সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের জন্য চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর বেশ কয়েকটি খাতে ঋণ সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীরা যেসকল ঋণ পেয়ে থাকেন তার তালিকা নিম্নরূপ:
১. গৃহ নির্মাণ ঋণ বাবদ ৫৫ লাখ থেকে ৮৫ লাখ টাকা ।
২. মোটরকার বাবদ ৪৫ থেকে ৬০ লাখ টাকা।
৩. মোটরসাইকেল বাবদ দেড় লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা। এবং
৪. কম্পিউটার কেনা বাবদ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা ঋণ পেয়ে থাকেন।
সরকারি চাকুরিজীবিদের জন্য সরকার আরও একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। চাকরিরত অবস্থায় এখন থেকে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা গেলে অথবা অক্ষম হয়ে অবসর গ্রহণ করলে তার কাছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের (নিয়োগকর্তার) নিকট গৃহ নির্মাণ, গৃহ মেরামত, মোটরকার ও মোটরসাইকেল এবং কম্পিউটার ঋণের বেলায় আসল ও সুদ বা দণ্ডসুদসহ মওকুফ করা হবে। সম্প্রতি সরকারের এ সিদ্ধান্ত নীতিমালা আকারে জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর আগে এ ধরনের ঋণের অর্থ কর্মকর্তার পাওনা থেকে অথবা উত্তরাধিকারীদের থেকে আদায় করা হতো। বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী উক্ত কয়েক ধরনের ঋণের বেলায় অপরিশোধিত আসল ও সুদ বা দণ্ডসুদ মওকুফ করা হবে। তবে প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালায় নেওয়া ঋণ এ নীতিমালার আওতায় বিবেচিত হবে না।
অক্ষম বলতে কি বুঝায়?
এই নীতিমালার আওতায় সম্পূর্ণ মানসিক প্রতিবন্ধী বা পঙ্গু হয়ে অবসর গ্রহণ করাকে অক্ষম বোঝাবে।
এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন:
ঋণের আসল ও সুদ মওকুফের সুপারিশ করার জন্য অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ) সভাপতি করে আট সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে। এই কমিটি আসল, সুদ বা দণ্ডসুদ মওকুফের সুপারিশ করবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীর গ্র্যাচুইটি, বেতনের পেনশনযোগ্য অংশ (শেষ বেতনের ৫০ ভাগ) ইত্যাদি বিবেচনা করা হবে।
ব্যাংক থেকে গৃহীত ঋণও কি মাফ?
না, ব্যাংক থেকে গৃহীত ঋণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আলাদা নির্দেশনা রয়েছে। বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ বহির্ভুত কারণে যেমনঃ ঋণগ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, মড়ক, নদী ভাঙ্গন, দুর্দশাজনিত কারণে বা বন্ধ প্রকল্প ইত্যাদি কারণে ব্যাংক কর্তৃক ঋণের সুদের সম্পূর্ণ অংশ বা অংশবিশেষ মওকুফ সুবিধা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। এর বেশ কতগুলো শর্ত রয়েছে। তবে মূল ঋণ (আসল) মওকুফ করা হবে না।
চাকুরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর ঋণ মওকুফ নীতিমালা ২০১৮