আজকের খবর ২০২৫

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা ২০২৫ । এইচ.এসসি কলেজে ভর্তি হতে কত টাকা লাগবে?

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং মেধার ভিত্তিতে কলেজ নির্ধারিত হইবে–একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা ২০২৫

সর্বশেষ কত বছর গ্যাপ থাকলে ভর্তি হওয়া যাবে?–পূর্ববর্তী ০৩ (তিন) বছরে দেশের যে কোন শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এস.এস.সি. বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোন বোর্ড বা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠান হতে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক তার সনদের মান নির্ধারণের পর উপনীতি (২.১) এর অধীনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।

একাধিক গ্রুপে ভর্তি হওয়া যাবে? না। বিজ্ঞান গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি । মানবিক গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপ এর যে কোনটি গ্রুপে ভর্তি হওয়া যাইবে। যে কোন গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ইসলামী শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপ এর যে কোনটি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান গ্রুপ ব্যাতীত যে কোনটি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোন গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।

প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি কি? ভর্তির জন্য কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এস.এস.সি. বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩% আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১% এবং অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় (তফসিল-ঘ অনুযায়ী) কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১% সহ মোট ২% কোটা মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকর্মচারী/ কর্তৃক দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তাঁর একধাপ উপরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে নির্ধারিত বিধিমালা অনুসৃত হইবে/ভর্তির ক্ষেত্রে মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া হইবে

কর্মকর্তা কর্মচারী/যে মহানগর জেলায় কর্মরত থাকবেন তার সন্তান সে /বিভাগ/ জেলায় ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন।/ভাগবি/মহানগর মোট আসনের ৫% মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপর্যুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে।

Caption: Full Circular of Addmission

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা ২০২৫ । বিজ্ঞানে ভর্তির ক্ষেত্রে কি কোন শর্ত থাকবে?

  1. বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
  2. উপনীতি ৩.৩.২ এর বিধান সত্ত্বেও যদি প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
  3. মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
  4. এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে ।
  5. এ নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন স্কুল এন্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব গ্রুপে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব গ্রুপে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূন্য আসনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নীতি ৩.০ এর উপনীতি (৩.২) ও (৩.৩) অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে।
  6. কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে।

প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম আছে কি?

হ্যাঁ। যে সকল শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান/বি.কে.এস.পি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী/খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই বাছাই’ পূর্বক শিক্ষার্থীকে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে) ভর্তির ব্যবস্থা নিবে। সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *