সূচীপত্র
প্রাইজবন্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ করতে হয় – অন্যান্য বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রাইজবন্ড ক্রয় করতে হয় – 100 টাকার প্রাইজবন্ডের ড্র 2024
প্রাইজবন্ড কি? – বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড হলো বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক সঞ্চয়ের লক্ষে প্রবর্তিত এক প্রকার কাগুজে মুদ্রা পদ্ধতি। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম প্রাইজবন্ড চালু করে। সরকারের পক্ষে প্রাইজবন্ডের যাবতীয় কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাইজবন্ড চেক করার দায়িত্ব দিন prachurja.com কে এখনই।
প্রাইজবন্ড সম্পর্কিত প্রায়শ জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাদির উত্তর- প্রাইজবন্ড কেন প্রচলন করা হয়েছে? উঃ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই স্কীমটি চালু করে। এই প্রকল্পটি সকল শ্রেণীর জনসাধারনের সঞ্চয় প্রবনতা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করেই প্রবর্তন করা হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস হতে প্রয়ােজনীয় অর্থ আহরণ অনেকটাই সহজতর । প্রাইজবন্ড বিক্রির মাধ্যমে সরকার সরাসরি জনগণের নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে।
বর্তমানে কত টাকা মূল্যের প্রাইজবন্ড বাজারে চালু আছে? উঃ বর্তমানে শুধুমাত্র ১০০/-টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড বাজারে চালু আছে। ১৯৯৫ সালের ০২ জুলাই হতে উক্ত বন্ড বাজারে প্রচলন শুরু হয়। প্রাইজবন্ড কিনতে কি কোন আবেদন করতে হয়? উঃ না, প্রাইজবন্ড কিনতে কোন আবেদন করতে হয় না। যেকোন ইস্যু অফিসে উপস্থিত হয়ে নগদ অর্থের বিনিময়ে প্রাইজবন্ড ক্রয় করা ও ভাংগানাে যায়। কোথায় প্রাইজবন্ড কেনা ও ভাংগানাে যায় ? উঃ বর্তমানে চারটি প্রতিষ্ঠান হতে প্রাইজবন্ড কেনা ও ভাংগানাে যায়। ক. বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিস (ময়মনসিংহ অফিস ব্যতীত); খ. শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক ব্যতীত সকল তফসিলি ব্যাংক; গ. জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীনস্থ সকল সঞ্চয় ব্যুরাে অফিস এবং ঘ. ডাকঘর (Post Office)
প্রাইজবন্ড “ড্র” অনুষ্ঠানের প্রায় দেড়মাস পূর্ব হতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের নির্দেশনার আলােকে মতিঝিল অফিসের প্রাইজবন্ড শাখার উপ-ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে “ড্র অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার লক্ষ্যে প্রয়ােজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়। প্রাইজবন্ড “ড্র” কমিটির সভাপতি মহােদয় ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়ােজিত প্রাইজবন্ড শাখার কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে প্রাইজবন্ড নীতিমালায় বর্ণিত কার্যাবলী মােতাবেক যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হয় এবং উক্ত দায়িত্ব পালনে ব্যত্যয় ঘটার কোন সুযােগ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইট থেকে কিভাবে ফলাফল জানা যাবে? ওয়েব পেইজের সার্চ বক্সে প্রতিবারে এক বা একাধিক নম্বর অনুসন্ধান করা যাবে। একটি নম্বরের জন্য শুধুমাত্র নম্বরটি টাইপ (সিরিজ নয়) করলেই ফলাফল জানা যাবে। যদি একাধিক প্রাইজবন্ড থাকে এবং তা যদি ক্রমানুসারে হয় তাহলে শুধুমাত্র প্রথম ও শেষ নম্বরের মাঝে হাইফেন (-) টাইপ করে সমস্ত নম্বর অনুসন্ধান করা যাবে। আর যদি একাধিক প্রাইজবন্ড থাকে এবং তা যদি ক্রমানুসারে না হয় তাহলে কমা (,) দ্বারা আলাদা করে সমস্ত নম্বরগুলাে টাইপ করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল জানা যাবে।
প্রাইজবন্ডের লটারির ফলাফল জানার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কোন ওয়েবসাইট/সফটওয়্যার আছে কিনা ? উঃ হ্যা, প্রাইজবন্ডের লটারির ফলাফল জানার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয় এর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক চালু করা হয়েছে Prize Bond Result Inquiry Software (PBRIS) নামের সফটওয়্যার যার ওয়েব এড্রেস হলাে https://prachurja.com
Prize Bond Result Inquiry Software (PBRIS) এর মাধ্যমে কিভাবে ফলাফল জানা যাবে? সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ২টি পদ্ধতিতে ফলাফল অনুসন্ধানের ব্যবস্থা রয়েছে। সার্চ বক্সে সরাসরি নম্বর লিখে এবং নম্বর আপলােড করে ফলাফল জানা যাবে। এছাড়া, এই সফটওয়্যারে ক্রেতারা বিনামূল্যে ই-মেইল সাবস্ক্রিপশন করতে পারবেন। যার মাধ্যমে প্রতি ৩ মাস পরপর (৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফল সম্পর্কে সাবস্ক্রিপশনপ্রাপ্ত নাগরিকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমেইলে অবহিত হতে পারবেন।
প্রাইজবন্ড জেতার উপায় । অনলাইনে প্রাইজবন্ড ক্রয়
প্রাইজবন্ডের মােট সিরিজ সংখ্যা এবং প্রতি সিরিজে মােট পুরস্কারের সংখ্যা কয়টি? উঃ বর্তমানে (৩০/০৪/২০২৩ পর্যন্ত) প্রাইজবন্ডের মােট সিরিজ সংখ্যা ৪৬টি এবং প্রতি সিরিজের জন্য ৪৬টি পুরস্কার আছে। ৪৬টি পুরস্কারের মধ্যে ১ম পুরস্কার থেকে মােট কয়টি এবং কত টাকার পুরস্কার রয়েছে ? উত্তর- মােট ৫টি- ১ম পুরস্কার- ৬,০০,০০০.০০ (১টি), ২য় পুরস্কার- ৩,২৫,০০০.০০ (১টি), ৩য় পুরস্কার- ১,০০,০০০.০০ (২টি), ৪র্থ পুরস্কার- ৫০,০০০.০০ (২টি) ৫ম পুরস্কার- ১০,০০০.০০ (৪০টি)।
Caption: Prize bond Draw 2024
প্রাইজবন্ডের পুরাতন ও নতুন ফলাফল ২০২৪ । প্রাইজবন্ড কিনতে চান?
- ১১৪ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১১৪ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১১৩ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১১২ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১১১ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১১০ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১০৯ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১০৮ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১০৭ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১০৬ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১০৫ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১০৪ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১০৩তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১০২তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
- ১০১ তম প্রাইজবন্ড লটারীর ফলাফল
প্রাইজবন্ড কি আয়কর রেয়াত আছে?
না। প্রাইজবন্ড ক্রয় করলে কোন ধরনের বিনিয়োগ কর রেয়াত পাওয়া যায় না। আয়কর আইন, ষষ্ঠ সিডিউল, পার্ট বি, ২৮ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ট্রেজারী বন্ড বিনিয়োগে কর রেয়াত পাওয়া যায়। যেহেতু প্রাইজবন্ড ট্রেজারী বন্ডের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেহেতু প্রাইজবন্ড ক্রয় বিনিয়োগ কররেয়াতযোগ্য নয়।
প্রাইজবন্ডের ড্র কখন অনুষ্ঠিত হয় ? উঃ ১০০/-টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ড্র বছরে চারবার অর্থাৎ প্রতি তিন মাস অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। বছরের ৩১ জানুয়ারী, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর তারিখে ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারিত আছে। নির্ধারিত তারিখে কোন সরকারী ছুটি থাকলে পরবর্তী কার্যদিবসে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। বিক্রিত সকল প্রাইজবন্ডই কি লটারীর আওতাভুক্ত ? উঃ বিক্রিত সকল বন্ডই লটারীর আওতায় আসে না। যে তারিখে ড্র অনুষ্ঠিত হবে সেই তারিখ হতে ০২(দুই) মাস পূর্বে (ইস্যু’র বিক্রির তারিখ হতে ‘ড্র’ এর তারিখ বাদ দিয়ে) যে সমস্ত নতুন বন্ড বিক্রি হবে তা সহ পূর্বে বিক্রিত বন্ড ড্রয়ের আওতায় আসবে। অর্থাৎ বন্ডে নির্দেশিত বিক্রির তারিখ হতে ন্যূনতম ০২(দুই) মাস অতিক্রমের পর উক্ত বন্ড ড্র-এর আওতায় আসবে।
কোথায় ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং কারা ‘ড্র’ অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন? উঃ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং সরকার কর্তৃক নিয়ােজিত ‘ড্র’ কমিটি কর্তৃক ‘ড্র’ অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়ে থাকে। কোন কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা দ্বারা ‘ড্র’ কমিটি গঠিত হয়? উঃ সরকার কর্তৃক নিম্নোক্ত ভাবে গঠিত কমিটির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে “ড্র পরিচালিত হয়ে থাকে।
প্রাইজবন্ড একটি সরকারী প্রকল্প, তারপরেও বাংলাদেশ ব্যাংক কেন এর সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ? উঃ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের ব্যাংক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারার হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের ব্যাংকিং সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে থাকে। তেমনি প্রাইজবন্ড প্রকল্পের প্রাইজবন্ড বিক্রয়, ড্র অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার প্রদানের ব্যাপারেও বাংলাদেশ। ব্যাংক দায়িত্ব পালন করে থাকে।
প্রাইজবন্ড সংক্রান্ত কার্যাদি বা তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে ? উঃ প্রাইজবন্ডের অপারেশনাল সংক্রান্ত কার্যাদি বাংলাদেশ ব্যাংক, মতিঝিল অফিসের প্রাইজবন্ড শাখা কর্তৃক সম্পাদিত হয়ে থাকে এবং প্রয়ােজনীয় তথ্যাদি সেখান থেকে সংগ্রহ করা যাবে। প্রাইজবন্ডের নীতিমালা সংক্রান্ত কার্যাদি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড শাখা) কর্তৃক সম্পাদিত হয়ে থাকে।
প্রাইজবন্ড ছিড়ে বা পুঁড়ে গেলে উক্ত বন্ডের বিষয়ে কি করনীয় ? উঃ ছেড়া/বিকৃত/অস্পষ্ট বন্ড সমূহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনােনীত কর্মকর্তা কর্তৃক সেই সমস্ত বন্ড পরীক্ষিত হবে যিনি এই বিষয়টি সুরাহা করার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন। এক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক একটি প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে। যার আলােকে উল্লিখিত বিষয়টি সমাধান করা হয়ে থাকে।
ছেড়া বা বিকৃত প্রাইজবন্ড কি বদল বা ভাংগানাে যায় ? উঃ হ্যা। বর্তমানে ১০০/- মূল্যমানের হেঁড়া বা বিকৃত প্রাইজবন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন অফিসে জমা দেয়া যায়। বিনিময়যােগ্য হলে বন্ডে মূল্যমান অনুযায়ী বিনিময়মূল্য নগদ অর্থে পরিশােধ করা হয়। বিনিময় অযােগ্য হলে দাবীকারীকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়।
প্রাইজবন্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে যথাযথ প্রমানসহ এর বিনিময় মূল্য দাবী করলে কি পাওয়া যায় ? উঃ না। যেহেতু প্রাইজবন্ড Bearer বন্ড তাই এর বাহকই মালিক বিধায় প্রাইজবন্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে দাবীকারীকে বিনিময় মূল্য প্রদানের কোন সুযােগ নেই।