ইন্টারনেট ও কল রেট

স্টারলিংক ইন্টারনেট প্যাকেজ ২০২৫। ইন্টারনেট সংযোগ প্রাপ্তির জন্য অর্ডার প্লেস করবেন কিভাবে?

স্টারলিংক সেবা চালু হলে দেশের প্রতিটি গ্রাম, দ্বীপাঞ্চল, দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল অতি উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার আওতায় চলে আসবে। স্টারলিংকের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট বাংলাদেশের ডিজিটাল জগতে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে–স্টারলিংক বাংলাদেশ ইন্টারনেট প্যাকেজ ২০২৫

স্টারলিংক কবে চালু হবে? স্টারলিংক (Starlink), ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা, ২০ মে ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। এই সেবা দেশের প্রত্যন্ত ও অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকাগুলিতে উচ্চগতির, নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। 

স্টারলিংক বাংলাদেশের প্যাকেজ ও মূল্য কত? স্টারলিংক বাংলাদেশে দুটি রেসিডেনশিয়াল প্যাকেজ অফার করছে: Starlink Residential: মাসিক ফি: ৳৬,০০০ গতি: সর্বোচ্চ ৩০০ Mbps ডেটা সীমা: অসীমিত Residential Lite: মাসিক ফি: ৳৪,২০০ গতি: সর্বোচ্চ ৩০০ Mbps ডেটা সীমা: অসীমিত প্রাথমিক সেটআপ খরচ: উভয় প্যাকেজের জন্য এককালীন হার্ডওয়্যার কিটের মূল্য ।

️ হার্ডওয়্যার কিটের অন্তর্ভুক্তি কি কি? স্টারলিংক হার্ডওয়্যার কিটে রয়েছে: স্যাটেলাইট ডিশ, Wi-Fi রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড,  কেবলসমূহ ইনস্টলেশন: এই কিট স্ব-ইনস্টলেশনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ব্যবহারকারীকে নিশ্চিত করতে হবে যে স্যাটেলাইট ডিশের জন্য আকাশের একটি অবরুদ্ধহীন দৃশ্য রয়েছে ।

স্টারলিংক বাংলাদেশ / কোনো সরকার জনগণের ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকারে আর হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

Caption: Star Link Bangladesh Order Now

স্টার লিংক বাংলাদেশ ২০২৫ । স্টারলিংকের ইন্টারনেটে ডাউনলোড গতি কত হবে?

  1. স্টারলিংক সংযোগের অর্ডার করতে প্রথমে স্টারলিংক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  2. এরপর নির্ধারিত ঠিকানা লিখে বা কারেন্ট লোকেশন আইকনে ক্লিক করলেই অর্ডার নেওয়ার পেজে পেমেন্ট অপশন দেখা যাবে।
  3. এবার পছন্দের প্যাকেজ নির্বাচন করে চেক আউট বাটনে ক্লিক করার পর যোগাযোগের ঠিকানা ও স্থানীয় ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া পেমেন্টের বিস্তারিত তথ্য লিখে অর্ডার করতে হবে।
  4. অর্ডার নেওয়ার সময় স্টারলিংক থেকে জানানো হচ্ছে, সেবা গ্রহণের জন্য ফটো আইডির কপি জমা দিতে হবে।
  5. ইন্টারনেট–সেবার রাউটার ও অন্যান্য যন্ত্র তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছে দেবে স্টারলিংক। অর্ডারের জন্য স্টারলিংক স্ট্যান্ডার্ড কিট কেনার জন্য ৪৭ হাজার টাকা ও শিপিং চার্জ ২ হাজার ৮০০ টাকা অর্থাৎ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা জমা দিতে হবে।
  6. এ ছাড়া চাইলে স্টারলিংকের কাছ থেকে পিভট মাউন্ট, ওয়াল মাউন্ট বা পাইপ অ্যাডাপ্টরও কেনা যাবে।
  7. পণ্যগুলো কিনতে খরচ হবে যথাক্রমে ৬ হাজার ৭০০, ৫ হাজার ৯০০ ও ২ হাজার ৬০০ টাকা। সংযোগ চালুর পর প্রতি মাসে নির্ধারিত প্যাকেজ অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

ইন্টারনেট প্যাকেজ অর্ডার করার প্রক্রিয়া কি?

বাংলাদেশে স্টারলিংক অর্ডার করতে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন: starlink.com/map?country=BD ওয়েবসাইটে যান। আপনার ঠিকানা প্রবেশ করুন এবং “Order Now” ক্লিক করুন। ড্রপডাউন থেকে প্রস্তাবিত ঠিকানা নির্বাচন করুন। আপনার পছন্দসই প্যাকেজ নির্বাচন করুন এবং “Check Out” ক্লিক করুন। আপনার যোগাযোগের তথ্য এবং পেমেন্ট বিবরণ পূরণ করুন, তারপর “Place Order” ক্লিক করুন। ডেলিভারি সময়: স্টারলিংক কিট সাধারণত ৩–৪ সপ্তাহের মধ্যে শিপ করা হয় । এই সেবা বিশেষভাবে উপকারী হবে এনজিও, ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা এবং সেইসব অঞ্চলের জন্য যেখানে ফাইবার বা উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ এখনও পৌঁছায়নি । নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ: স্টারলিংক রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়েও নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে । বাংলাদেশ সরকার স্টারলিংক সেবা প্রদানকারীদের জন্য মাইক্রোক্রেডিট সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থায়নের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছে, যাতে নাগরিক সেবা প্রদানকারীরা এই সেবা সহজে গ্রহণ করতে পারে ।

   
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *