অনলাইন দলিল রেজিস্ট্রেশন

ঢাকার জমি ও ফ্ল্যাটের দামের তালিকা ২০২৪ । ফ্ল্যাট বা জমি কাঠা প্রতি সরকারি মূল্য কত?

বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয় বহুল শহর রাজধানী ঢাকা – এখানে এক টুকরো জমি সোনার দামে বিক্রি হয়- কাঠা প্রতি লক্ষ টাকায় নয় বরং কোটি টাকায় হিসাব করা হয়– হাউজিং এস্টেটের জমির মূল্য তালিকা ২০২৪

ঢাকায় কোথায় জমির দাম সবচেয়ে বেশি?– ঢাকায় জমির দাম একেবারেই স্থির নয়, এটি নির্ভর করে এলাকা, রাস্তার সুবিধা, জমির ধরণ, প্লটের আকার, এবং বাজারের চাহিদার উপর। ঢাকায় ধানমন্ডি গুলশানে জমির দাম সবচেয়ে বেশি। ফ্ল্যাট, প্লট বা জমির দাম সবচেয়ে বেশিও যেমন ঠিক রেজিস্ট্রেশন খরচও বেশি।

ঢাকায় জমি কেনার আগে কি কি দেখতে হবে? ঢাকায় জমি কেনার আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাচাই করে নেওয়া জরুরি। বিক্রেতার আসল মালিক কিনা, তা যাচাই করতে হবে। জমির দলিলপত্র সঠিক কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। জমির খতিয়ান, দাগ নম্বর, সিএস/আরএস খতিয়ান, মালিকানার সনদপত্র ইত্যাদি যাচাই করতে হবে। জমির উপর কোনো ঋণ, বন্ধক, মামলা-মোকদ্দমা আছে কিনা, তা খোঁজ নিতে হবে। জমিটি কোথায় অবস্থিত, সেটির যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থা কেমন, তা খোঁজ নিতে হবে। জমিটিতে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইত্যাদির সুযোগ-সুবিধা আছে কিনা, তা যাচাই করতে হবে। জমিটি কোনো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত কিনা, তা জানতে হবে। জমিটির আশেপাশের পরিবেশ কেমন, তা দেখতে হবে।

জমির জন্য এনওসি নিতে হবে? হ্যাঁ। জমিটি কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে, তা জানতে হবে। জমিটির জন্য কোনো অনুমোদন বা NOC প্রয়োজন কিনা, তা খোঁজ নিতে হবে। জমির বাজার দর কেমন, তা জানতে হবে। জমি কেনার জন্য কত টাকা খরচ হবে, তার একটি বাজেট তৈরি করতে হবে। একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত। ঢাকায় জমি কেনার আগে সাবধানে সবকিছু যাচাই করে নেওয়া উচিত। প্রতারণার শিকার হতে হলে সাবধান থাকুন।

সরকার নির্ধারিত জমির মূল্য তালিকা ২০২৪ । মৌজা ভিত্তিক জমির মূল্য তালিকা ঢাকা

ঢাকার বাইরের এলাকায় জমির দাম অনেক কম। ঢাকায় যানজট, দূষণ, এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধির কারণে জমির দাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে ঢাকায় জমির দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীন বিভিন্ন হাউজিং এস্টেটের জমির মূল্য তালিকা ও সেবা ফি

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীন বিভিন্ন হাউজিং এস্টেটের জমির মূল্য তালিকা ও সেবা ফি ডাউনলোড

রাজধানী ঢাকায় জমির দাম ২০২৪ । প্রতি কাঠা আনুমানিক কত টাকা মূল্যে জমি ক্রয় বিক্রয় হয়?

  1. ধানমন্ডি: কাঠাপ্রতি ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা
  2. বনানী: কাঠাপ্রতি ৪ কোটি টাকা
  3. লালমাটিয়া: কাঠাপ্রতি ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা
  4. মতিঝিল: কাঠাপ্রতি ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা
  5. মহাখালী ও কারওয়ান বাজার: কাঠাপ্রতি ২ কোটি টাকা
  6. মোহাম্মদপুর: কাঠাপ্রতি ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা
  7. আজিমপুর ও শান্তিনগর: কাঠাপ্রতি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা
  8. উত্তরা ও শ্যামলী: কাঠাপ্রতি ১ কোটি টাকা
  9. মিরপুর: কাঠাপ্রতি ৮০ লাখ টাকা
  10. গেন্ডারিয়া ও বাসাবো: কাঠাপ্রতি ৭৫ লাখ টাকা
  11. কল্যাণপুর: কাঠাপ্রতি ৭০ লাখ টাকা
  12. বাড্ডা: কাঠাপ্রতি ৬০ লাখ টাকা

ঢাকায় জমির রেজিস্ট্রেশন খরচ কেমন?

ঢাকায় জমির রেজিস্ট্রেশন খরচ নির্ভর করে জমির মূল্য, দলিলের ধরণ, এবং রেজিস্ট্রেশন করার স্থানের উপর। কিছু গুরুত্বপূর্ণ খরচ যেমন-  রেজিস্ট্রেশন ফি: দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১%। স্ট্যাম্প শুল্ক: দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১.৫%। স্থানীয় সরকার কর: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩%। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২%, এবং অন্যান্য এলাকায় ১%। উৎস কর: ৫% পূর্বে ৮% ছিল। ভ্যাট: ১৫%। হলফনামার স্ট্যাম্প: ১০০ টাকা। এন ফি: ২০০ টাকা। ই ফি: ১০০টাকা। কোর্ট ফি: প্রযোজ্য ক্ষেত্রে। উদাহরণ: ধরা যাক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় 1 কোটি টাকায় একটি জমি বিক্রি করা হল। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন খরচ হবে: রেজিস্ট্রেশন ফি: ১ কোটি টাকার ১% = ১০,০০০ টাকা। স্ট্যাম্প শুল্ক: ১ কোটি টাকার ১.৫% = ১৫,০০০ টাকা। স্থানীয় সরকার কর: ১ কোটি টাকার ৩% = ৩০,০০০ টাকা। উৎস কর: ১ কোটি টাকার ৫% = ৫০ টাকা। ভ্যাট: ১ কোটি টাকার ১৫% = ১,৫০,০০০ টাকা। হলফনামার স্ট্যাম্প: ১০০ টাকা। এন ফি: ২০০ টাকা। ই ফি: ১০০ টাকা। কোর্ট ফি: ধরা যাক ৫০০ টাকা। মোট খরচ: ১০,০০০ + ১৫,০০০ + ৩০,০০০ + ৫০,০০০ + ১,৫০,০০০ + ১০০ + ২০০ + ১০০ + ৫০০ = ২,৫৫,৯০০ টাকা। উল্লেখ্য এই হিসাবটি কেবল একটি ধারণা প্রদান করে। সঠিক খরচ জানতে একজন রিয়েল এস্টেট এজেন্ট বা আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *