জাতীয় পরিচয়পত্র হারােনা বা নষ্ট হইবার কারণে নির্ধারিত ফর্মে বা অনলাইনে নূতন জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির আবেদন করা যায়  – জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যু করাবেন যেভাবে

জিডি করার পর করণীয় কি? জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে বা ইচ্ছাকৃত রিইস্যু করতে চাইলেও থানায় জিডি করতে হবে। কারণ জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে বা পুড়ে বা নষ্ট না হলে সেটি আর রিইস্যু করা হয় না। তাই হারানো ভোটার আইডি কার্ড পুনরায় ডাউনলোড বা প্রিন্ট কপি পেতে প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (GD) লিখিয়ে থানার সিল ও সাক্ষর সহ স্ক্যান করে নিতে হবে। থানায় গেলে এখন আর হাতে লেখা আবেদনে জিডি করে না, আপনার থানার পাশ্ববর্তী কোন কম্পিউটার দোকানে ১০০ টাকা ব্যয় করে অনলাইনে জিডির আবেদন করতে হবে, আবেদন মঞ্জুর হলে দোকান থেকেই সেটি প্রিন্ট করে দিবে।

জিডি’র কপি মোবাইলে স্ক্যান করে অনলাইনে ঘরে বসে বা দোকান থেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যুর আবেদন আপনার আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রোফাইল থেকে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিকাশ দিয়ে আপনার এনআইডি’র বিপরীতে ৫৭৫ টাকা জরুরী স্মার্ট কার্ড পেতে NID Service ক্যাটাগরিতে পে-বিল করতে হবে। পে বিল করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রোফাইল থেকে NID Re-issue আবেদন সম্পন্ন করতে হবে জিডি কপি আলোড করে।  অতপর অপেক্ষা করতে থাকুন।

যদি আমি হার্ড কপি না চাই? হারানো আইডি কার্ড পুনরয় ডাউনলোড করার জন্য রি ইস্যু ফি পরিশোধ করতে হবে। প্রথমবার আইডি কার্ড রেগুলার ক্যাটাগরিতে রি ইস্যু ফি ২৩০ টাকা। এর পর পুনরায় আবেদন করতে হলে এই ফিসের পরিমাণ বাড়বে। জাতীয় পরিচয় পত্র রি ইস্যু ফি তালিকা দেখে নিবেন। হারিয়ে যাওয়া জাতীয় পরিচয় পত্র ২টি উপায়ে পুনরায় হা হাতে পাওয়া যায়। ভোটার হওয়ার সময় এর উপর নির্ভর করে জাতীয় পরিচয় পত্র রি ইস্যু করার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। যারা ২০১৯ সাল কিংবা তার পরবর্তী সময়ে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য হালনাগাদ করেছে তারা চাইলে তাদের হারিয়ে যাওয়া এনআইডি কার্ডটি বিনামূল্যে জাতীয় পরিচয়পত্র ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো সময় ডাউনলোড করে নিতে পারবে।

অনলাইন হতেই নাকি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়? হ্যাঁ যায়।  বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র শুধু মাত্র PDF ডাউনলোড করা যায় এবং সেটি প্রিন্ট ও লেমিনেটিং করে ব্যবহার করা যায়। এখন পর্যন্ত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু হয়নি যদিও সরকার ব্লাঙ্ক কার্ড ক্রয় করে প্রিন্টিং শুরু করেছে। আর যাদের ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ২০১৯ সালের আগেই হয়ে গেছে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক NID Card বিতরণ করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে, হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে থানায় জিডি দাখিল করতে হবে। থানায় দাখিল করা জিডি ব্যবহার করে অনলাইন মাধ্যমে হারানো আইডি কার্ডের জন্য রি-ইস্যু আবেদন করতে হবে। ই-ইস্যু আবেদন অনুমোদন হলেই কেবল এনআইডি ডাউনলোড করা যাবে।

নষ্ট বা হারানো জাতীয় পরিচয় ফিরে পেতে যা করতে হবে / জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যুর আবেদন অনুমোদন হতে কতদিন লাগে?

আপনি ফি দিয়ে হার্ড কপি রিইস্যু করে নিতে পারেন অথবা অনলাইন হতে ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট করেও ব্যবহার করতে পারেন।

Caption: Apply for NID reissue

এনআইডি রিইস্যু । জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয় কি?

  1. জাতীয় পরিচয় পত্র আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট।
  2. এটি হারিয়ে গেলে আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
  3. কিন্তু খুবই সহজ কিছু কাজের মাধ্যমে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি আবার সংগ্রহ করতে পারবেন।
  4. জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে প্রথমে আপনার নিকটস্থ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করতে হবে।
  5. তারপর জিডি কপি আপলোড করে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।
  6. সাধারণত ১৫-২০ দিনের মধ্যে আবেদন অনুমোদন হলেই, অনলাইন থেকেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রটি ডাউনলোড ও লেমিনেট করে ব্যবহার করতে পারবেন।
  7. আপনি নিজে অনলাইনে অথবা থানার কাছাকাছি কোন দোকান থেকে জিডির আবেদন করবেন এবং অনলাইনে রিইস্যুর আবেদন করে হারানো এন আইডি কার্ড উত্তোলন করবেন।

ইস্যু করা ডুপ্লিকেট এনআইডি রিইস্যু করা যায় কি?

যদি কোনো নাগরিকের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে যায় বা কোনোভাবে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তিনি নতুন করে কমিশনের কাছে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন। একটি আবেদন পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন, একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে, এই জাতীয় নাগরিককে একটি নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করবে।  জিডি হতে যে তথ্যগুলো আবেদনের সময় ইনপুট দিতে হয়।

জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যু । এনআইডি রিইস্যুর জন্য আবেদন করবেন যেভাবে

এনআইডি লগিন একাউন্ট লাগবে? হ্যাঁ। https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/citizen-home ঠিকানায় গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করুন এরপর লগ ইন করে আপনার বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারবেন। প্রয়োজনীয় ফি ও দলিলাদি দিয়ে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং Approve হলে এনআইডি কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনার অনলাইন জন্ম সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি এসএসসি হয়ে থাকে তবে এসএসসি সনদ, (হলফনামা-প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), পাসপোর্টের কপি (যদি থাকে), ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি (যদি থাকে), এছাড়াও সঠিক নাম/জন্ম তারিখ এর স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রমাণাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *