সবচেয়ে বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় এই নামজারি এবং খারিজের ব্যাপারটি নিয়ে। বিভিন্ন ভায়া দলিল ও রেকর্ডপত্র উপস্থাপন করতে হয়। বর্তমানে মিউটেশনের দায়িত্ব সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর উপর ন্যাস্ত । (পূর্বে উপজেলা রাজস্ব অফিসার বা সার্কেল অফিসার রাজস্ব এর উপর ন্যাস্ত ছিল।) নামজারি দু’প্রকারের হয়ে থাকে। 

১। মূল খতিয়ানে নাম কর্তণ করে ভূমি কিংবা নাম যােগ করে নাম জারি করে এবং

২। কোন খতিয়ানের কোন অংশীদার বা নতুন মালিক খতিয়ান হতে বের হয়ে বা খারিজ হয়ে স্বতন্ত্র খতিয়ান খুলতে চাইলে জমা ভাগ করে স্বতন্ত্র খতিয়ান খুলে নামজারি করা স্টেট একুইজিশন এন্ড টেন্যান্সী অ্যাক্টের ১১৬ ধারা মােতাবেক কোন মালিকের একই মৌজায় অবস্থিত তার বিভিন্ন খতিয়ানভুক্ত বিভিন্ন দাগের ভূমি রাজস্ব অফিসারের যজ্ঞ বিক্রয়ে একটি খতিয়ানে একত্রিত বা সমন্বিত করতে পারেন এবং উক্ত অ্যাক্টের (১১৭ ধারার ৯১) উপধারা (সি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন একান্নভুক্ত খতিয়ানকে ভাগ করে স্বতন্ত্র খতিয়ান খুলতে পারেন এবং ভাগ করতে হলে রাজস্ব অফিসারের কাছে উক্ত খতিয়ানের এক বা একাধিক অংশীদারগণের আবেদন করতে হবে।

ধারা-১১৬- যদি একই গ্রামে বিভিন্ন ভূমি খন্ড একজন মালিকের স্বত্বাধীন হয় এবং ইহা বিভিন্ন খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত থাকলে এরূপ ভূমি খন্ডসমূহ রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশ বলে একটি খতিয়ানে একত্রিভুক্ত করা যাবে। শর্ত হলাে যে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক এরূপ একত্রিভূক্তির আদেশ করা হবে না যদি, মালিকের ইহাতে কোন আপত্তি থাকে এবং উক্ত অফিসারের নিকট যুক্তিসঙ্গত ও যথেষ্ট বলে প্রতীয়মান।

১৭(১) ধারা- এই অংশের অন্যত্র অন্য কিছু থাকা স্বত্ত্বেও রেভেনিউ অফিসার, (এ)। ১৬ ধারা অনুযায়ী জোতগুলি (টেন্যান্সি) একত্রিকরণের উদ্দেশ্যে স্বউদ্যোগে অথবা তার বরাবর এক বা একাধিক অংশীদার এতােদ্দেশ্যে আবেদন করিলে কিংবা বি ১১৯ যারা অনুযায়ী কোন মালিকের হােল্ডিংগুলাে একত্রিত করণের উদ্দেশ্যে রেভিনিউ অফিসার স্বউদ্যোগে অথবা তার বরাবরে এতােদ্দেশ্যে আবেদন করলে কিংবা

(সি) খাজনা ভাগ করার জন্য একান্নভুক্ত জোত ভাগ করার উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক অংশীদার টেন্যান্ট তার বরাবরে আবেদন করলে, অংশীদার টেন্যান্টদের মধ্যে একান্নভুক্ত জোতের এরূপ বিভক্তির এবং বকেয়া সহ যদি থাকে খাজনা যেরূপ ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত বিবেচিত হবে সেভাবে বন্টনের জন্য রেভেনিউ অফিসার) লেখিত। আদেশ দ্বারা নির্দেশ দিবেন।

কিন্তু শর্ত হলাে যে, উপস্থিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পাটিসমূহকে যুক্তিসঙ্গত নােটিশ প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন শুনানি গ্রহণ ব্যতিরেকে এরূপ আদেশ পাশ করা যাবে না।

(অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে রেভেনিউ অফিসারের সম্মুখে হাজির হওয়ার জন্য নােটিশ প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট বিষয় শুনানি গ্রহণ ব্যতিরেকে কোন আদেশ প্রদান করা যাবে না । আরও শর্ত থাকে যে : উপরােক্ত (সি) অনুচ্ছেদের আওতাধীন কোন আদেশ হলে এবং এরূপ খাজনা বন্টনের ফলে কোন জোতের খাজনা ১.০০ (এক) টাকার নিতে হলে ইহাকে ১.০০ টাকায় পরিণত করতে হবে অর্থাৎ ১.০০ (এক) টাকার নিচে কোন জোতের খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন করা হবে না।

(২) এই উপধারাটি ১৯৬৭ সনের ই, পি অধ্যাদেশ নং ৮ (E. P. ord VIII of 1963) এর (১৯) ধারা মূলে দেওয়া হয়েছে ।

(৩) উপধারা : ১১৭ ধারা ১ উপধারাধীন কোন একান্নভুক্ত হােল্ডিং বিভক্তির আদেশ হলে এরূপ বিভক্তি । ভূমির উপর চিহ্নিত (domareated) করতে হবে এবং ক্যাডাল (Cadastral) জরিপের ম্যাপ ইহা প্রদর্শন করতে হবে।

জমি মিউটেশনের গুরুত্ব- নামজারি বিষয়টি প্রণয়ন করা হয়েছে ভূমির মালিকের মালিকানা নিয়ে জটিলতা এড়ানোর জন্য। যখন কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে অথবা আইনগতভাবে ভূমি বা জমির মালিকানা অর্জন করে সরকারি রেকর্ডে মালিকানার নাম হালনাগাদ করা হয়, আইনি ভাষায় যাকে বলা হয় নামজারি।

E Mutation । ই মিউটেশন আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা দেখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *