সূচীপত্র
২০১৫ সালে ১৪-১৫ হাজার টাকা বেতনে সংসার চালানো কঠিন ছিল, বিশেষ করে শহর এলাকায়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সেই সময় বেশ চড়া ছিল এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়ে গিয়েছিল-তবুও সংসার চালানো যেত কিন্তু বর্তমানে ঐ বেতনে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে– বাজার দর ২০১৫
সরকারি বেসরকারি চাকরিতে বেতন ছিল ১৪-১৫ হাজার? হ্যাঁ। নিম্নগ্রেডের বেতন তেমনই ছিল। চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেশ বেশি ছিল। বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, চিকিৎসা খরচ, শিক্ষা খরচ ইত্যাদিও ছিল উল্লেখযোগ্য। ছোট পরিবার হলেও ১৪-১৫ হাজার টাকা আয়ে সংসার চালানো বেশ কঠিন ছিল। বিশেষ করে যাদের শহরে বসবাস করতে হতো, তাদের জন্য এই অঙ্ক দিয়ে জীবনধারণ করা কষ্টসাধ্য ছিল। যদি ২০১৫ সালে ১৪-১৫ হাজার টাকা আয়ে সংসার চালাতে হত, তাহলে হয়তো অনেক কিছু ত্যাগ করতে হত, যেমন – ভালো মানের খাবার, ভালো মানের পোশাক, বিনোদন ইত্যাদি। সীমিত আয়ে জীবনধারণের জন্য অনেক হিসাব করে চলতে হত। আজকের দিনে, দ্রব্যমূল্যের আরো ঊর্ধ্বগতির কারণে ১৪-১৫ হাজার টাকা আয়ে সংসার চালানো আরো কঠিন। যারা এখনো এই বেতনে সংসার চালাচ্ছেন, তারা সম্ভবত অনেক কষ্ট করে চলছেন। যদি আপনার ২০১৫ সালের বাজার দর এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
চাল ডালের দাম ২০১৫ কত ছিল? ২০১৫ সালে বাংলাদেশে চাল ও ডালের দাম বাজারের পরিস্থিতি ও স্থানভেদে ভিন্ন ছিল। সাধারণভাবে, মোটা চালের দাম কেজি প্রতি প্রায় ৩৫-৪০ টাকা, মাঝারি মানের চালের দাম ৪০-৪৫ টাকা এবং সরু চালের দাম ৪৫-৫৫ টাকা ছিল। ডালের দামও স্থান ও প্রকারভেদে ভিন্ন ছিল, যেমন মসুর ডাল (দেশি) কেজি প্রতি প্রায় ১০০-১২০ টাকা এবং (import করা) ১২০-১৪০ টাকা ছিল। তবে, কিছু কিছু স্থানে দাম আরও বেশি বা কম হতে দেখা গেছে। ২০১৫ সালের শুরুতে, চালের দাম বেশ স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম তুলনামূলকভাবে কম ছিল। সরু চালের দাম একটু বেশি ছিল, তবে তাও বাজারের স্বাভাবিক সীমার মধ্যে ছিল। ডালের দাম চালের চেয়ে একটু বেশি ছিল। মসুর ডাল, মুগ ডাল, এবং অন্যান্য ডালের দাম স্থানভেদে ভিন্ন ছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, দাম তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল, তবে সামগ্রিকভাবে, ডালের দাম স্বাভাবিক ছিল। বিভিন্ন কারণের উপর চাল ও যদি কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে এবং যোগান কম থাকে, তাহলে দাম বৃদ্ধি পায়। পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেলে, পণ্যের দামেও তার প্রভাব পড়ে। সরকারের বিভিন্ন নীতি, যেমন – শুল্ক, ভর্তুকি ইত্যাদি, পণ্যের দামে প্রভাব ফেলতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে, স্থানীয় বাজারেও তার প্রভাব পড়তে পারে। যদি আপনি কোনো নির্দিষ্ট এলাকার বা নির্দিষ্ট ধরণের চাল বা ডালের দাম জানতে চান, তাহলে সেই অনুযায়ী অনুসন্ধান করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে কি ১৪-১৫ হাজার টাকায় সংসার চালানো যায়? না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৪-১৫ হাজার টাকায় সংসার চালানো বেশ কঠিন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে, এই সীমিত আয়ে জীবনযাত্রার মৌলিক চাহিদা পূরণ করাও বেশ কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে শহর এলাকায় যেখানে বাড়ি ভাড়া, পরিবহন খরচ, এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ অনেক বেশি, সেখানে এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। বর্তমান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, শাকসবজি, তেল, চাল, ডাল সহ প্রায় সকল পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান কমে গেছে। অনেকে ধার দেনা করে চলছেন, আবার কেউ কেউ জমানো টাকা খরচ করছেন। বিশেষ করে, শহর এলাকায় বাড়ি ভাড়া অনেক বেশি, যা আয়ের একটি বড় অংশ কেড়ে নেয়। এছাড়াও, চিকিৎসা, শিক্ষা, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতে খরচও অনেক বেশি। তাই, ১৪-১৫ হাজার টাকায় সংসার চালানো বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ কঠিন।
সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি ২০২৫ / ১০ বছরে বেতন ভাতাদি দ্বিগুন হওয়া উচিত ছিল
নিম্ন গ্রেডে সরকারি কর্মচারীদের মাসিক বেতন কত টাকা? জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন গ্রেড (২০তম গ্রেড) কর্মচারীর মাসিক বেতন ৮,২৫০ টাকা। এই বেতন গ্রেড ও অন্যান্য ভাতার ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। জাতীয় বেতন স্কেলে কর্মচারীদের ২০টি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে, যেখানে ২০তম গ্রেড সর্বনিম্ন এবং ১ম গ্রেড সর্বোচ্চ। ২০তম গ্রেডের মূল বেতন ৮,২৫০ টাকা, তবে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, এবং অন্যান্য ভাতাও এর সাথে যোগ হয়। মোট বেতন ১৫-১৭ হাজার টাকা মাত্র।
Caption: Bazar Dor 2015
নিম্নগ্রেডে বেতন ভাতাদি ২০২৫ । ঢাকা শহরে ২০তম গ্রেডের একজন কর্মচারীর বেতন কত?
- ঢাকা শহরে ২০তম গ্রেডের একজন কর্মচারীর বেতন: মূল বেতন: ৮,২৫০ টাকা
- বাড়ি ভাড়া ভাতা (মূল বেতনের ৬৫%): ৫,৬০০ টাকা (আনুমানিক)
- চিকিৎসা ভাতা: ১,৫০০ টাকা
- অন্যান্য ভাতা: (যেমন যাতায়াত ভাতা, ইত্যাদি, যা স্থান ও কর্মস্থলের উপর নির্ভরশীল)
- এই হিসাব থেকে বোঝা যায়, ২০তম গ্রেডের একজন কর্মচারীর মোট বেতন ৮,২৫০ টাকার বেশি হবে, যা স্থান ও অন্যান্য ভাতার উপর নির্ভর করে।
- সব মিলিয়ে ১৬-১৮ হাজার টাকা মাসিক বেতন পান তারা।
বর্তমানে ঢাকা শহরে একটা সংসার চালাতে সর্বনিম্ন কত টাকা খরচ হয়?
বর্তমানে ঢাকা শহরে একটি সংসার চালাতে সর্বনিম্ন কত টাকা খরচ হয়, তা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। তবে, সাধারণভাবে, একটি পরিবারকে ভালোভাবে চালানোর জন্য মাসে প্রায় ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বা তার বেশি প্রয়োজন হতে পারে। তবে, এটি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে জীবনযাত্রার মান, পরিবারের সদস্য সংখ্যা, এবং প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়েছে। প্রতিদিনের খাবার খরচ হিসাব করলে দেখা যায়, একজনের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৭০ টাকা খরচ হতে পারে। শহরে বাসা ভাড়াও অনেক বেশি। এটি আয়ের একটি বড় অংশ খরচ করে। বিদ্যুতের বিল এবং পানির বিলও একটি বড় খরচ। তাই, অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার বন্ধ করে খরচ কমানো যায়। শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াত, পোশাক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের খরচও হিসাব করতে হবে। জীবনযাত্রার মান একটু পরিবর্তন করে, যেমন- কম দামি জিনিস ব্যবহার করে খরচ কমানো যেতে পারে। সবকিছু বিবেচনা করে বলা যায়, ঢাকা শহরে একটি সংসার চালানোর জন্য সর্বনিম্ন ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বা তার বেশি প্রয়োজন হতে পারে। তবে, এটি সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তির জীবনযাত্রার উপর নির্ভরশীল।