প্রতিষ্ঠানের নামে দলিল লেখার নিয়ম ২০২৪ । জমির দলিল সম্পন্ন হলেই যে কাজটি করে রাখবেন

প্রতিষ্ঠানের নামে জমি দান বা ক্রয় করতে হলে তা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের বরাবরে দলিল করতে হবে। ব্যক্তির নাম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে দলিল করা যাবে না। দলিল করতে হবে “জুনিয়র স্কুল” “হাই স্কুল” “মাদ্রাসা ও কলেজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক/প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা ভাইস-চেয়ারম্যানের অনুকূলে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির দলিল করতে হবে “মহাপরিচালক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা অথবা ‘সচিব” প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকার অনুকূলে হতে হবে।

ভ্রম সংশােধন দলিল

দলিল রেজিষ্ট্রির পর তাতে দাগ, খতিয়ান, মৌজা চৌহন্দি বা কারাে নামে ভুল ধরা পড়লে তা খুব সহজেই সংশােধন করা যায়। এরূপ ভুল ধরা পড়ার ৩ বছরের মধ্যে দেওয়ানী আদালতে দলিল সংশােধনের মামলা করতে হবে। ৩ বছর পর এরূপ মামলা তামাদির দ্বারা বারিত হয়ে যায় তাই তখন আর সংসােধন মামলা করা যায় না তবে তখন ঘােষণামূলক মামলা করা যায়। এরূপ মামলার রায়ই হলাে সংশােধন দলিল। রায়ের ১ কপি আদালত হতে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিষ্ট্রার এর নিকট পাঠিয়ে দিলে তিনি সংশ্লিষ্ট ভলিউম সংশােধন করে নিবেন। (সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ এর ৩১ ধারা।)

দলিল বাতিলের পদ্ধতি

জাল, প্রতারণামূলক ভাবে দলিল সৃজন করা হলে তা জানার ৩ বছরের মধ্যে এরূপ দলিল বাতিলের মামলা (দেওয়ানী আদালতে) করা যায়। দলিল আংশিক বাতিলের মামলাও করা যায়। বাদী সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দখলে না থেকে থাকলে তিনি দলিল বাতিলের আবেদনের সাথে দখলের মামলাও করতে পারেন। দলিল বাতিলের মামলায় দলিলের মূল্যানুসারে কোর্ট ফি লাগবে।

দলিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য 

(ক) দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য দাখিল কালে তাতে কোন ফিসের ঘাটতি ধরা পড়লে ঘাটতি ফির পরিমাণ দলিলের পেছনের পৃষ্ঠায় নােট করে দলিল ফেরত দেয়ার পূর্বে ঘাটতি ফি আদায়ের শর্তে দলিলটি রেজিষ্ট্রি করতে পারেন। (স্ট্যাম্প। আইনের ১নং তফসিলের এন, অনু 🙂 

(খ) দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য দাখিলের পর দলিলের নম্বরটি সংগ্রহ করে এ নম্বর ও তারিখ একটি ডাইরিতে লিখে রাখা উচিত। যাতে ভবিষ্যতে দলিল হারিয়ে গেলে পুনরায় নকল তোলা যায়। 

(গ) দলিল সরবরাহ গ্রহণের পূর্বে তার সদ হারিয়ে গেলে দলিল সম্পাদনকারীর স্বাক্ষরে ডেমি কাগজে লিখিত আবেদন দাখিলের মাধ্যমে দলিল সরবরাহ গ্রহণ করা যায়।

(ছ) জমির খতিয়ান, নকসার নকল উঠানাে যায় লক্টরের (জেলা প্রশাসকের) রেকর্ডরুম/মহাফেজখানা হতে এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ঢাকা হতে।

Full pdf download Link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *