ভূমি আইন ২০২৫

Mortgage Asset for Auction 2025 । বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে উঠলে কি করবেন?

সূচীপত্র

মানুষ বিভিন্ন সময়ে টাকার প্রয়োজনে ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করে। কোন ব্যক্তিকে ব্যাংক অথবা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করতে নিজের বসত-বাড়ি কিংবা অন্য কোন সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বন্ধক রাখতে হয়। বসত-বাড়ি কিংবা অন্য কোন সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখার ফলে ব্যাংক আপনার কাছ থেকে উক্ত সম্পত্তির আমমোক্তারনামা নিয়ে রাখে  – Mortgage Asset for Auction 2025

আমমোক্তারনামা কি? আমমোক্তারনামা -Power of Attorney একটি আইনি দলিল, যা দ্বারা একজন ব্যক্তি (আমমোক্তার দাতা) অন্য কোনো ব্যক্তিকে (আমমোক্তার গ্রহীতা) তার পক্ষে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার ক্ষমতা দেন। এই দলিলের মাধ্যমে, দাতা তার সম্পত্তির ভোগদখল, রক্ষণাবেক্ষণ, বা বেচা-কেনার মতো কাজ করার জন্য অন্য কাউকে ক্ষমতা দিতে পারেন। আমমোক্তারনামা একটি আইনি দলিল, যা সাধারণত সম্পত্তির সাথে সম্পর্কিত কাজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই দলিলের মাধ্যমে, দাতা অন্য কাউকে তার সম্পত্তির উপর নিয়ন্ত্রণ বা ক্ষমতা দিতে পারেন। এই দলিল সাধারণত সম্পত্তি সংক্রান্ত কাজ, যেমন- ভোগদখল, রক্ষণাবেক্ষণ, কেনাবেচা ইত্যাদি করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই দলিল অন্যান্য ক্ষেত্রে, যেমন- ব্যাংক ঋণ, স্টক ইত্যাদি পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

ব্যাংকের সম্পত্তি নিলাম কি বন্ধ রাখা যায়? আমমোক্তারনামা নিয়ে রাখার কারণে আপনি যদি ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য হন তাহলে ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আপনার সম্পত্তি নিলাম ডেকে বিক্রি করতে পারবেন। ব্যাংক থেকে গৃহীত টাকা দিতে যদি আপনি অক্ষম হন তাহলে আপনি ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য হবেন। আপনি যদি ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য হন তাহলে ব্যাংক আমমোক্তারনামা বলে আপনার বন্ধক রাখা বসত-বাড়ি কিংবা অন্য কোন সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবেন। নিলামের জন্য ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হয়। অনেক সময় ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই নিলামের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। শেষ মুহূর্তে আপনার বসত-বাড়ি কিংবা অন্য কোন সম্পত্তিকে নিলামের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র মোক্ষম উপায় হলো বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করা। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করে এই নিলাম বন্ধ করা সম্ভব।

পাওয়ার অব এ্যাটর্নি কয় প্রকার? আমমোক্তারনামা দুই প্রকারের হতে পারে – সাধারণ এবং বিশেষ। সাধারণ আমমোক্তারনামা দাতার পক্ষে বিভিন্ন কাজ করার ক্ষমতা দেয়, আর বিশেষ আমমোক্তারনামা একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য ক্ষমতা দেয়। এই দলিলের মাধ্যমে সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় না, তাই গ্রহিতা তার নামে সম্পত্তি নামজারি বা খারিজ করতে পারেন না। দাতার মৃত্যু হলে আমমোক্তারনামা বাতিল হয়ে যায়, এবং দাতা জীবদ্দশাতেও এটি বাতিল করতে পারেন। 

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (Power of Attorney) দলিল করতে, সাধারণত কিছু ফি এবং স্ট্যাম্প শুল্ক লাগে। রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ১০০ টাকা, স্ট্যাম্প শুল্ক ১,৫০০ টাকা, এবং স্থানীয় সরকার কর বা উৎসে আয়কর প্রযোজ্য হতে পারে না। এছাড়া, কিছু বিবিধ ফিও থাকতে পারে।

যদি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি কোনো সম্পত্তির সাথে সম্পর্কিত হয়, তাহলে সম্পত্তির মূল্যের উপর ভিত্তি করে রেজিস্ট্রেশন ফি এবং স্ট্যাম্প শুল্কের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।

Caption: Power of Attorney act pdf

আমমোক্তারনামা সত্যায়ন ডকুমেন্ট ২০২৫ । কি কি ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে

  1. আমমোক্তারনামা এর জন্য যথাযথভাবে পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র

  2. একটি ফটোকপি সহ সত্যায়নের জন্য মূল আমমোক্তারনামা

  3. মূল বাংলাদেশ পাসপোর্ট এবং ০১ (এক) সেট ফটোকপি

পাওয়ার অব এটর্নি কেন করা হয়?

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা আমমোক্তারনামা (Power of Attorney) সাধারণত কোনো ব্যক্তির পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তিকে কিছু কাজ করার জন্য আইনি ক্ষমতা অর্পণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি বিশেষভাবে সম্পত্তির ভোগদখল, রক্ষণাবেক্ষণ বা কেনাবেচার মতো কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে ব্যক্তির পক্ষে সরাসরি উপস্থিত থাকা বা কাজ করা সম্ভব নয়। যখন কোনো ব্যক্তি কোনো কারণে তার নিজের দেশে বা অন্য কোনো স্থানে অবস্থান করে, তখন সে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ব্যবহার করে তার পক্ষে অন্য কাউকে তার কাজগুলো করার জন্য ক্ষমতা দিতে পারে। কোনো ব্যক্তি যদি শারীরিকভাবে অসুস্থ বা অক্ষম থাকে, তবে সে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ব্যবহার করে অন্য কাউকে তার পক্ষে কাজ করার জন্য ক্ষমতা দিতে পারে।

পাওয়ার-অব-অ্যাটর্নি-দলিলের-নমুনা-ফরম  
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *