আজকের খবর ২০২৪

এনইউ উপাচার্য নিয়োগ ২০২৪ । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কি ৪ বছরের জন্য নিয়োগ হয়?

সূচীপত্র

মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ এর ১১ (১) ধারা অনুসারে প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-এ উপাচার্য পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে-এনইউ উপাচার্য নিয়োগ ২০২৪

ভাইস-চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও দায়িত্ব কি? ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক একাডেমিক ও প্রশাসনিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং পদাধিকারবলে সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান থাকিবেন৷ ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন কর্তৃপক্ষ বা কোন সংস্থার যে কোন সভায় উপস্থিত থাকিতে এবং উহার কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্য না হইলে উহাতে তাঁহার ভোট দানের অধিকার থাকিবে না৷ ভাইস-চ্যান্সেলর এই আইন, সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশনের বিধান বিশ্বস্ততার সহিত পালনের নিশ্চয়তা বিধান করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷

ভাইস-চ্যান্সেলর, সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সভা আহ্বান করিবেন এবং তিনি অন্যান্য যে সমস্ত কমিটির চেয়ারম্যান হইবেন সেই সকল কমিটির সভাও আহ্বান করিবেন৷ ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল, কেন্দ্র এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং যে কোন কলেজ পরিদর্শন করিতে পারিবেন৷ ভাইস-চ্যান্সেলর সিনেট, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷ ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের উপর সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সিদ্ধান্তের সহিত ভাইস-চ্যান্সেলর ঐক্যমত পোষণ না করিলে, তিনি তাঁহার দ্বিমত পোষণের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সিদ্ধান্তটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত্ পাঠাইতে পারিবেন, এবং যদি উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা পুনর্বিবেচনার পর ভাইস-চ্যান্সেলরের সহিত ঐক্যমত পোষণ না করেন, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং এইক্ষেত্রে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরী পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে এবং ভাইস-চ্যান্সেলরের বিবেচনায় তত্সম্পর্কে তাত্ক্ষণিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজনীয় বিবেচিত হইলে তিনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন, এবং যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাধারণতঃ বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইত সেই কর্তৃপক্ষকে যথাশীঘ্র সম্ভব তত্কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করিবেন৷

ভাইস-চ্যান্সেলর অস্থায়ীভাবে এবং সাধারণতঃ অনধিক ছয় মাসের জন্য অধ্যাপক ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং এই নিয়োগের বিষয়ে সিন্ডিকেটকে অবহিত করিবেন৷

ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁহার বিবেচনায় প্রয়োজন মনে করলে তাঁহার যে কোন ক্ষমতা ও দায়িত্ব, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন৷ এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতা ভাইস-চ্যান্সেলর প্রয়োগ করিবেন৷

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২

উপাচার্য নিয়োগ ২০২৪ । উপাচার্য কি সব সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনেই থাকেন?

  • উপাচার্য হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে;
  • উপর্যুক্ত পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন;
  • তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন;
  • তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন; এবং
  • মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
  • জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

ভাইস চ্যান্সেলের দায়িত্বও কি তিনি পালন করবেন?

ভাইস-চ্যান্সেলর চার বত্সর মেয়াদে চ্যান্সেলর কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তিনি পরবর্তী আর একটি মেয়াদে নিযুক্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হইবেন৷ উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, চ্যান্সেলরের সন্তোষানুযায়ী ভাইস-চ্যান্সেলর স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন৷) ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে ভাইস-চ্যান্সেলরের পদ শূণ্য হইলে, চ্যান্সেলর ভাইস-চ্যান্সেলরের পদের দায়িত্ব পালনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷

   
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *