা করতে হবে।
- সেখানে যদি না পান তাহলে জরিপের খসড়া প্রকাশ হলে ১মাসের মধ্যে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে ৩০ ধারা মোতাবেক মামলা দিতে হবে।
- সেখানে যদি হেরে যান তাহলে আবার ১মাসের মধ্যে ৩১ধারা মোতাবেক আপিল করতে হবে।
- সেখানে না পেলে আবার ঢাকা সাতরাস্তা হেড অফিসে গিয়ে ৪১ ধারা মোতাবেক মামলা করতে হবে।
- সর্বশেষ তবুও যদি না পান। তাহলে রেকর্ড গেজেট প্রকাশের পর ট্রাইবুনালে মামলা দিতে হবে।
বিডিএস সার্ভের পর কি আবারও সার্ভে হবে?
না। বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপের মূল উদ্দেশ্য অল্প সময়ে পুরো বাংলাদেশে ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে তথা ভূসম্পদ জরিপ শেষ করা। এর পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে মাঠে গিয়ে জরিপের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে নিয়ে আসা। এ ছাড়া কোনো এলাকায় প্রাকৃতিক কারণে বড় ধরনের ভূমির বিচ্যুতি না ঘটলে রিভিশনাল সার্ভের প্রয়োজনীয়তাও থাকবে না ডিজিটাল ম্যাপ পার্টিশনের সুবিধার জন্য। ডিজিটাল জরিপ একটি চূড়ান্ত জরিপ হিসেবে পরিগণিত হবে।