সূচীপত্র
সোনালী ব্যাংকের ন্যানো লোন (Sonali Bank Nano Loan) মূলত একটি ডিজিটাল ঋণ পরিষেবা, যা অনলাইনে আবেদন করা যায়। সোনালী ই-ওয়ালেট (Sonali e-Wallet) ব্যবহার করে এই লোন পাওয়া যায়। ন্যানো লোন পেতে হলে, প্রথমে সোনালী ই-ওয়ালেট একাউন্ট থাকতে হবে। এরপর, সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে অথবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ন্যানো লোনের জন্য আবেদন করতে হবে – Sonali Bank Digital Loan 2025
ন্যানো লোন কারা পাবেন? সোনালী ব্যাংকের Digital Loan (Nano Loan) ০১ জুলাই, ২০২৫ খ্রি. থেকে Sonali e-Wallet ব্যবহারকারীগণের জন্য এটা চালু হয়েছে। যারা পাবেন- ক) সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারীবৃন্দ। খ) সরকারি, বেসরকারি চাকুরীজিবি। গ) ভাতাভোগী। ঘ) পেনশনার।
কত টাকা এই ক্ষুদ্র ঋণ পাওয়া যাবে? ঋনসীমা-৫০০/- থেকে ৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত নেয়া যাবে। ঋণের মেয়াদ-৬ মাস ( মেয়াদী ঋণ) যা এই সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে। চাইলে আগেই পরিশোধ করা যাবে। আপনার লোন লিমিট যাদ ৫০,০০০ টাকা থাকে তবে আপনি চাইলে ২০ হাজার টাকা লোন নিতে পারেন। আপনার ঋণের মেয়াদের পূর্বে ১ সপ্তাহ বা ১ মাস পরই পরিশোধ করতে পারবেন ডিজিটাল উপায়ে।
ন্যানো লোনের সুদ হার বিকাশের থেকে বেশি কেন? বিকাশে সুদ হার ৯% সেখানে ন্যানো লোনে সুদ হার ১২% এছাড়াও অন্যান্য চার্জও বেশি। আপনাকে যে বিষয়গুলো জানতে হবে সিআইবি চার্জ লোন এমাউন্ট থেকে কাটা যাবে। এই লোন বিতরণের সময় সকাল ১০:০০ টা হতে সন্ধ্যা ৬:০০ টা পর্যন্ত অর্থাৎ অফিস চলাকালীন সময়। যদি সপ্তাহের শেষে বা ছুটির দিনে আবেদন করেন তবে তা পরবর্তী অফিস কর্মদিবসে জমা হবে।
ন্যানো লোন ৫০০ টাকা হতে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত লিমিট ২০২৫ / ২৩০ টাকা সিবিআই চার্জ কর্তন করা হবে
ব্যাংক ঋণের সিবিআই চার্জ কি? ব্যাংক ঋণের সিবিআই (CIB) চার্জ বলতে বোঝায়, ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (Credit Information Bureau) থেকে ঋণ গ্রহীতার ক্রেডিট রিপোর্ট তোলার জন্য যে চার্জ ধার্য করা হয়। এটি মূলত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রদত্ত ফি। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সময়, ব্যাংক সাধারণত CIB থেকে ঋণ গ্রহীতার ক্রেডিট রিপোর্ট যাচাই করে। এই রিপোর্টে ঋণ গ্রহীতার আগের নেয়া ঋণের তথ্য, পরিশোধের ইতিহাস ইত্যাদি থাকে। এই রিপোর্ট যাচাই করার জন্য ব্যাংক একটি ফি দিয়ে থাকে, যা CIB চার্জ নামে পরিচিত।
Caption: Nano Loan
ঋণ পাওয়ার নিয়ম ২০২৫ । সোনালী ব্যাংকে ই ওয়ালেট ব্যবহার করে ন্যানো লোন নিতে হবে।
- সোনালী ই ওয়ালেট এ্যাপস থেকে Nano Loan- এ যাবেন।
- ক্লিক Nano loan
- ক্লিক Nano loan request
- লোন এমাউন্ট লিখবেন। ( আপনার যত দরকার)
- ক্লিক VIEW DETAILS ( VIEW DETAILS-এ আপনার আবেদনকৃত ঋণের পরিমান, সিআইবি চার্জ, মুনাফার হার এবং অন্যান্য তথ্য দেখাবে)।
- এরপর আপনি পিন নম্বর দিবেন।
- Confirm loan- এ ক্লিক করবেন।
- Loan Amount আপনার Wallet একাউন্ট এ জমা হবে। ই ওয়ালেট ডাউনলোড লিংক
ডিজিটাল ন্যানো লোন কি?
ডিজিটাল ন্যানো লোন হলো একটি ছোট আকারের জামানতবিহীন ঋণ যা সাধারণত মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এই ঋণ মূলত প্রান্তিক ও নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাদের ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। এই ঋণ সাধারণত অল্প পরিমাণে (যেমন ৫০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত) দেওয়া হয়। ন্যানো লোনের জন্য সাধারণত কোনো জামানত বা গ্যারান্টার এর প্রয়োজন হয় না। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের কারণে এই ঋণ দ্রুত পাওয়া যায়। এই ঋণ সাধারণত বিকাশ, রকেট, উপায়-এর মতো মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। ডিজিটাল ন্যানো লোন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, সিটি ব্যাংক ও বিকাশ যৌথভাবে ডিজিটাল ন্যানো লোন দিয়ে থাকে। এই সুবিধার মাধ্যমে গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই ঋণ নিতে পারেন। এখন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ন্যানো লোন দেয়া শুরু করেছে।
সোনালী ই-ওয়ালেট দিয়ে যা যা করা যায় তার বিস্তারিত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো
টাকা স্থানান্তর: গ্রাহকরা তাদের সোনালী ব্যাংক একাউন্ট থেকে অন্য যে কোনো সোনালী ব্যাংক একাউন্টে বা অন্য ব্যাংকের একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন। | মোবাইল রিচার্জ: এই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের ব্যালেন্স রিচার্জ করা যায়। | বিল পরিশোধ: ইউটিলিটি বিল, যেমন – বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়। |
একাউন্ট দেখা ও স্টেটমেন্ট চেক করা: গ্রাহকরা তাদের একাউন্টের ব্যালেন্স দেখতে এবং একাউন্ট স্টেটমেন্ট দেখতে পারেন। | বিভিন্ন পেমেন্ট: বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট যেমন – কেনাকাটার পেমেন্ট, অনলাইন পেমেন্ট ইত্যাদি করা যায়। | অন্যান্য পরিষেবা: সোনালী ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন পরিষেবা উপভোগ করা যায়, যেমন – বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবার ফি পরিশোধ করা। |