আজকের খবর ২০২৫

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ আপডেট ২০২৫ । ৬ হাজার ৫৩১ জনের যোগদানে আর কোনো বাধা নাই?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩য় ধাপের নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোন বাধা রইল না-সহকারী শিক্ষকগণ নিয়োগপত্র নিয়ে এখন যোগদান করতে পারবেন– সহকারী শিক্ষক নিয়োগ আপডেট ২০২৫

সহকারী শিক্ষকের যোগদানে আর কোন বাধা নাই? না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগ দিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের প্রকাশিত ফল বাতিলসংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি পেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পক্ষে করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আদেশের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। লিভ মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। ৬ হাজার ৫৩১ জনের যোগদানে আর কোনো অসুবিধা রইল না।’

শুনানী কবে ছিল? ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।   ২ মার্চ মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানি এদিন ধার্য করেন।

কোটার কারণে কি স্থাগিত হয়েছিল? হ্যাঁ। গত বছরের জুলাইয়ে আপিল বিভাগের রায়ে ৮৪ শতাংশ কোটা পদ্ধতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাতিল করেন হাইকোর্ট।রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সরকারি চাকরির ৯৩ শতাংশ মেধাভিত্তিক এবং বাকি শতাংশ কোটার ভিত্তিতে হওয়ার কথা।  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগে সরকারের আইনগত কোনো বাধা আপাতত থাকল না।”

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত হওয়ার মূল কারণ ছিল কোটা পদ্ধতি অনুসরণ না করা / সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কেন স্থগিত হয়েছিল?

গত ৩১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করে তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।  ২০২৩ সালের ১৪ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ আপডেট ২০২৫ ।  ৬ হাজার ৫৩১ জনের যোগদানে আর কোনো বাধা নাই?

Caption: DPE Teacher Recruitment

প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগ আপডেট ২০২৫ । কেন নিয়োগ স্থগিত হয়েছিল?Looking Man in Bangladesh

  1. ২০২৩ সালের ১৪ জুন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে, সরকারি চাকরির জন্য নির্ধারিত কোটা পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।  
  2. নিয়োগ বঞ্চিত কয়েকজন প্রার্থী এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনে, তারা উল্লেখ করেন যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ এবং কোটার ভিত্তিতে বাকি শতাংশ নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। এর ফলে, যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।  
  3. হাইকোর্ট এই রিট আবেদনের শুনানি করে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। পরে, ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল বাতিল করে দেওয়া হয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের ২৩ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুসরণ করে পুনরায় ফলাফল প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এখন কি সহকারী শিক্ষকগণ যোগদান করতে পারবেন?

আপিল বিভাগের রায়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত হওয়ায় এখন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচিত ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থী নিয়োগে যোগ দিতে পারবেন। এই আদেশের ফলে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগে সরকারের আইনগত কোনো বাধা আর থাকলো না। সরকারি চাকরির জন্য নির্ধারিত কোটা পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ না করার অভিযোগ ছিল। রিট আবেদনকারীরা মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানান।হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে এবং পুনরায় ফলাফল প্রকাশের নির্দেশ দেয়। এই রায়ের ফলে, ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়।

   
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *