ই নামজারির আবেদন করেছেন কিন্তু শুনানির তারিখ ধার্য হয়নি বা মেসেজ আসেনি আপনি কি করবেন এমন সমস্যার সমাধান দেখুন – ই-নামজারি শুনানি ও মোবাইল মেসেজ আসবে

খাতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিকের নাম ও ঠিকানা কি? – রেকর্ডীয় মালিকের নাম ও ঠিকানা বলতে সর্বশেষ রেকর্ডে যার নাম রয়েছে তাঁর নাম এবং ঠিকানাকে বোঝায়। কর্তন হবে/২য় পক্ষের (বিবাদি) নাম ও পূর্ণ ঠিকানা বলতে যার কাছ থেকে আপনি জমিটি কিনেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভূমি সেবা হেল্পলাইন ১৬১২২ নাম্বারে কল করুন।

নামজারি আবেদনের শুনানিতে না ডাকলে কি করবেন? সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবেদনের জন্য শুনানির তারিখ নির্ধারণ না পর্যন্ত সময়সূচি আবেদনকারি পাবেন না। ইউনিয়ন ভূমি অফিস হতে প্রতিবেদন পাবার পরে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করলে আবেদনে প্রদানকৃত মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে জানতে পারবেন। ২৮ দিনের মধ্যে নামজারি আবেদন নিস্পত্তির নির্দেশনা আছে। ইতোমধ্যে বেশ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও শুনানীর সময় ধার্য্য হয়নি, বুঝা যায় তদন্ত বা অন্য কোন পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাফিলতি করছেন, যা কাম্য নয়। আপনি এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে ভূমি সেবা হেল্পলাইন ১৬১২২ নাম্বারে কল করতে পারেন।

নামজারি আবেদনের পদ্ধতি কি? মালিকানা অর্জনের পর নিজ নামে খতিয়ান সৃজন করার জন্য নামজারির আবেদন করতে পারেন। নামজারির আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট নামজারি ফর্ম আছে যার মাধ্যমে আপনি আবেদন করবেন। যে উপায়ে আপনি ভূমির মালিকানা অর্জন করেছেন সেসব কাগজপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। বাধ্যতামূলক এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

অনলাইনে নামজারির আবেদন করতে পারবেন এবং আপনি অনলাইনেই আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন এক্ষেত্রে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করেই শুনানির তারিখও জানা যাবে

সেক্টরের নামজারীর কি খতিয়ান দিতে হয়না? জী না । সেক্টরের নামজারী আলাদা না। বিস্তারিত জানতে ভুমি সেবা হেল্প লাইন ১৬১২২ নম্বরে কল করুন

Caption: Apply for E mutation

খারিজ ডকুমেন্ট ২০২৩ । অনলাইন নামজারি করতে কি কি কাগজ পত্র লাগে?

  1. নামজারি যদি সরাসরি রেকর্ডের মালিক হতে হয় তবে রেকর্ডের খতিয়ানের কপি, হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলার কপি, রেজিস্টার্ড দলিলের কপি, আবার নামজারিমূলে খতিয়ানের বা পর্চার মালিকের নিকট হতে প্রাপ্ত হলে নামজারি খতিয়ান/পর্চা হতে সর্বশেষ রেকর্ডীয় প্রজা পর্যন্ত সকল দলিল, খতিয়ান/পর্চা , ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা।
  2. অর্পিত তালিকাভূক্ত হলে জেলা প্রশাসকের অবমুক্তের আদেশের কপি বা বিনিময় সম্পত্তি হলে জেলা প্রশাসকের স্ট্যাম্পিং এর অনুমতি, রেজিস্টার্ড দলিলের কপিসহ দাখিলার কপি ।আদালতের আদেশে হলে রায়সহ ডিক্রির কপি।
  3. মোট কথা মালিকানা প্রাপ্তির সকলসূত্র কাগজাদি সংযুক্ত দিতে হবে।এছাড়া আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।

খারিজ বা মিউটেশন আবেদনের পর করনীয় কি?

নামজারির জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর এসি(ল্যান্ড)এর ১ম আদেশ না হওয়া পর্যন্ত আবেদনকারী উহা সংশোধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাঁকে https://land.gov.bd সাইটে ই-নামজারি মেনুতে গিয়ে আবেদন ট্রাকিং-এ এসে বিভাগ, আবেদন আইডি ও জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর দিয়ে খুঁজে একটি বক্স পাবেন। এতে আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা লিখা থাকবে। যদি লিখা থাকে যে আবেদনতির এখনও কার্যক্রম গ্রঘণ করা হয় নি। তাহলে এটি সংশোধন করা যাবে। এজন্য ইতিমধ্যে আবেদন কারীর মোবাইলে যাওয়া OTP নম্বর দিয়ে “সম্পাদন করুন” চাপতে হবে। এতে আবেদন ফরমটি ওপেন হবে। এই ফরমে দেয়া তথ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে দাখিল অপশন চাপতে হবে। এরপর নির্দেশনা মতে ইতিপূর্বে দেয়া ছবি ও স্বাক্ষর পুনঃদাখিল করে ফরমটি দাখিল করতে হবে। এরপর ফরমের একটি প্রিভিউ আসবে, এটি যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলে তা চূড়ান্তভাবে দাখিল চেপে দাখিল করতে হবে। AC land এর 1st অর্ডার হয়ে গেলে edit করার সুযোগ নেই AC land এর সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারেন।

E Mutation BD । নামজারি আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা দেখুন [জমি খারিজ]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *