আজকের খবর ২০২৫

NO Order by Supreme Court 2025 । নো অর্ডার বলতে সুপ্রীম কোর্ট কি বুঝায়?

সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের সংবিধানের অধীনে গঠিত এবং এটি বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে। এর মূল কাজ হলো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, সংবিধানের ব্যাখ্যা ও রক্ষা করা এবং দেশের আইন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকে–NO Order by Supreme Court 2025

NO Order  কি? বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপীল বিভাগের মাননীয় চেম্বার কোর্ট থেকে বিভিন্ন মামলায় “No Order” মর্মে আদেশ প্রচারিত হয়ে থাকে। বিষয়টির প্রকৃত অর্থ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ বিচারপ্রার্থীগণ অনেক সময়ে অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। ফলে “No Order” এর প্রকৃত অর্থ সম্পর্কে স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন। আদালতের “নো অর্ডার” (No Order) বলতে সাধারণত বোঝায় যে আদালত কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে কোনো আদেশ জারি করেনি।

নো অর্ডার নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট কি বলছে? বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপীল বিভাগের মাননীয় চেম্বার কোর্ট হতে কোন মামলায় “No Order” মর্মে আদেশ প্রচারিত হলে আবেদনকারীর প্রার্থীত প্রতিকার মঞ্জুর করা হয়নি এবং মাননীয় চেম্বার কোর্ট তর্কিত আদেশ/রায় এর বিষয়ে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ ছাড়াই আবেদনটি নিষ্পত্তি করেছেন।

নো অর্ডার কি আবেদন খারিজ? কোনো আবেদনকারীর করা আবেদন বিবেচনা করার পর আদালত যদি মনে করে যে কোনো আদেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই বা আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয়, তাহলে আদালত “নো অর্ডার” দিতে পারে। কোনো পক্ষ যদি আদালতের কাছে কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করে এবং আদালত মনে করে যে এই মুহূর্তে কোনো আদেশ দেওয়া উচিত নয়, তাহলে আদালত “নো অর্ডার” দিয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতি বজায় রাখতে পারে। কোনো মামলার শুনানির সময় যদি আদালত মনে করে যে আরও তথ্য বা প্রমাণ প্রয়োজন, তাহলে আদালত “নো অর্ডার” দিয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করতে পারে।

“নো অর্ডার” মানে হল আদালত নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত বা নির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করেনি। এর অর্থ পরিস্থিতি এবং আদালতের কারণের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট থেকে বিভিন্ন মামলায় “নো অর্ডার” মর্মে আদেশ প্রচারিত হতে পারে। এর অর্থ হল আবেদনকারীর প্রার্থীত প্রতিকার মঞ্জুর করা হয়নি এবং চেম্বার কোর্ট কোনো নির্দিষ্ট আদেশ দেয়নি।

Caption: order by supreme court Bangladesh

সুপ্রীম কোর্টের কার্য পরিধি ২০২৫ । সুপ্রিম কোর্টের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:

  1. অধিক্ষেত্র (Jurisdiction): সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব সাংবিধানিক এবং আইনগত অধিক্ষেত্র রয়েছে, যা তাকে বিভিন্ন ধরনের মামলা ও আপিলের বিচার করার ক্ষমতা প্রদান করে।
  2. বিচারক নিয়োগ (Appointment of Judges): রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ করেন।
  3. স্বাধীন বিচার বিভাগ (Independent Judiciary): বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং সুপ্রিম কোর্ট এই স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সুপ্রীম কোর্ট কি?

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। এটি দুটি প্রধান বিভাগ নিয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগ (High Court Division) এটি সুপ্রিম কোর্টের একটি প্রাথমিক বিভাগ এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের আপিল ও রিট মামলা সহ মূল মামলাগুলিও বিচার করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ একক বিচারক বা একাধিক বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলার বিচার করে এবং আপিল বিভাগ (Appellate Division) এটি সুপ্রিম কোর্টের সর্বোচ্চ আপিল বিভাগ। হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শোনার জন্য এটি গঠিত। আপিল বিভাগ চূড়ান্ত আপিল আদালত হিসেবে কাজ করে এবং এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান হলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of Bangladesh)। বর্তমানে (মার্চ, ২০২৪) বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

   
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *