দেশে দিনের বেলায় কারফিউ বলবৎ নাই- মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছ-রাষ্ট্রপতির সাথে সেনাপ্রধান সহ অন্যান্য অংশীজনের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে- তাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে–রাষ্ট্রপতির সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত ২০২৪
রাষ্ট্রপতি সভা কি হয়েছে? হ্যাঁ। –রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে আজ (০৫ আগস্ট, ২০২৪) বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান ও বিমান বাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোটা বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গ্রহীত হয় এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়।
ইন্টেরিয়াম সরকার প্রধান কে হবেন?– প্রস্তাবিত তালিকায় দেখা যায় যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেন গর্ভনর সালেহ উদ্দিনকে প্রধান করে একটি অন্তর্বকালীন সরকার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও ছাত্র জনতা ড. মোহাম্মদ ইউনূস-কে প্রধান করে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তাব করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সদস্য নিয়েই মূলত অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় এবং এ অস্থায়ী সরকার পরবর্তীতে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন।
ড. ইউনূস কি উপদেষ্টা হতে চান? হ্যাঁ। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর সোয়া ৪টায় এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। তারা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতার আহ্বানে এ দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন। আমরা সকালের মধ্যেই এ সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই।
রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনায় কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় / আন্দোলনে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হবে
একই সঙ্গে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগন খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটককৃত সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারেও সভায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
Caption:Press Release of President
রাষ্ট্রপতির সভায় গৃহীত পদক্ষেপ ২০২৪ । নতুন সরকার গঠন করা হবে যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দেশ পরিচালনা করবে
- সভায় অনতিবিলম্বে একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে সকলকে ধৈর্য ও সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানানো হয় এবং সেনাবাহিনীকে লুটতরাজ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
- সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়।
- এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটককৃত সকল বন্দীকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যেন কোনভাবেই বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারেও সভায় ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতির সভায় কে কে ছিলেন?
প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস, জাতীয় পার্টির জি এম কাদের, মজিবুল হক চুন্নু ও আনিসুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, হেফাজত ইসলামের মামুনুল হক, মুফতি মনির কাসেমী ও মাহাবুবুর রহমান, জামায়াতে ইসলামের ড. শফিকুর রহমান ও শেখ মোঃ মাসুদ, মেজর জেনারেল ফজলে রাঝি (অবঃ), জাকের পার্টির শামিম হায়দার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকী, জাকের পার্টির শামিম হায়দার, গণ-অধিকার পরিষদের অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ফিরোজ আহমদ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, আরিফ তালুকদার, ওমর ফারুক ও মোবাশ্বেরা করিম মিমি এবং ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আনিছুর রহমান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৪ । রাষ্ট্রপতি কিভাবে ইন্টারিম গভঃমেন্ট গঠন করবে? | সরকার গঠনের রূপরেখা ২০২৪ । সরকার কার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে? | দুবাই ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৪ । UAE visa check by Online |
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য ২০২৪ । প্রস্তাবিত নামের তালিকায় ড. ইউনূস কি তালিকায় আছেন?