সূচীপত্র
সরকারি শিক্ষানীতি-২০১০ এর আলোকে দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে নতুন করে বয়সসীমা নির্ধারণ করেছে সরকার। একইসঙ্গে, লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদনের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) গত বুধবার (০১ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরী।
🎒 বয়সসীমা নির্ধারণ: ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে সর্বনিম্ন ১১ বছর
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “সরকারি শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৯ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর বয়স ১৬+ হতে নির্দিষ্ট করতে হবে।” এই নীতি অনুসরণ করে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ১১ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়াও, অন্য শ্রেণিগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি বছর একটি করে বয়স যোগ করে নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ, ৭ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সর্বনিম্ন বয়স হবে ১২ বছর, ৮ম শ্রেণিতে ১৩ বছর এবং ৯ম শ্রেণিতে ১৬ বছর।
🗓️ আবেদনের সময় বৃদ্ধি, লটারি ১৫ ডিসেম্বর
জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে যে সকল শিক্ষার্থী এখনও অনলাইনে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেনি, তাদের সুবিধার্থে আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পরিবর্তিত সময়সূচি নিম্নরূপ:
| ধাপ | পূর্বের শেষ সময় | বর্ধিত/নির্ধারিত শেষ সময় |
| অনলাইনে আবেদন | — | ৮ ডিসেম্বর ২০২১, রাত ১২টা |
| অনলাইনে লটারি/নির্বাচন প্রক্রিয়া | — | ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ |
মাউশি সংশ্লিষ্ট সকলকে বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের অবহিত করার অনুরোধ করেছে।

মাধ্যমিকে ভর্তি হতে কত খরচ হয়?
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি) ভর্তি হওয়ার খরচ স্কুলের ধরন, অবস্থান এবং ভার্সনের (বাংলা/ইংরেজি) ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ভর্তি ফি নির্ধারণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালা দেওয়া হয়।
সারসংক্ষেপে ভর্তির খরচ সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
খরচের এই তারতম্য অঞ্চল এবং স্কুলের প্রকারভেদে নিচে তুলে ধরা হলো:
🏫 ভর্তির সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী, বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে অঞ্চলভিত্তিক সর্বোচ্চ ফি’র সীমা সাধারণত নিম্নরূপ হয়ে থাকে। এই ফি সাধারণত ভর্তি ফি, সেশন চার্জ এবং উন্নয়ন ফিসহ সর্বসাকুল্যে ধরা হয়:
| স্কুলের ধরন ও অবস্থান | ভার্সন | সর্বোচ্চ ভর্তি ফি (আনুমানিক) |
| মফস্বল এলাকা (সেশন চার্জ সহ) | বাংলা | ৫০০ টাকার বেশি হবে না |
| উপজেলা ও পৌর এলাকা | বাংলা | ১,০০০ টাকা |
| মহানগর এলাকা (ঢাকা বাদে) | বাংলা | ৩,০০০ টাকা |
| রাজধানী ঢাকা (এমপিওভুক্ত স্কুল) | বাংলা | ৫,০০০ টাকা |
| রাজধানী ঢাকা (আংশিক এমপিওভুক্ত স্কুল) | বাংলা | ৮,০০০ টাকা |
| রাজধানী ঢাকা (আংশিক/নন-এমপিওভুক্ত স্কুল) | ইংরেজি | ১০,০০০ টাকা |
📌 বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ফিগুলো সর্বোচ্চ সীমা নির্দেশ করে। প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে সরকার এটি হালনাগাদ করতে পারে এবং স্কুলগুলো এই সীমার মধ্যে নিজস্ব ফি নির্ধারণ করে।
💰 অন্যান্য খরচ
ভর্তি ফি ছাড়াও একজন শিক্ষার্থীকে অন্যান্য কয়েকটি খরচ বহন করতে হয়:
ভর্তির আবেদন ফি: সরকারি ও বেসরকারি উভয় স্কুলেই অনলাইনে ভর্তির আবেদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি (সাধারণত ১০০ থেকে ১১০ টাকা) প্রদান করতে হয়।
মাসিক বেতন: ভর্তির পরে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট হারে মাসিক বেতন দিতে হয়।
বই ও উপকরণ: নতুন বই, স্কুল ড্রেস এবং অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ কেনার খরচ।
উন্নয়ন ফি: নীতিমালায় বলা আছে, রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো ৩,০০০ টাকার বেশি উন্নয়ন ফি নিতে পারবে না।
