পাসপোর্ট তথ্য

পাসপোর্টে সিগনেচার ২০২৪ । NID কার্ড এবং পাসপোর্টের স্বাক্ষর ভিন্নতা থাকলে কি করবেন?

পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের স্বাক্ষরের ভিন্ন থাকলে বিপদে পড়বেন কিনা তা নিয়েই আলোচনা করা হবে- পাসপোর্টে সিগনেচার একই হওয়া আবশ্যক কিনা?

জনাব তৌসিফ আহমেদ ২০০৬ সালে NID কার্ড পেয়েছেন। সেসময় NID কার্ডে স্বাক্ষর হিসেবে তিনি নিজের নাম সম্পূর্ণ ভাবে লিখেছেন (বাংলা / ইংরেজিতে)। পরবর্তীতে তিনি Passport করার সময় ভিন্ন/সংক্ষিপ্ত/ সাংকেতিক কোন স্বাক্ষর দিয়েছেন।

বর্তমানে জনাব তৌসিফ ভিসার জন্য একটি দেশে আবেদন করতে চাচ্ছেন। এমতাবস্থায়, তিনি কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কারণ তার এই স্বাক্ষরের ভিন্নতা তার ভিসা পেতে সমস্যা করবে কি না? চলুন আজ জানি, NID কার্ড এবং পাসপোর্টের স্বাক্ষরে ভিন্নতা থাকলে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা হবে কি না?

NID কার্ড এবং পাসপোর্টের স্বাক্ষরে ভিন্নতা থাকলে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা হবে না। এমনকি, আপনার যদি বর্তমান পাসপোর্ট না থাকে এবং নতুন করে পাসপোর্ট আবেদন করতে চান সেখানেও আপনাকে একই স্বাক্ষর ব্যবহার করার কোন বাধ্যবাধকতা বা শর্ত নেই। অর্থাৎ আপনি আপনার প্রয়োজনে NID কার্ড এবং পাসপোর্টে ভিন্ন ধরনের বা ভিন্ন ভাষার স্বাক্ষর ব্যবহার করতে পারবেন।

সহজ কথায় বলতে গেলে, আপনার NID কার্ড যদিও অনেক আগে করার কারণে স্বাক্ষর হিসেবে আপনি পুরো নাম/ বাংলা ভাষায়/ ইংরেজিতে লিখে থাকেন তবুও পাসপোর্ট সংক্ষিপ্ত বা অন্য কোন ভাষায় দিতে পারবেন। এবং এতে করে ভবিষ্যতে আপনার কোন সমস্যা হবেনা এমনকি ভিসা পেতেও সমস্যা হবেনা।

তবে ভবিষ্যতে যদি কখনো আপনার NID কার্ড সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে বা সংশোধন করেন তবে আপনি চাইলে একই সময় আপনার স্বাক্ষরও পরিবর্তন করে নিতে পারেন। এমনকি MRP পাসপোর্ট থেকে ডিজিটাল করার সময় অথবা রিনিউ করার সময় আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্টের স্বাক্ষরও পরিবর্তন করে নিতে পারেন।

পাসপোট বনাম জাতীয় পরিচয়পত্র স্বাক্ষর

তবে ভিন্ন মতও রয়েছে।

4 thoughts on “পাসপোর্টে সিগনেচার ২০২৪ । NID কার্ড এবং পাসপোর্টের স্বাক্ষর ভিন্নতা থাকলে কি করবেন?

  • সুন্দর সমাধান

    Reply
    • আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ

      Reply
  • ভাই, আমি সোনালী ব্যাংকের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং নিয়মিত পেনশনভোগী। আমার জন্য একখানা ই-পাসপোর্ট করতে চাই। পেশা হিসাবে কি লেখা উচিত হবে আপনার মূল্যবান মতামত জানালে উপকৃত হবো।

    Reply
    • চাকরি হতে অবসর গমনের পর বা অবসর উত্তর ছুটি (পি.আর.এল.) আরম্ভের তারিখ হতে “সরকারি চাকরি আইন ২০১৮” এর ৫২ ধারা মোতাবেক কোনো ব্যক্তি, চুক্তিভিত্তিক কর্মরত থাকা ব্যতীত, বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি বা কোনো প্রকল্পে চাকরি গ্রহণ, অন্য কোনো পেশা গ্রহণ বা ব্যবসা পরিচলনা এবং বিদেশ যাত্রা বা এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম; যেমন-নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ ও পাসপোর্ট নবায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকার বা কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। তাই আপনি যা করেন তাই লিখবেন, যেমন পেনশনে গিয়ে যদি ব্যবসা করে ব্যবসায়ী, কৃষি কাজ করলে কৃষক। সরকারি চাকরিজীবি পেশা উল্লেখ করতে পারবেন না।

      Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *