সূচীপত্র
বাংলাদেশে বেসরকারি স্কুল ও কলেজে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আর থাকছে না নারী কোটা- নারী বা মহিলা কোটা ২০২৫
মহিলা কোটা বাতিল? হ্যাঁ। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশের ক্ষেত্রে মহিলা কোটার বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো- (ক) বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষেত্রে মহিলা কোটা থাকবে না; (খ) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এম.পি.ও. নীতিমালা-২০২১ এর পরিশিষ্ট-ঘ এর (ক)-এ বিদ্যালয় অংশের ক্রমিক ২৪-এ ‘সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)’ পদের বিষয়ে এবং (খ)-এ কলেজ অংশের ক্রমিক ১৫-এ “শরীর চর্চা শিক্ষক” পদে নিয়োগের নিমিত্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা (ন্যুনতম) ও শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি কি? চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি হলো নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক পদ বিভিন্ন বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা। এটি মূলত অনগ্রসর ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর সরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়াতে, তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এবং সাম্য ও সামাজিক সুবিধার জন্য চালু করা হয়। কোটা পদ্ধতি মূলত অনগ্রসর, দুর্বল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়াতে এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চালু করা হয়।
এখন কত শতাংশ কোটা রয়েছে? বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে রয়েছে – মুক্তিযোদ্ধা কোটা, নারী কোটা, জেলা কোটা, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা এবং তৃতীয় লিঙ্গ কোটা। সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটার জন্য নির্দিষ্ট হার রয়েছে, যা সময় সময় পরিবর্তিত হতে পারে। বর্তমানে, সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন ও আলোচনা হয়েছে, তবে বর্তমানে এটি চালু আছে, যদিও কোটার হার এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরি নিয়ে সময়ে সময়ে পরিবর্তন হতে পারে।
নারীরা এখন বুঝবে কম্পিটিশন কি এবং কত প্রকার। চাকরিতে বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে নারী কোটা রাখা হয়েছিল নারীর ক্ষমতায়নের জন্য। সেই প্রয়োজন এখনো শেষ হয়নি কিন্তু সর্বত্র কোটা বাদ দেয়ার কুফল নারাীরা এবার টের পাবে।
কোটা পদ্ধতির সুবিধা কি? অনগ্রসর ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর সরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠানে সহায়তা করে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য তৈরি হয়, যা বিভিন্ন মতামত ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণে সাহায্য করে।
Caption: Woman Quota bangladesh
বাংলাদেশে নারী কোটা ২০২৫ । বর্তমানে কি নারী কোটা নাই?
- বর্তমানে, সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ
- মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ শতাংশ
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ও
- তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোটা পদ্ধতির অসুবিধা কি?
যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিবর্তে কোটার কারণে কিছু ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে কোটার কারণে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুযোগ কমে যেতে পারে। কোটা পদ্ধতির কারণে কিছু ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ থাকতে পারে। কোটা পদ্ধতি একটি বিতর্কিত বিষয়, তবে এর মাধ্যমে অনগ্রসর ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং সাম্য প্রতিষ্ঠানে সহায়তা করা সম্ভব।
পূর্বে কোটা পদ্ধতি কেমন ছিল? বাংলাদেশের সরকারি চাকরির জন্য মোট ৫৫% কোটা ব্যবস্থা রয়েছে, যার মধ্যে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০% জেলা কোটা, ১০% নারী কোটা এবং ৫% ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা কোটা বরাদ্দ। এছাড়া, নিয়ম অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে ১% প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা বরাদ্দ রয়েছে।
কোটা পদ্ধতির বিস্তারিত হলো:- মুক্তিযোদ্ধা কোটা: ৩০%
- নারী কোটা: ১০%
- জেলা কোটা: ১০%
- ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা কোটা: ৫%
- প্রতিবন্ধী কোটা: ১% (যদি অন্য কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায়)