প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা কাগজপত্র জমাদানের তারিখ ঘোষণা ২০২৪ । সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভা কবে হবে?

সূচীপত্র

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “সহকারী শিক্ষক নিয়োগ” এর ৩য় গ্রুপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার প্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের পূর্বে কাগজপত্র জমা দিতে হবে- কাগজপত্র জমাদানের শেষ তারিখের ৩ দিন পরই মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে-প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা কাগজপত্র জমাদানের তারিখ ঘোষণা ২০২৪

কাগজপত্র জমা না দিলে কার্ড ইস্যু হবে না? না। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীগণকে অনলাইনে আবেদনে আপলোডকৃত ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ন্যূনতম ৯ম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে ০৬ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে স্ব স্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা প্রদানের সময় উক্ত কাগজপত্রের মূল কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদর্শন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীগণ ০৬ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে উপরি উল্লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না।

অনিয়ম ধরা পড়লে প্রার্থীতা বাতিল?– মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের দেয়া তথ্যসমূহ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এতদসংক্রান্ত বিধি বিধানের আলোকে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের পূর্বে যাচাই করবেন। কোন প্রকার অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তার লিখিত বিবরণ প্রমাণপত্রসহ কমিটি সমীপে উপস্থাপন করবেন এবং কমিটি এতদসংক্রান্ত বিধিবিধান ও নির্দেশাবলী পর্যালোচনাপূর্বক আইনসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। বিষয়টি নম্বরফর্দের মন্তব্যের কলামে লালকালি দ্বারা লিপিবদ্ধ করবেন। কোন অসংগতি ধরা পড়লে একটি পৃথক প্রতিবেদন প্রদান করবেন। কোন অনিয়মের বিষয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রমাণপত্রসহ সংশ্লিষ্ট মৌখিক পরীক্ষা কমিটি সমীপে উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে অথবা পরবর্তীতে যে কোন ধরনের অনিয়ম চিহ্নিত হলে তার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।

ভাইভা শুরু হবে কবে? আগামী ০৯ মে ২০২৪ তারিখ থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করত: ১২ জুন ২০২৪ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে এবং ২০ জুন ২০২৪ তারিখের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার নম্বরফর্দ আইআইসিটি, বুয়েটে জমা প্রদান করতে হবে। যে সকল জেলার মৌখিক পরীক্ষা সর্বশেষ তারিখের পূর্বে শেষ হবে সে সকল জেলার ফলাফল দ্রুত প্রেরণ করতে হবে। প্রতিদিন গড়ে ৭০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

ভাইভা পরীক্ষার ফলাফল তৈরির প্রক্রিয়া ২০২৪ । অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত অনলাইনে ডাউনলোডকৃত নম্বরফর্দের ছক ব্যতীত অন্য কোনভাবে প্রস্তুতকৃত নম্বরফর্দ গ্রহণযোগ্য হবে না ।

মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের রোল নম্বরের তালিকা ও নম্বরফর্দের ছক ও ওএমআর এর উপরের অংশ User ID ও Password ব্যবহার করে Weblink থেকে ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে হবে। প্রেরিত নম্বরফর্দের ছকে উল্লিখিত প্রার্থীর রোল নম্বর, নাম, ঠিকানা, লিখিত পরীক্ষার হাজিরা শীটের তথ্যের সঙ্গে প্রার্থী কর্তৃক জমাদানকৃত সনদ/তথ্য যাচাই করতে হবে।

Caption: Full instruction pdf download link

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ । ৪ স্কেলে সিজিপিএ/বিভাগ-এর ভিত্তিতে নম্বর হিসাবের নিয়ম

