সূচীপত্র
বাংলাদেশ রেলওয়ে শর্ট যাত্রার জন্য স্ট্যান্ডিং বা দাড়ানো টিকিট ইস্যু করে থাকে-এক্ষেত্রে টিকিটের মূল্য প্রায় ৩ ভাগের একভাগ পরিশোধ করতে হয় – বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট মূল্য ২০২৪
মাসিক স্ট্যান্ডিং টিকিট মূল্য কত? – ঢাকা- জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে ৩০টি একক যাত্রার সম্পূর্ণ ভাড়া ১৫০০/- ( এক হাজার পাচশত) টাকা নির্ধারণ করে আসন বিহীন মাসিক টিকিট ইস্যু করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একজন যাত্রী ঢাকা থেকে জয়দেব যাতায়াতের জন্য মাসিক ১৫০০ টাকা ব্যয় করে ৩০টি স্ট্যান্ডিং যাত্রা করতে পারবে। অর্থাৎ দৈনিক একটি যাত্রার জন্য ৫০ টাকা ব্যয় করতে হবে। সূত্র দেখুন
স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য কিভাবে নির্ধারিত হবে? বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আসন ও স্ট্যান্ডিং টিকিট মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। প্রতিটির দাম ৩৩০ টাকা। যেখানে স্ট্যান্ডিং টিকিটের দাম ২০০ টাকার কম আর চট্টগ্রামের শোভন শ্রেণির টিকিটের দাম ২৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট ৩৯৭টি ট্রেনের মধ্যে বর্তমানে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন ১০৪টি, লোকাল কমিউটার ও এক্সপ্রেস ট্রেন আছে ২৫৩টি এবং মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা প্রায় ৪০টি। তাই অগনিত যাত্রীর জন্য নির্ধারিত পরিমাণ রেল ও আসন থাকার কারণে প্রায়ই টিকিটের সংকট দেখা যায়।
অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট ক্রয়ের সময়ও মূল্য দেখায় / বাংলাদেশের রেলওয়ে টিকিটের মূল্য দেখে নিন
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলে ভ্রমণের জন্য দূরত্ব অনুসারে ভাড়া নির্ধারণ করে থাকে। ঢাকা থেকে জয়দেবপুর ৩৪ কি:মি: ভ্রমণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম আদায়যোগ্য ভাড়া ১১৫ টাকা। স্ট্যান্ডিং মাসিক টিকিট ৫০ টাকা হারে ১৫শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পূর্বাঞ্চল ট্রেনের ভাড়ার তালিকা (বাংলা)
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০১৬ । রেলওয়ে বাহিনীর সদস্যের শাস্তি কি?
অনুচ্ছেদ ৯। (১) বাহিনীর কোনো সদস্য অবাধ্য, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণ, দুর্নীতি, কর্তব্যে অবহেলা বা শিথিলতা বা অন্য কোনো কার্যের দ্বারা নিজেকে কর্তব্য পালনে অযোগ্য প্রতিপন্ন করিবার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইলে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, কারণ উল্লেখপূর্বক, নিম্নবর্ণিত যে কোনো এক বা একাধিক শাস্তি প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:
- (ক) বরখাস্ত;
- (খ) অপসারণ;
- (গ) বাধ্যতামূলক অবসর;
- (ঘ) পদাবনমিত;
- (ঙ) পদোন্নতি স্থগিতকরণ;
- (চ) অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসরের জন্য জ্যেষ্ঠতা স্থগিতকরণ;
- (ছ) অনূর্ধ্ব ১ (এক) মাসের বেতন ও ভাতাদি বাজেয়াপ্তকরণ;
- (জ) বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ;
- (ঝ) অনূর্ধ্ব ১ (এক) মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা;
- (ঞ) অনূর্ধ্ব ১৪ (চৌদ্দ) দিনের কোয়ার্টার গার্ডে আটক রাখাসহবা ব্যতীত ড্রিল (Drill), এক্সট্রা গার্ড (Extra Guard), ফ্যাটিগ (Fatigue) বা অন্য ডিউটি প্রদান; বা
- (ট) তিরস্কার। (২) উপ-ধারা (১) অনুসারে বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকালে তদন্ত করিবার প্রয়োজন হইলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করিতে পারিবেন এবং সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তাহার চাকুরির সনদ অকার্যকর থাকিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে- (ক) চীফ কমান্ড্যান্ট কর্তৃক আদেশ প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ; এবং (খ) কমান্ড্যান্ট বা সহকারী কমান্ড্যান্ট কর্তৃক আদেশ প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, চীফ কমান্ড্যান্ট এর নিকট আপিল করা যাইবে। (৪) এই ধারার অধীন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের শাস্তি কি?
বিনা টিকিটে ধরা পড়লে হাজতবাস এবং জরিমানা, উভয়েরই বিধান রয়েছে। টিকিট না কেটে ট্রেনে চড়ে যে যাত্রীরা টাকা বাঁচাতে চান, তাঁরা হয়তো খেয়াল রাখেন না, ধরা পড়লে ট্রেন ভাড়ার কয়েক গুণ অর্থ জরিমানা হিসাবে দিতে হবে। রেলের আইন অনুযায়ী, বিনা টিকিটে ধরা পড়লেই ২৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।