সূচীপত্র
”শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম” (TWTMS) সফটওয়্যারটি চালু করা হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষকগণ অনলাইনের মাধ্যমে বার্ষিক চাঁদা দিতে পারবেন। বার্ষিক চাঁদা ২০০ (দুই শত) টাকা করে। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দুশো টাকা করে চাঁদা প্রদান করতে হবে। চাঁদা প্রদান করার পর চিকিৎসা সহযোগিতা ও উচ্চ শিক্ষা বৃত্তির আবেদন করা যাবে। নিচে দেয়া লিংক এক প্রবেশ করে লগ ইন এ ক্লিক করে IPEMIS এ দেয়া মোবাইল নম্বর দিতে হবে, পাসওয়ার্ড Dpe@123 দিয়ে লগ ইন করতে হবে। তারপর অনলাইনে কার্ড ,বিকাশ, নগদ, ব্যাংক একা্উন্টের মাধ্যমে অনলাইনে চাঁদা পরিশোধ করতে হবে।–শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ২০২৫
সরকার এই চাঁদা কিভাবে নির্ধারণ করেছে? সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা, কাজের গতি তরান্বিতকরণ, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে “শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (TWTMS)” নামে একটি সফটওয়্যার তৈরী করা হয়েছে। সফটওয়্যারটি URL http://twtms.dpe.gov.bd এর মাধ্যমে লগইন করতে হবে। উক্ত সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষকদের বার্ষিক চাঁদা আদায়, চিকিৎসা সহযোগিতা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তির আবেদন প্রদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে সকল কর্মকর্তাদের বিভাগ ভিত্তিক অবহিতকরন zoom প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার, ট্রাস্ট আইন ২০২৩ সম্পর্কে অবহিতকরণ ও বার্ষিক চাঁদা আদায় নিশ্চিতকরণ বিষয়ে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:
ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা কোন আইনে? আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, Government Primary School Teachers Welfare Trust Ordinance, 1985 (Ordinance No. XXVI of 1985 ) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত The Government Primary School Teachers Welfare Trust, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট নামে অভিহিত হইবে এবং উহা এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ট্রাস্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে ।
প্রধান কার্যালয় কোথায়? ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকায় থাকিবে । বোর্ড, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে। ট্রাস্টের পরিচালনা ও প্রশাসন বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ট্রাস্ট যেসকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ডও সেইসকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
বোর্ডের সভায় কোরামের জন্য অন্যূন এক- –তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতুবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
বোর্ডের সভায় প্রত্যেক ট্রাস্টির একটি করিয়া ভোট থাকিবে, ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।কেবল সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তদ্সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না ।
Caption: http://twtms.dpe.gov.bd
ট্রাস্টি বোর্ড গঠন ২০২৫ । শিক্ষক প্রতিনিধিও কি থাকবে বোর্ডে?
- ট্রাস্টি বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :- ক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
- সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদমর্যাদার ১ (এক) জন কর্মকর্তা যিনি উহার ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;
- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) যিনি উহার কোষাধ্যক্ষও হইবেন; (
- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) ও যুগ্মসচিব (বিদ্যালয়), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন) ও উপ-পরিচালক (প্রশাসন) এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পরিচালক (প্রশাসন); এবং
- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক মনোনীত, প্রতিটি বিভাগ হইতে
১ (এক) জন করিয়া এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা হইতে ২ (দুই) জন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
(২) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য-সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৩) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বোর্ডের কার্যাবলি নির্বাহ করিবার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করিবে।
(৪) মনোনীত ট্রাস্টিগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন: - তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, বা ক্ষেত্রমত, মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে, যে কোনো সময় তদকর্তৃক মনোনীত যেকোনো সদস্যকে মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
- সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো ট্রাস্টি সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে এবং মহাপরিচালক কর্তৃক মনোনীত কোনো ট্রাস্টি মহাপরিচালকের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে, যেকোনো সময়, স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
ট্রাস্টের কাজ কি?
শিক্ষক ও পোষ্যদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান। পোষ্যদের শিক্ষা সহায়তার উদ্দেশ্যে এককালীন আর্থিক সহায়তা বা বৃত্তি প্রদান। পোষ্যদের জন্য বৃত্তিমূলক ও অন্যান্য পেশাগত প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান। চাকরিরত অবস্থায় কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হইলে যদি ঐ শিক্ষকের অপ্রাপ্তবয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা তৃতীয় লিঙ্গের সন্তান থাকে, তাহা হইলে উক্ত সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাহার লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের তহবিল হইতে প্রদান। শিক্ষকদের নিকট হইতে এককালীন অর্থ ও বার্ষিক চাঁদা সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা। চাকরিরত অবস্থায় কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হইলে তাহার পোষ্যগণ নির্ধারিত হারে ও পদ্ধতিতে, এককালীন অনুদান প্রাপ্য হইবেন; এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অন্য কোনো কার্য সম্পাদন ।
ট্রাস্টের গেজেট দেখুন | ||