  1. ১ম বিভাগ/সিজিপিএ ৩.০০ বা তদুর্ধ্ব-৪ (চার) নম্বর; ২য় বিভাগ/ সিজিপিএ ২.২৫ থেকে ৩.০০ এর কম-২ (দুই) নম্বর। ৫ স্কেলে সিজিপিএ/বিভাগ-এর ভিত্তিতে নম্বর হিসাবের নিয়ম হচ্ছে: সিজিপিএ ৩.৭৫ বা তদুর্ধ্ব-৪ (চার) নম্বর; সিজিপিএ ২.৮ থেকে ৩.৭৫ এর কম-২ (দুই) নম্বর।
  2. নম্বরফর্দে প্রত্যেক প্রার্থীর হিসাবকৃত প্রাপ্ত নম্বর এবং স্নাতক ডিগ্রীতে প্রাপ্ত সিজিপিএ/বিভাগ স্কেলসহ দেওয়া থাকবে। প্রার্থীর স্নাতক ডিগ্রীর সার্টিফিকেটে উল্লিখিত সিজিপিএ/বিভাগ ও স্কেল এর সাথে নম্বরফর্দে প্রদত্ত সিজিপিএ/বিভাগ ও স্কেলের মিল আছে কিনা না তা যাচাই করতে হবে। সিজিপিএ/বিভাগ অথবা স্কেলে অমিল পাওয়া গেলে মন্তব্য কলামে সার্টিফিকেটে উল্লিখিত সিজিপিএ/বিভাগ স্কেলসহ উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণ: ‘স্নাতক তথ্য হবে সিজিপিএ ৩.২৫/৪ স্কেলে”। সিজিপিএ এর বিপরীতে সঠিক নম্বর কি হবে তা লেখার প্রয়োজন নাই।
  3. স্নাতকে ৩য় বিভাগ/সমতুল্য সিজিপিএ প্রাপ্ত (৪ স্কেলে ২.২৫ এর কম, ৫ স্কেলে ২.৮ এর কম) প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণা করত: কারণ উল্লেখপূর্বক মন্তব্য কলামে লালকালিতে ‘অযোগ্য” লিখতে হবে।
  4. প্রার্থীর এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক সার্টিফিকেটে উল্লিখিত জিপিএ/সিজিপিএ ও স্কেল এর সাথে নম্বরফর্দে প্রদত্ত জিপিএ/সিজিপিএ ও স্কেলের মিল আছে কিনা না তা যাচাই করতে হবে। জিপিএ অথবা স্কেলে অমিল পাওয়া গেলে মন্তব্য কলামে প্রাপ্ত জিপিএ/সিজিপিএ স্কেলসহ উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণ: ‘এসএসসি তথ্য হবে জিপিএ ২.২৫/৫ স্কেলে”। সঠিক নম্বর কি হবে তা লেখার প্রয়োজন নাই।
  5. স্নাতক পাশ কোর্সের পরীক্ষার্থীর ডিগ্রী–বিএ/বিএসসি/বি.কম এবং অনার্স বা অন্যান্য ডিগ্রীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক তার আবেদনপত্রে উল্লিখিত ডিগ্রীর নাম নম্বরফর্দের সাথে সংযুক্ত ফরমে (আলাদা একটি তালিকা) তাঁর নামের পার্শ্বে উল্লেখ থাকবে। উল্লিখিত ডিগ্রী ও বিষয় সার্টিফিকেটে উল্লিখিত ডিগ্রী ও বিষয়ের সাথে মিল আছে কিনা যাচাই করতে হবে। যাচাইয়ে মিল না থাকলে মন্তব্য কলামে ‘ডিগ্রীর তথ্য ঠিক নাই” লিখতে হবে। কি সঠিক তা লেখার প্রয়োজন নাই ।
  6. নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত মোতাবেক যে সকল প্রার্থী আবেদনপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ০৮ জুলাই ২০২৩-এর মধ্যে স্নাতক/সমমান ডিগ্রী (২য় শ্রেণি) অর্জন করেননি তাদের প্রার্থীতা বাতিল হবে। যে সকল প্রার্থীর সার্টিফিকেট/ট্রান্সক্রিপ্ট- এ ফল প্রকাশের তারিখ উল্লেখ নেই তারা সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট/ট্রান্সক্রিপ্ট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট হতে ফল প্রকাশের তারিখসহ প্রত্যয়নপত্র দাখিল করবেন।
  7. প্রার্থীর দাখিলকৃত কাগজপত্র (documents) যাচাইকালে অসত্য/ভুয়া তথ্য/ত্রুটিপূর্ণ/অসম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলে প্রার্থীতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং মিথ্যা/ভুয়া তথ্য সরবরাহ করার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া আবেদনে নিজ জেলা, থানা/উপজেলা ভুল করলে তার প্রার্থীতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
  8. ওএমআরশীটে লিখিত বাংলা ও ইংরেজী অনুচ্ছেদের হাতে লেখা যাচাই করতে হবে। যাচাই করে মিল পাওয়া গেলে নম্বরফর্দের ‘হাতের লেখা যাচাই” কলামে ‘মিল আছে” লিখতে হবে। মিল না পাওয়া গেলে ‘হাতের লেখা যাচাই” কলামে ‘মিল নেই” লিখতে হবে। অমিল পাওয়া গেলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্য কোন মন্তব্য লেখার প্রয়োজন নাই। হাতের লেখা যাচাইয়ে মিল পাওয়া না গেলে নম্বর প্রদান করা যাবে না এবং লালকালিতে বাতিলযোগ্য বলে মন্তব্য প্রদান করতে হবে।
  9. মৌখিক পরীক্ষার মোট নম্বর ২৫ (পঁচিশ)। শিক্ষাগত যোগ্যতা ১০ (এসএসসি-৩, এইচএসসি-৩ ও স্নাতক-৪) এবং ব্যক্তিত্ব, প্রকাশ ক্ষমতা, সাধারণ জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ১৫। নম্বরফর্দের শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে প্রার্থীর Application data থেকে এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতকের প্রাপ্ত নম্বর Autogenerate করা থাকবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্ব, প্রকাশ ক্ষমতা, সাধারণ জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রাপ্ত নম্বর যোগ করত: ৫(পাঁচ) কলামে অর্থাৎ মোট নম্বরের কলামে দেখাতে হবে। মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বর সরবরাহকৃত নম্বরফর্দের নির্ধারিত ঘরে বাংলায় অংকে ও কথায় স্পষ্টাক্ষরে লিখতে হবে। কোনরূপ ঘষামাজা, ওভাররাইটিং, কাটাকাটি বা ফ্লুইড ব্যবহার করা নম্বরফর্দ গ্রহণ করা হবে না ।
  10. ‘অনুপস্থিত” প্রার্থীর নম্বর প্রদানের ঘরে লালকালিতে ‘অনুপস্থিত” কথাটি পরিস্কারভাবে লিখতে হবে।
  11. মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ভগ্নাংশে দেয়া যাবে না। পূর্ণ সংখ্যায় দিতে হবে ।
  12. প্রার্থীর কোনরূপ অনুপযুক্ততা/অযোগ্যতা থাকলে তা সুস্পষ্ট করে অর্থাৎ বাতিলযোগ্য/বাতিল এরূপ মন্তব্য, মন্তব্য কলামে প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে একটি পৃথক প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। বাতিলযোগ্য/বাতিল মন্তব্য করে কোন প্রার্থীকে নম্বর প্রদান করা যাবে না।
  13. মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের রোল নম্বর ও নামসহ ভিন্ন কাগজে উপস্থিতি স্বাক্ষর গ্রহণ করে সংরক্ষণ করতে হবে এবং এক কপি মৌখিক পরীক্ষা শীটের সাথে আলাদা খামে পরিচালক, আইআইসিটি, বুয়েটে জমা দিতে

পোষ্য কোটা কি অনুসৃত হইবে?

হ্যাঁ। কোনো প্রার্থী আবেদনপত্রে পোষ্য কোটায় আবেদন করে থাকলে নম্বরফর্দের সেই প্রার্থীর কোটার ঘরে ‘পোষ্য” লেখা থাকবে। সে ক্ষেত্রে প্রার্থীর নিকট থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত ‘পোষ্য” সনদ থাকতে হবে।সনদ না থাকলে বা সনদ যথার্থ না হলে প্রার্থীর কোটার ঘর থেকে পোষ্য শব্দটি কেটে দিতে হবে ও মন্তব্য কলামে লালকালিতে সাধারণ কোটা লিখতে হবে। বিজ্ঞান কোটা নম্বরফর্দে লিখার প্রয়োজন নেই। প্রার্থীর এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হতে প্রাপ্ত নম্বর পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ভিত্তিতে হিসাব করা হয়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) ২০২৩ । ৩য় গ্রুপের নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা কবে হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *