খতিয়ান ও অনলাইন ই পর্চা

Khotian Correction Process 2025 । রেকর্ড সংশোধন মামলা কোথায় করতে হবে?

জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা দেওয়ানী আদালতে করতে হয়। যদি ভুলটি ভূমি জরিপ সম্পর্কিত হয়, তবে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যেতে পারে– Khotian Correction Process 2025

ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ১ বছরের মামলা করতে হয়? খতিয়ানে ভুল থাকলে, ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালে (Land Survey Tribunal) মামলা করা যেতে পারে। এই মামলাটি চূড়ান্ত খতিয়ানের প্রকাশের ১ বছরের মধ্যে করতে হয়। ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সময়সীমা হল চূড়ান্ত খতিয়ানের প্রকাশের ১ বছর। দেওয়ানী আদালতে মামলা করার সময়সীমা হল ভুল জানার ৬ বছর। সাধারণত ই-খতিয়ান সংশোধনের আদেশ পেতে ৩০-৪৫ দিন সময় লাগে।

দেওয়ানী আদালতে মামলায় কখন যেতে হয়? যদি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সময়সীমা শেষ হয়ে যায়, তবে দেওয়ানী আদালতে (Civil Court) ঘোষণামূলক মোকদ্দমা (declaratory suit) করা যেতে পারে। জমির রেকর্ড বা খতিয়ানের ভুল সংশোধনের জন্য mutation land gov bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করা যায়। জমির খতিয়ানের ভুল সংশোধন বা হালনাগাদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদনপত্র, পূর্ব লিজ গ্রহীতার বা অন্য সংশ্লিষ্টদের অনাপত্তি পত্র, ওয়ারিশান সনদপত্র, মালিকানার স্বপক্ষে অন্যান্য কাগজ। জমির খতিয়ানের ভুল সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ফি/ট্যাক্স/আনুষঙ্গিক খরচ: কোর্ট ফি- ১০ টাকা, রেকর্ড সংশোধন ফি- ২০০ টাকা।

আদালতের রায় দিলেই পর্চা সংশোধন হয়ে যায়? না। দেওয়ানী আদালত বা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের রায়ের মাধ্যমে খতিয়ান সংশোধন করা হয়। দেওয়ানী আদালতের আদেশে রেকর্ড সংশোধন করে থাকে অর্থাৎ আদালতের রায় বা আদেশ পেলে, সেই অনুযায়ী খতিয়ান সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনের সাথে মামলার আরজি ও রায়ের মূল কপি জমা দিতে হয়। সংশোধিত খতিয়ানের কপি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিসে পাঠাতে হয়।

এস এ রেকর্ড সংশোধন মামলা ২০২৫ । অনলাইনে খতিয়ান বা পর্চা করণিক ভুল সংশোধন করা যায়

আরজি (প্লেইন্ট) লেখার জন্য প্রথমে একটি সাদা কাগজে মামলার বিবরণ লিখতে হবে। এরপর, আদালতের নাম, মামলার পক্ষদের নাম ও ঠিকানা, এবং আরজীর কারণ সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে। এরপর, আরজীর মূল বিষয়বস্তু, যেমন- কোন রেকর্ডে কী ভুল আছে এবং সেটি কিভাবে সংশোধন করতে চান, তা বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে। সবশেষে, প্রতিকার চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে।

Caption: Record Correction by Online

Land Record Correction Process 2025 । জমির রেকর্ড সংশোধনের প্রক্রিয়া কি?

  1. জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য, প্রথমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে জমির মালিকানার প্রমাণ, খতিয়ান, দাগ নম্বর, পূর্ববর্তী রেকর্ড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে বিজ্ঞ জিপির মতামত নেওয়া হতে পারে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন বা আপীলের পরামর্শ দিতে পারেন। অনুমোদন পেলে সংশোধিত খতিয়ান প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।
  2. জমির রেকর্ড সংশোধনের প্রক্রিয়া: ১. আবেদন: সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রে জমির মালিকানার প্রমাণ, খতিয়ান, দাগ নম্বর, পূর্ববর্তী রেকর্ড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। যদি আবেদনটি কোনো আদালতের আদেশের কারণে হয়, তাহলে আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড কপিও সংযুক্ত করতে হবে।
  3. যাচাই-বাছাই: সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র যাচাই করবেন। প্রয়োজনে বিজ্ঞ জিপির মতামত নিতে পারেন।
  4. সিদ্ধান্ত: যাচাই-বাছাই শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবেদন মঞ্জুর করতে পারেন অথবা আপীলের পরামর্শ দিতে পারেন। যদি আবেদনটি আদালতের আদেশের কারণে হয়, তবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  5. সংশোধন: অনুমোদন পেলে সংশোধিত খতিয়ান প্রস্তুত করা হবে এবং তা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।
  6. আপীল: যদি আবেদনকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সিদ্ধান্তে সংন্তুষ্ট না হন, তবে তিনি আপীল করতে পারেন।
  7. জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য কিছু সাধারণ ভুল-ভ্রান্তি যা সংশোধন করা যেতে পারে: নামের ভুল, অংশ বসানোর ভুল, দাগ নম্বর ভুল, রেকর্ড এবং ম্যাপের মধ্যে অমিল, জরিপকালে বাবার মৃত্যুর কারণে সন্তানদের নামে সম্পত্তি রেকর্ড না হওয়া ইত্যাদি।
  8. যদি জমির রেকর্ড সংশোধনে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া, ভূমি বিষয়ক আইনী পরামর্শের জন্য ফেসবুক গ্রুপ বা অন্যান্য ভূমি বিষয়ক ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

রেকর্ড সংশোধন মামলা খরচ কত?

জমির রেকর্ড বা খতিয়ানের ভুল সংশোধনের জন্য সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ফি এবং কিছু আনুষঙ্গিক খরচ থাকে। এই খরচ মূলত কোর্ট ফি, রেকর্ড সংশোধন ফি এবং খতিয়ান (যদি প্রয়োজন হয়) এর জন্য হয়ে থাকে। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে, দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করতে হলে, আদালতের ফি এবং আইনজীবীর খরচও যুক্ত হতে পারে। জমির রেকর্ড বা খতিয়ানের ভুল সংশোধনের জন্য নিম্নলিখিত খরচগুলো সাধারণত হয়ে থাকে: কোর্ট ফি: ২০ টাকা (আবেদনের সাথে সংযুক্ত করার জন্য)। রেকর্ড সংশোধন ফি: ১০০০ টাকা (উপজেলা ভূমি অফিস বা সার্কেল ভূমি অফিসে)। খতিয়ান ফি (প্রতি কপি): সাধারণত ১০০ টাকা (সংশোধিত খতিয়ান প্রাপ্তির জন্য)। যদি দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করতে হয়, তাহলে নিম্নলিখিত খরচগুলো যুক্ত হতে পারে: আদালতের ফি, আইনজীবীর ফি (যদি প্রয়োজন হয়)। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে, অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ যেমন– আবেদনপত্র, ছবি, মামলার আরজি ও রায়ের কপি ইত্যাদি সংগ্রহ করার খরচও থাকতে পারে। এই খরচগুলো স্থান ও পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তাই, বিস্তারিত জানার জন্য, সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস বা আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

আরজীর সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন- রেকর্ড, খতিয়ান, ইত্যাদি) সংযুক্ত করতে হবে।আরজীর ভাষা সহজ ও স্পষ্ট হতে হবে। আরজীতে মিথ্যা বা বানোয়াট তথ্য দেওয়া যাবে না।আরজীর সাথে কোর্ট ফি সংযুক্ত করতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:জমির রেকর্ড সংশোধন একটি জটিল প্রক্রিয়া।এই বিষয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
   
ভূমি রেকর্ড মামলার আরজি আবেদন ফরম ২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *