পাসপোর্ট ছাড়া ডলার এনডোর্স করা যায় না-আপনি যদি অনলাইনে বিজ্ঞাপন বা বিদেশ ভ্রমণ করতে চান তবে আপনাকে ডলার এনডোর্স করতে হবে অন্যথায় আপনি ডলার বহন বা কার্ডে ব্যয় করতে পারবেন না – ডলার এন্ডোর্স করার নিয়ম ২০২৪

ডলার এনডোর্স কি? – ডলার এন্ডোর্স হলো একটি কাগজপত্র যা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান করে তার নামে অথবা অন্য কারও নামে একটি বা একাধিক ডলার জমা করে নেয়। এই ডলার এন্ডোর্স ব্যক্তির আর্থিক সম্পদ হিসাবে কাজ করে এবং তাকে অন্য ধরনের আর্থিক লেনদেন সম্পাদনে সাহায্য করে। ধরুন, আপনি একটি ব্যবসা চালাচ্ছেন এবং প্রয়োজনে আপনার ব্যবসা এর জন্য অতি দ্রুত নগদ প্রয়োজন পরে। তখন আপনি একজন ব্যবসা বন্ধুর কাছে যাওয়ার পর তাকে আপনার নামে একটি ডলার এন্ডোর্স করতে বলতে পারেন। তার মাধ্যমে আপনি অতি দ্রুত নগদ উপস্থাপন করতে পারবেন।

একইভাবে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান একটি বিদেশী দেশে যাত্রা করতে গিয়ে তাদের নামে একটি ডলার এন্ডোর্স করতে পারেন। এই ডলার এন্ডোর্স তাদের সম্পদ বিনিময় সম্পাদনে সাহায্য করবে এবং দেশে -বিদেশে এটি আপনি অনলাইনে বা ফিজিক্যালি ব্যয় করতে পারবেন।

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য কত ডলার এনডোর্স করতে হয়? ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করতে হলে আপনাকে ভিসার ফি পরিশোধ করার আগে স্বপ্নমুহূর্তে নির্ধারিত পরিমাণ ডলার এন্ডোর্স করতে হবে। ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের জন্য স্বপ্নমুহূর্ত বা বেস ফি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য একটি সার্ভিস চার্জে প্রদান করে। এর সাধারণত দুই ধরণের ভিসা আবেদন ফি আছে – একটি একটি কেটেগরি ফি এবং মাল্টিপল এন্ট্রি ফি। ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের জন্য প্রযোজ্য ফি এবং এন্ডোর্সমেন্টের পরিমাণ সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশের সদ্য বৈধ হওয়ার পরিমাণ এবং আবেদনের ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের জন্য ৫০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত এন্ডোর্স করা হয়।

পাসপোর্ট ছাড়া ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে ডলার এনডোর্স করা যায় না / ডলার কি ইচ্ছামত এনডোর্স করা যায়?

যে পরিমাণ ডলার আপনার প্রয়োজন হবে সেই পরিমাণ ডলার ইনডোর্স করতে পারবেন। তবে প্রতিটি দেশেই সর্বোচ্চ এনডোর্স করার সীমা রেখা থাকে। যেমন আপনি সর্বোচ্চ ০৫ হাজার ডলার এনডোর্স করতে পারবেন। তবে এনডোর্স করা ছাড়াও ১০ হাজার ডলার ক্যাশ বহন করা যায়।

Caption: Dollar Endorsement in Passport

ডলার এনডোর্স করার নিয়ম ২০২৪ । যেভাবে আপনি ব্যাংক হতে ডলার এনডোর্স করবেন

  1. প্রথমত, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে ডলার এন্ডোর্স করতে চায় তার নাম, ঠিকানা এবং সংক্ষেপস্থাপন প্রদান করে।
  2. তারপর একটি এন্ডোর্সমেন্ট ফরম পূর্ণ করতে হয়। এই ফরমে ডলার এন্ডোর্স করা যাবে কিনা এবং কতটুকু ডলার এন্ডোর্স করা হবে তা উল্লেখ করতে হয়।
  3. ডলার এন্ডোর্স করার আগে আপনার সামনের কোম্পানি ও তাদের প্রোডাক্টস সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে হবে।
  4. ডলার এন্ডোর্স করার আগে একটি কন্ট্রাক্ট লেখা এবং স্বাক্ষর করতে হবে। এই কন্ট্রাক্ট আপনার এন্ডোর্সমেন্ট এবং কোম্পানির সাথে নির্দিষ্ট শর্তাবলী স্থাপিত করবে।
  5. ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করার আগে আপনার নাম এবং সাম্প্রতিক ছবি সাম্প্রতিক ওয়েবসাইটে আপলোড করে নিশ্চিত হতে হবে।
  6. ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করার সময় আপনাকে সাবধানতার সাথে কাজ করতে হবে। কোনও বিজ্ঞাপন যেন প্রতারণার রূপ না ধারণ করে এবং এটি সাম্প্রতিক সমস্যার জন্য প্রস্তাবিত না হয়।
  7. ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করে অবৈধ বা জুয়া অন্য কোন খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না।
  8. ডলার এন্ডোর্স করা হলো একটি নগদ পেমেন্ট প্রক্রিয়া যেখানে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আর্থিক লেনদেন সম্পাদনে সাহায্য করতে চায়।

বাংলাদেশীরা সর্বোচ্চ কত ডলার এন্ডোর্স করতে পারে?

বাংলাদেশী নাগরিকরা প্রতিবছর সর্বাধিক $5,000 ডলার বা সমমূল্যের টাকা এন্ডোর্স করতে পারেন। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার উপযুক্ত। তবে, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এই সীমা বৃদ্ধি করা হতে পারে, যেমন শিক্ষার্থীর জন্য বা স্বাস্থ্য সেবার জন্য ভ্রমণের ক্ষেত্রে।

ডলার ভাঙানোর নিয়ম কি?

ডলার ভাঙ্গা হলো ডলার বিনিময় করার পদক্ষেপ যা একজন ব্যবহারকারী গ্রহণযোগ্য অর্থ দেওয়ার পরেও করা যেতে পারে। কিন্তু এটি সম্ভবত অনেকটা কষ্টকর এবং ফি বা জরিমানার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।  ব্যবহারকারী একটি ডলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করে রেখে দিতে পারেন এবং তাদের পছন্দের সময় ডলার পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে পারেন। অন্যদের কাছ থেকে ডলার কিনে নিতে পারেন। তবে বিনিময়ের হিসাবে আপনি ভালো মূল্য পান না করতে পারেন। ডলার কোন ব্রোকার কোম্পানি দ্বারা ক্রয় করতে পারেন। তবে এটি আপনাকে অধিক দাম পরিশোধ করতে হতে পারে। বিদেশী কোন ব্যক্তি বা কোম্পানি থেকে ডলার কিনে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *