আগামীকাল সোমবার থেকে পুরো সিলেট বিভাগে চলবে না কোন বাস, ট্রাক, সিএনজি, লাইটেস, লেগুনাসহ সকল ধরনের যানবাহন। ৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি। যেকারণে ধর্মঘট
পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়ায় সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগ। আগামীকাল সোমবার থেকে ভোর ৬টা থেকে শুরু হবে এই ধর্মঘট।পরিবহন শ্রমিক নেতাদের ওপর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, সিলেটের আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপপরিচালককে প্রত্যাহার, ময়াদোত্তীর্ণ সেতুগুলোতে টোল আদায় বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত ৯ নভেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্মরকলিপি দিয়েছিলেন পরিবহন শ্রমিকরা।
তাদের ফেসবুক পেইজে জনসাধারণ ও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি ক্ষোপ প্রকাশ করে নিম্নোক্ত পোস্ট প্রকাশ করেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো।
ঘটনাগুলা যেভাবে শো করা হয় তাতে সব সময় এর ফেস দাঁড়ায় “পরিবহন শ্রমিক বনাম ছাত্র”। এই মুখোমুখি অবস্থায় যারাই দাড় করাক এই মিডলক্লাস প্রাক্টিস খুব খারাপ। পরিবহন শ্রমিকদের “ধর্ষক নেশাখোর” ইত্যাদি নানা ট্যাগিং দিয়ে তাদের উপর জুলুম করা হয়।
কারন মধ্যবিত্ত শ্রেণী নিজের ঝাল মিটাইতে পরিবহন শ্রমিককে একটা অপশন বানায় রাখছে৷ আপনার সকল অবসেসন আপনি অফিস থেকে ফেরার পথে বাসের কন্ডাকটার পিটায়া পুরন করেন। বসের উপর রাগ, বন্ধুর উন্নতি, বউয়ের গালি আপনার সব রাগের ভুক্তভোগী হয় বাস শ্রমিকরা। তাদের প্রতি এই ঘৃনার প্রাকটিসের কারনে করোনা কালিন সময়ে সবচে বিপদে পরে এই বাস শ্রমিকরা। যেহেতু পাবলিক সিম্পেথি পলিটিকাল কারনে তাদের উপর থেকে তুলে নেয়া হইছে তাই তাদের হাড়ির খবর কেউ রাখে নি। প্যান্ডেমিকের সময় সবচে বড় বঞ্চনার শিকার হয় পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের অভাবের খবর কেউ নেয় নি কারন সরকার চাদা নিয়েই খালাস আর বুদ্ধিজীবীরা গালি দিয়ে।
অথচ
যে অভিযোগে আপনারা শ্রমিক পেটান সেই অভিযোগের সবচে বড় ভুক্তভোগী তারা নিজেরাই। তাদের আয়ের পুরাটাই বিভিন্ন নামে মাফিয়ারা নিয়ে যায়। সবচে বেশি মাফিয়াতন্ত্র এবং দুর্নিতি হয় পরিবহন খাতে। এই শ্রমিকদের রক্ত চুষেই। আপনি কতদিন দেখেছেন ভাড়া বেশি চাওয়ায় এই শ্রমিকদের পেটানো হচ্ছে কিন্তু তারচেয়ে বেশিদিন বিনা ভাড়ায় বা যে টাকা আছে তা নিয়েই যাত্রীদের পৌছায় দিছে তারাই৷ আমার দেখা সবচে মানবিক পেশা হয়তো এটাই৷ জনগনের টোটাল হিপোক্রেসির ভুক্তভোগী এই শ্রমিকরা। তারা ভারত থেকে আসা কেউ না। নিজের জনগনের উপর একটু রহম করেন মাফিয়াদের দায় শ্রমিকের উপর দিয়েন না।