সূচীপত্র
দখল নয় দলিলই মূখ্য প্রমানক – কোনো সম্পদ ১২ বছর পর্যন্ত নিজের দখলে রাখতে পারলেই সেই সম্পদের মালিকানা দাবি করা যায় – ভূমি আইন ২০২৪
ভূমি ব্যবহারস্বত্ব গ্রহণ আইন ২০২০ – বিদ্যমান দখল স্বত্ব আইন অনুযায়ী, কোনো সম্পদ ১২ বছর নিজের দখলে রাখতে পারলেই তার মালিকানা দাবি করা যায়। আইনটি পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী জমির মালিকানা নির্ধারণ হবে দলিলের ভিত্তিতে। অর্থাৎ যার নামে দলিল থাকবে তিনিই হবেন ওই ভূমির মালিক।
দখল স্বত্ব আইন অনুযায়ী, কোনো সম্পদ ১২ বছর পর্যন্ত নিজের দখলে রাখতে পারলেই সেই সম্পদের মালিকানা দাবি করা যায়। আইনটি পরিবর্তন হলে জমির মালিকানা নির্ধারণ হবে দলিলের ভিত্তিতে। অর্থাৎ যার নামে দলিল থাকবে তিনিই হবেন ওই ভূমির মালিক। বিদ্যমান আইনের অজুহাতে প্রচুর সরকারি সম্পত্তি বেদখল হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। ব্যক্তিমালিকানার অনেক সম্পত্তি নিয়েও বিরোধ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এর বাইরেও জমির দখল নিয়ে সহিংসতার কারণে মামলা-মোকদ্দমা নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
আইনটিতে পরিবর্তন এলে দেওয়ানি মামলার একটি বড় অংশই কমে আসবে বলে মনে করছে সরকার। নতুন আইনটির নাম রাখা হয়েছে ‘ভূমির ব্যবহার স্বত্ব গ্রহণ আইন, ২০২০’। ‘দলিল যার জায়গা তার। আমার দলিল নেই অথচ দখল করে আছি দীর্ঘদিন ধরে, এটা হতে পারে না। দখল স্বত্ব আইন আমরা সংশোধন করব। আইনটি আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে নিয়ে আসতে আমরা চেষ্টা করছি। এ বছরের মধ্যেই এটা পাস করা হতে পারে।’
নতুন আইনটি প্রণয়ন হলে পূর্বের অনেক আইনই অকার্যকর হবে / যে সকল আইন অকার্যকর হবে
দখল স্বত্ব আইন অনুযায়ী, কোনো সম্পদ ১২ বছর পর্যন্ত নিজের দখলে রাখতে পারলেই সেই সম্পদের মালিকানা দাবি করা যায়। আইনটি পরিবর্তন হলে জমির মালিকানা নির্ধারণ হবে দলিলের ভিত্তিতে। অর্থাৎ যার নামে দলিল থাকবে তিনিই হবেন ওই ভূমির মালিক।
Caption: New Land Act 2022 Download
ভূমি আইন ২০২৪ । যে কারণে আইনটি নতুন করে প্রণয়ন করা হয়েছে
- ভৌগলিক অবস্থান ও কৃষি অনুকুল জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশ এর ভূমি প্রাচীনকাল হতেই কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমির মালিকানা ও কর নির্ধারণকে কেন্দ্র করেই এই অঞ্চলের ভূমি আইনের বিকাশ।
- তবে প্রাচীনকালে (উপনিষদ এর যুগ হতে শুরু করে মৌর্য-গুপ্তযুগ পর্যন্ত) জনসংখ্যার অনুপাতে কর্ষণযােগ্য ভূমির প্রাচুর্য থাকায় ভূমি সংক্রান্ত আইন খুব একটা জটিল প্রকৃতির ছিলাে না। মধ্যযুগে সম্রাট আকবরের শাসনকালে এ অঞ্চলের ভূমি ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযােগ্য পরিবর্তন সাধিত হলেও তখনও পর্যন্ত চাষীদের জমির মালিকানা তাদের হাতেই ছিলাে। কিন্তু পলাশীর যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলার রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলে এদেশের চাষীরা মূলত ভূমিদাসে পরিণত হয়।
- পরবর্তীতে ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করে ইংল্যান্ডের সামন্ততান্ত্রিক ভূমি ব্যবস্থাপনার আদলে নব্য জমিদার শ্রেণির উদ্ভব হলেও ভূমির প্রকৃত দখলদার চাষীদের অবস্থার খুব একটা উত্তরণ হয়না। বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যসত্বভােগীর কারণে চাষীরা মূলত ভূমিদাসই থেকে যায়। The Bengal Tenancy Act, 1885 বা The Survey Act, 1875 এর মধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনায় শৃংখলা আনয়নের চেষ্টা করা হলেও তা খুব একটা সুফল বয়ে আনেনি।
- ফলশ্রুতিতে ১৯৩৮ সালে এই অঞ্চলের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনয়নের উদ্দেশ্যে The Land Revenue Commission গঠন করা হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় ভারতবিভাগােত্তর পূর্ব বাংলায় The East Bengal State Acquisition and Tenancy Act, 1950 প্রণয়ন করে জমিদার শ্রেণি অবলুপ্তকরণের মাধ্যমে ভূমি মালিকগণকে সরাসরি সরকারের প্রজায় রূপান্তরিত করা হয়।
- মূলত The East Bengal State Acquisition and Tenancy Act, 1950-ই আধুনিককালে এই অঞ্চলের ভূমি মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রধান আইন। তবে এর পাশাপাশি ভূমি রাজস্ব, ভূমি মালিকানা ও ভূমির ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আরও বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন আইন প্রচলিত থাকে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়। বাংলাদেশের সংবিধানে দেশের জনগণকে প্রজাতন্ত্রে হিসেবে অভিহিত করা হয় বিধায়, অন্তত তাত্ত্বিকভাবে হলেও ভূমি-মালিকগণকে আর রাষ্ট্রের প্রজা হিসেবে বিবেচনা করা সম্ভব নয়।
- ফলে স্বাভাবিকভাবেই The state Acquisition and Tenancy Act, 1950 সহ ভূমি সংক্রান্ত প্রচলিত অন্যান্য আইনসমূহে
ব্যাপক সংস্কারের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয়। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বিভিন্ন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বা প্রচলিত আইনে সংশােধনী এনে এ বিষয়ে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে একটি comprehensive (বিস্তৃত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ) আইনের অভাব থেকেই যায়। - এই পটভূমিকায় আইন কমিশন কর্তৃক বাংলাদেশে প্রচলিত ভূমি সংক্রান্ত প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ সকল আইনের সংশােধন, একীভূতকরণ ও সর্বোপরি আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যে ভূমি আইন, ২০২২ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়া আইনটি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে ভূমি বিষয়ক প্রচলিত আইনসমূহ পর্যালােচনার পাশাপাশি উচ্চ আদালতের বিভিন্ন রায় পর্যবেক্ষণ, অংশীজনদের মতামত গ্রহণসহ মাঠ পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
নতুন ভূমি আইন কি কার্যকর হয়েছে?
না। এটি খসড়া আকারে প্রকাশিত হয়েছে। সরকার গেজেট আকারে প্রকাশ না করা পর্যন্ত অথবা সরকারি ভাবে কার্যকরের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর হচ্ছে না। কবে আইনটি পাশ হবে এ নিয়ে প্রহর গুণলেও বছরের শেষ পর্যন্তও পুনরায় কোন ঘোষণা আসেনি। পত্রিকাগুলো যদি আভাস দিয়েছিল এ বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হতে পারে।
জনাব, আমি মোঃ জহিরুল ইসলাম । পিতাঃ হেলাল উদ্দিন মোড়ল, গ্রাম-বরমী, ইউনিয়ন-বরমী, পোষ্ট অফিস-বরমী বাজার (১৭৪৩), উপজেলা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুর, বিভাগ-ঢাকা, মাননীয় মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ কে অসংখ্য ধন্যবাদ । কারণ জনগণের কষ্ট তিনি সহজেই উপলব্ধি বুঝতে পেরেছে । বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছে ভূমি নিয়ে । তাই সরকার কে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি দ্রুত ভূমির ব্যাবহার স্বত্ব আইন-২০২২ ও ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২২ কার্যকর করার জন্য । কারণ আমাদের এলাকায় জমি নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে । অন্যদিকে বি ডি এস জরিপ শুরু হতে চলেছে । তাই দ্রুত আইন কার্যকর করা দরকার এবং বি ডি এস জরিপ কিছু দিন পর করা দরকার ।
এই আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন চাই!
শুধু দলিল থাকলে হবেনা, কারণ দেশে ভূয়া দলিলভিত্বিক জমি-দখলদারের সংখ্যাই বেশি, ওরা সেই মতে জমির রেকর্ড করিয়েও ফেলে। তাই আইনসম্মত এবং ক্রেতার সঠিক-সত্য স্বাক্ষরিত এবং সঠিক-সত্য রেজিষ্ট্রিকৃত (সাবরেজিস্ট্রারের অফিসে) দলিল থাকতে হবে।