বিআরটিএ তথ্য

BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম । শুধুমাত্র পরীক্ষার দিন ব্যতীত বাকি সব কাজ কি অনলাইনে হবে?

BRTA এর সেবাসমূহ বিশেষ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে BRTA Service Portal (BSP) চালু করেছে – BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

BSP তে রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম- নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পরীক্ষার দিন বিআরটিএ তে যাওয়া লাগবে। বাকি সব কাজ হবে অনলাইনে। সেজন্য ছবিতে দেখানো ধাপসমূহ অনুসরণ করে www.bsp.brta.gov.bd তে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করে ওয়েবসাইটে দেখানো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেবা নেওয়া যাবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া কি? গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এর মধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন সিস্টেম থেকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে এবং গ্রাহক সাথে সাথেই সিস্টেম থেকেই তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। এরপর ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় প্রমাণক, তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে।

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি কত? ১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন অনলাইনে আবেদন। ২। আবেদনকারীর ছবি [ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল)] ৩। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ফর্মের জন্য এখানে ক্লিক করুন ] ৪। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি) ৫। ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি), [ আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে ] ৬। বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি [ ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন/শ্রেণী পরিবর্তন/শ্রেণী সংযোজন/ লাইসেন্সের ধরণ পরিবর্তণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ] (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি) ৭। অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৮। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৭৪৮/-টাকা অনলাইনে পরিশোধ।

লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সহজ নিয়ম / বেশির ভাগ কাজ ও মনিটরিং এখন অনলাইনেই করতে পারেন

গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ৪,২১২/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।

Caption: Full Tutorial PDF Download

BRTA Driving Licence Registration । ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া দেখুন

  1. প্রথমে যে কোন ওয়েব ব্রাউজার (chrome বা FireFox ) ওপেন করুণ এবং chrome বা FireFox এর এ্যাড্রেস বারে bsp.brta.gov.bd লিখে কী বোর্ডের এন্টার কী চাপুন।
  2. এরপর উপরের ডান দিকের মেনু থেকে নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করুন।
  3. এখন যে ফরম ওপেন হবে তাতে ইংরেজীতে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, জতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল আইডি ও দুইবার পাসওয়ার্ড সঠিকভাবে টাইপ করে নিবন্ধন করুন বাটনে ক্লিক করুন। বি:দ্র: আগে বিএসপিতে ব্যবহার করা হয়নি এমন ইমেইল ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।
  4. আইডি ও দুইবার পাসওয়ার্ড সঠিকভাবে টাইপ করে নিবন্ধন করুন বাটনে ক্লিক করুন। বি:দ্র: আগে বিএসপিতে ব্যবহার করা হয়নি এমন ইমেইল ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।
  5. নিবন্ধনের ফরম টি সফলভাবে সাবমিট হলে ইংরেজিতে কনফারমেশন আসবে যার বাংলা অর্থ হলো “আপনার একাউন্ট সভলভাবে তৈরি হয়েছে। আপনার ইমেইল চেক করুন ও একাউন্ট একটিভেট/সক্রিয় করার জন্য ইমেইলর নির্দেশনা অনুসরন করুন।
  6. নিবন্ধন ফরমে আপনি যে ইমেইর আইডি ব্যবহার করেছেন সিস্টেম থেকে সেই ইমেইলে একটি একটিভেশন ইইলে প্রেরণ করা হবে। আপনার ইমেইল Inbox-এ একটি ইমেইল পাবেন। যদি কোন কারণে Inbox-এ না থাকে তবে আপনার ইমেইলের Spam / Junk / Junk Email নামক ফোল্ডার চেক করুন [যদি ইমেইলটি পেয়ে থাকেন তবে ক্রমিক ১১-তে চলে যান।
  7. যদি ভূলবসত ইমেইলটি ডিলিট করে ফেলেন অথবা টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে ইমেইলটি আপনি না পেয়ে থাকেন বা সে ক্ষেত্রে ক্রমিক নং ১ অনুসরন করে আবার bsp.brta.gov.bd সাইটটিতে গিয়ে প্রবেশ করুন বাটনে ক্লক করুন।
  8. এবার Email/Mobile- এর ঘরে আপনার ইমেইল আইডি এবং Password-এর ঘরে পাসওয়ার্ড সিঠিকভাবে টাইপ করে Loin বাটনে ক্লিক করুন।
  9. ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সঠিক হলে নিম্নের মেসেজ দেখাবে। এখান থেকে Resend Verification E-mail লিংকে ক্লিক করলে আপকে পুনরায় একটিভেশন ইমেইল প্রেরণ করা হবে।
  10. একটিভেশন ইমেল প্রেরণ সফল হলে Success মেজেস স্ক্রীনে প্রদশন করবে।
  11. এবার Inbox/Junk/Junk Email থেকে ইমেইলটি ওপেন করুন। ইমেইলটি ওপেন করলে নিচের চিত্রের মতো একটি নির্দেশনা সম্বলিত ইমেইল পাবেন যাতে একটি একটিভেশন লিংক থাকবে। একটিভেশন লিংকটিতে ক্লিক করুন।
  12. ওয়েবপেজ ওপেন হবে যেখানে লেখা থাকবে আপনার একাউন্ট সফলভাবে একটিভেট হয়েছে। এখন উক্ত পেজে আপনার সঠিক ইমেইল আইটি অথবা মোবইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন বাটনে ক্লক করুন ।
  13. লগইন সফল হলে নিচের চিত্রের মতো মেসেজ প্রদর্শন করবে এবং আপনার মোবাইল নাম্বারের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য মোবাইলে একটি ৬ ডিজিটের কোড (OTP) যাবে। Enter OTP- এর ঘরে কোডটি সঠিকভাবে টাইপ করে Verify বাটনে ক্লিক করতে হবে। বি:দ্র: নেটওয়ার্ক সমস্যা বা অন্যকোন কারণে আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের কোড (OTP) না আসলে বা ভুলবসত ডিলিট হয়ে গেলে নিবন্ধনের সময় যে মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছেছিল উক্ত মোবাইল থেকে ১৬১০৭ অথবা ০৯৬১০ 990 99৮ নাম্বারে কল করে সিস্টেম কল রিসিভ করার পর প্রয়োজনীয় এক্সটেশন (যেমেন ১ তারপর ১ আবার ১ এরপর ২ চাপুন ) ডায়াল করে মোবাইল নাম্বার ফেরিফাই করতে পারবেন।
  14.  OTP Verify সফল হলে নিচের চিত্রের মতো পেইজ ওপেন হবে ।
  15.  এখন উপরের চিত্রের পেজে (অথবা ১ থেকে ৩ নং ক্রমিকে বর্ণিত পদ্ধতির অনুসরণ করে পেজের উপরের ডান দিকের মেনু থেকে “প্রবেশ করুন” বাটনে ক্লিক করে) আপনার ইমেইল বা মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড সঠিকভাবে টাইপ করে Login বাটনে ক্লিক করলে নিচের চিত্রের মতো ড্যাসবোর্ড ওপেন হবে।

স্মার্ট কার্ড পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন। ২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট। ৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি। ৪। নির্ধারিত ফী বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ। ৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন। ৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ। অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে। মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কয় রকমের হয়ে থাকে?

পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে, (২) পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে। পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে। পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর ন্যূনতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়ম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ০৩ (তিন) বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *