বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুতর আহত ছাত্র-জনতার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে পত্র জারি করেছে সরকার-জুলাই হত্যাকাণ্ড ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আগতদের চিকিৎসা দিবে সরকার? হ্যাঁ। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে অনেক ছাত্র জনতা বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে কারো কারো অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। ডাক্তারের পরামর্শ মতে যেসকল গুরুতর আহত ব্যক্তির উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন কিন্তু স্থানীয়পর্যায়ে তা সম্ভব হচ্ছে না।
সকল ধরনের ব্যয়বহন করবে স্বাস্থ্য বিভাগ? হ্যাঁ। সেসকল ব্যক্তিদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে যেমন দৃষ্টি শক্তি সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শারীরিক আঘাতজনিত কারণে পঙ্গুত্ব/ক্ষতিগ্রস্তদের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে, স্নায়ুবিক জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ উপযুক্ত অন্যান্য সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে রেফার্ড করতে হবে। উল্লেখ্য, যে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার কর্তৃক বহন করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত এই আন্দোলন দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। কোটা সংস্কার সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার অযৌক্তিকতা এবং এর ফলে সুযোগ বঞ্চিত হওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলা হয়। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তোলা হয়। সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং সামাজিক বৈষম্য দূর ককরার জন্য এমন আন্দোলন গড়ে উঠে।