খতিয়ান ও অনলাইন ই পর্চা

খাস জমির তালিকা দেখার উপায় ২০২৫ । সরকারি বা খাস জমি ১ নং খতিয়ান কি?

অনলাইনেই এখন কালেক্টরের নামে থাকা জমির তথ্য দেখা যাবে-আপনি ফি প্রদান সাপেক্ষে খতিয়ান সংগ্রহ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন– খাস জমির তালিকা দেখার উপায় ২০২৫

১ নং খতিয়ান বলতে বুঝায়?– ১ নং খতিয়ানে সরকারের খাস জমি কালেক্টরের নামে এবং ১/১ খতিয়ানে অর্পিত সম্পত্তি কালেক্টরের রেকর্ড করা হয়। ১ ও ১/১ খতিয়ান লেখার পর পরবর্তীগুলো রেওয়াজ অনুযায়ী এ কোন সরকারী/আধা সরকার বিভাগের নামে আগে বা পরে লেখা যেতে পারে।

যে জমিগুলো সাধারণত সরাসরি সরকারের মালিকানাধীন থাকে সেগুলো খাস জমি হিসেবে পরিচিত অর্থাৎ যে জমিগুলো কালেক্টরের নামে রেকর্ড থাকে সেগুলোই খাস জমি। জেলা প্রশাসক বা ডিসি যখন জমি জমার বিষয়ে কাজ করেন তখন তাকে কালেক্টর বলে। অন্যন্য সংস্থার জমি সরকারের মালিকানায় থাকলে তাকে খাস জমি বলা হয় না।

খাস জমি নিজ নামে বা ব্যক্তির নামে আনার ক্ষেত্রে আদালতে মামলা করতে হবে। মামলার রায় অনুসারে জমির মালিকানা আপনার পক্ষে থাকলে আপনার নামে রেকর্ডভূক্ত হবে।

কোথায় ও কীভাবে আইনের আশ্রয় নিতে হয়? মামলার মূল্যমান চার লাখ টাকার কম হলে সহকারী জজ আদালতে এবং চার লাখের বেশি হলে অসীম এখতিয়ার পর্যন্ত যুগ্ম জেলা জজ আদালতে প্রতিকার চাইতে হবে। মামলা দায়ের করতে হবে আইনজীবীর মাধ্যমে। মালিকানাসহ দখলের প্রতিকার চাইলে জমির মূল্য বাবদ অ্যাড-ভ্যালোরেম (মূল্যানুপাতে) কোর্ট ফি দিতে হবে।

ই-পর্চা ওয়েবসাইটে এসএ খতিয়ানের ধরণ সিলেক্ট করে খাসজমির সকল খতিয়ান দেখে নিতে পারেন / একটি নির্দিষ্ট মৌজায় খাস জমির খতিয়ান অনলাইনেই দেখা যাবে

১ নং খতিয়ান কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেয়া হয় না। ইজা১নংখং-ঢাকা নবাব ওয়াকফ এস্টেট পক্ষে (ছে:) মোতায়া এভাবে সরকারি খাস জমি লিপিবদ্ধ থাকে। চাইলে ক্লিক করে আপনি খতিয়ানের জন্য আবেদন করে মাত্র ১০০ টাকা ব্যয় করে বিস্তারিত খতিয়ান অনলাইনেই সংগ্রহ করতে পারেন।

eporcha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে উপরের চিত্রের মত তথ্য ইনপুট দিলেই আপনি নির্দিষ্ট মৌজার সকল এসএ খতিয়ান দেখতে পারবেন এবং ফি প্রদান সাপেক্ষে ডাউনলোড করতে পারবেন।

স্বত্ব দাবির মামলা ২০২৫ । জমির মালিকানা দাবি করবেন কিভাবে?

  1. জমির মালিকানা বা স্বত্ব দাবির জন্য দেওয়ানি আদালতের আশ্রয় নিতে হবে।
  2. জমি অবৈধভাবে দখলচ্যুত হলে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য ‘সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ও ৯ ধারা’ অনুযায়ী প্রতিকার পেতে পারেন। এ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী জমির মালিক নির্ধারিত পদ্ধতিতে জমিটি পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রতিকার চাইতে পারেন।
  3. তবে এ ধারা অনুযায়ী, দখলচ্যুত ব্যক্তিকে জমিতে তাঁর স্বত্ব বা মালিকানা আছে কিংবা মালিকানার দাবি রয়েছে, তার ঘোষণা চাইতে হবে। না হলে এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার পাওয়া সম্ভব হয় না।
  4. ৮ ধারার স্বত্ব প্রমাণসহ মামলা করার ক্ষেত্রে বেদখল হওয়ার পর থেকে ১২ বছরের মধ্যে মামলা করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের মামলাকে সাধারণত স্বত্ব সাব্যস্ত খাস দখলের মামলা বলা হয়।
  5. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হলে মালিকানা প্রমাণের দরকার নেই।
  6. শুধু জমি থেকে দখলচ্যুত হয়েছেন এটি প্রমাণ করলেই চলবে। ৯ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি বেদখল হন, তবে তিনি বা তাঁর মাধ্যমে দাবিদার কোনো ব্যক্তি মোকদ্দমার মাধ্যমে এর দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
  7. এ ক্ষেত্রে যেসব দিক বিবেচনা করা হয়, সেগুলো হলো—বাদী অর্থাৎ যিনি প্রতিকার দাবি করেছেন, তিনি জমিটি দখল করে আসছিলেন কি না; বিবাদী তাঁকে জোরপূর্বক বেদখল করেছেন কি না; বিবাদী বেআইনিভাবে জমিতে প্রবেশ করেছেন কি না।
  8. তবে বাদীকে অবশ্যই বেদখল হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। অন্যথায় এ ধারায় মামলা করার অধিকার হারাতে হবে তাঁকে। তবে সরকারের বিরুদ্ধে এ ধারায় প্রতিকার চাওয়া যাবে না।

খাস জমি বন্দোবস্ত নেয়ার নিয়ম কি?

আমরা সাধারণ ভাষায় ভূমি বলতে আবাদি কিংবা অনাবাদি জমিকেই বুঝি। কিন্তু ভূমি বা জমি কথাটির অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক । ভূমি বলতে যা বুঝানো হয়েছে তা হলো, যে ভূমি আবাদি, অনাবাদি অথবা বত্‍সরের যে কোন সময় জল দ্বারা নিমজ্জিত থাকে এবং ভূমি/জমি হতে উত্‍পন্ন সুবিধাদি সহ, বাড়ী ঘর দালান কোঠা ভূমির সাথে সংযুক্ত বস্তু সমূহ অথবা জমির সাথে সংযুক্ত কোন বস্তুর সাথে স্থায়ীভাবে আবদ্ধ রয়েছে এমন বস্তু বা বস্তুসমূহকে ভূমির অর্ন্তভূক্ত বা ভূমি বলে গণ্য। সাধারণভাবে সকল আবাদি ও অনাবাদি ভূমি এবং নদনদী, খাল-বিল, নালা-ডোবা, পুকুর, বাড়ীঘর, দালান কোঠাসহ যা ভূমির সাথে স্থায়ীভাবে যুক্ত রয়েছে, তাকেই ভূমি বলে গণ্য হবে। তবে কোন সাগর বা উপসাগরকে ভূমি বলে গণ্য করা হবে না।১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৭৬ ধারার ১ উপধারায় খাস জমি সম্বন্ধে বলা হয়েছে। উক্ত ধারায় বলা হয়েছে যে,কোনো ভূমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত হয় এবং সেই জমিগুলি যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে তাহলে সরকার,এই ভূমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন,অথবা অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন উপরোক্ত ভূমিগুলিকে খাস জমি হিসাবে বুঝাবে। তবে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের যথা বন বা পূর্ত কিংবা সড়ক ও জনপথ এর স্বত্বাধীন বা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমিকে সরকারের খাস জমি হিসাবে গন্য করা যাবে না। নিলামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে খাস জমি বন্দোবস্ত বা ইজারা নেয়া যায়।

5 thoughts on “খাস জমির তালিকা দেখার উপায় ২০২৫ । সরকারি বা খাস জমি ১ নং খতিয়ান কি?

  • দাগ নাম্বার দিয়ে খতিয়ান জাচাই আপসন টা যোগ করেন

    Reply
  • উলুবেরিয়া মৌজা আমার জমিতে একটা অন্য কারণে হয়েছে

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *