২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে – Class 9 Registration Notice

নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশনস কবে শুরু হবে? –উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশক্রমে এ বোর্ডের আওতাধীন স্বীকৃতপ্রাপ্ত ও পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত সকল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষককে জানানো যাচ্ছে, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণিতে ভর্তি ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ১২ জুলাই হতে নির্দেশনাবলি অনুসরণপূর্বক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা করা হয়েছে।

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে কত ফি লাগে? জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ০৩ (তিন) বছরের মধ্যে দেশের যেকোন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অবশ্যই নবম শ্রেণিতে ভর্তি হবার সুযোগ পাবে। নবম শ্রেণিতে ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল নম্বরসহ সকল তথ্য অনলাইনে আপলোড করতে হবে। অনলাইনে আপলোডকৃত তথ্য না থাকলে শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন দাবী করা যাবে না। নিবন্ধনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, কোন শিক্ষার্থীর বয়স ১২ বছর পূর্ণ না হলে এবং ১৮ বছরের অধিক হলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে না। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২৩ বছর।

জনপ্রতি রেজিস্ট্রেশন ফি– (ক) বিলম্ব ফি ব্যতিত জনপ্রতি ১৭১/- (একশত একাত্তর) টাকা এবং (খ) বিলম্ব ফিসহ জনপ্রতি ৩১১/- (তিনশত এগার) টাকা মাত্র।  বিলম্ব ফি জনপ্রতি : ১৪০/- (একশত চল্লিশ) টাকা মাত্র। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করলে মাত্র ১৭১ টাকায় রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

রেজিস্ট্রেশন ফি ও অন্যান্য ফি । রেডক্রিসেন্ট ফি ১৬ টাকা এবং বিএনসিসি ফি ৫ টাকা

রেজি ফি ৮০ টাকা, ক্রীড়া ফি ৫০ টাকা গালস গাইড ফি ১৫ টাকা, বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি ফি ৫ টাকা বিলম্ব ফি ১৪০ টাকা। বিলম্ব ফি সহ সর্বমোট ৩১১ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনকরণ Notice Full PDF Download

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে । রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে কোন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিযুক্ত করা যাবে না।

  1. শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য তথ্য আপলোড করার লক্ষ্যে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে ০৩(তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি রেজিস্ট্রেশন কমিটি গঠন করতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর চুড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সদস্যদের দ্বারা বিদ্যালয়ে রক্ষিত ভর্তি ফরম ও সনদের সাথে মিলিয়ে যথাযথভাবে নিশ্চিত করবেন। নিশ্চিত হবার পর ফাইনাল সাবমিট করবেন।
  2. রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে কোন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিযুক্ত করা যাবে না। চূড়ান্ত তালিকার প্রিন্ট আউট (হার্ড কপি) প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর তথ্যে ভুল-ত্রুটির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সদস্যগণ যৌথভাবে দায়ী থাকবেন;
  3. নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য কোন শিক্ষার্থীকে কোন অবস্থাতেই রেজিস্ট্রেশনভুক্ত করা যাবে না। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
  4. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৭/১২/২০২০ তারিখের স্মারক নং- ৩৭.০০.০০০০.০৭২.৪৪.০২২.১৭.৪৩৬ মোতাবেক ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে (২০+২০)=৪০/- টাকা হারে রেড ক্রিসেন্ট ফি আদায় করে, আদায়কৃত অর্থের ৪০% অর্থাৎ ১৬/- টাকা হারে শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে ও অবশিষ্ট ৬০% অর্থাৎ ২৪/- টাকা হারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে (স্বতন্ত্র একাউন্ট খুলে) যুব রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাখতে হবে;
  5. ফি জমাদানের জন্য বোর্ডে আসার প্রয়োজন নেই;
  6. ব্যাংকে টাকা জমাদানের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান eSIF পূরণ শুরু করতে পারবে;
  7. বোর্ড কর্তৃক সরবরাহকৃত মোবাইল সিম ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে;
  8. স্বীকৃতি বিহীন/হালনাগাদ স্বীকৃতি নবায়ন নেই এ ধরণের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশন/পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অসুবিধা হলে বোর্ড দায়ী নহে ।
  9. উপরোক্ত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে বা এ কারণে শিক্ষার্থীর কোনো সমস্যা হলে এর দায়-দায়িত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে।
  10. বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কি না’ তা উল্লেখ করতে হবে এবং প্রমাণ স্বরূপ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ সংযুক্ত করতে হবে।
  11. প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ সংযুক্ত করতে হবে।
  12. যেসকল স্কুল, স্কুল ও কলেজ, কলেজ-এর নিম্নমাধ্যমিক/ মাধ্যমিক পর্যায়ে হালনাগাদ পাঠদান/ একাডেমিক স্বীকৃতি/ স্বীকৃতি নবায়নের মেয়াদ নেই সেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অতিসত্ত্বর পাঠদান/ একাডেমিক স্বীকৃতি স্বীকৃতি নবায়নের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ না থাকলে কত টাকা জমা দিতে হবে?

আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১০০০/- (এক হাজার) টাকা এবং মেম্বারশীপ (বিশ্ব স্কাউট সংস্থার) ফি ৪০০/- (চারশত) টাকা চেক/ডিডি-এর মাধ্যমে “চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা” শিরোনামে সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৪৪০২৪৩৪০২৫৯০১, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বিআইএসই শাখা, ঢাকা জমা দিয়ে মূল রশিদের অনুলিপি (বিদ্যালয়ের নামসহ) নিম্নস্বাক্ষরকারীর নিকট প্রদর্শন করতে হবে। ইতিপূর্বে যারা ১০০০/- (এক হাজার) টাকা আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য চাঁদা প্রদান করেছে সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ইহা প্রযোজ্য হবে না । প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক) পর্যায়ে স্বীকৃতি/স্বীকৃতি নবায়ন হালনাগাদ থাকতে হবে। যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ স্বীকৃতি/স্বীকৃতি নবায়ন নেই, সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত ফি দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি নবায়ন নেই, সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রতি ০৩(তিন) বছরকে পূর্ণ ০১ (এক) মেয়াদ ধরে প্রতি মেয়াদে নির্ধারিত ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা হিসেবে সমন্বয় করে সোনালী সেবার বিবিধ খাতে উক্ত অর্থ জমা দিয়ে মূল রশিদের অনুলিপি স্ক্যানিং করে হালনাগাদ স্বীকৃতি নবায়নের আবেদনের সাথে সংযুক্ত করার পর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *