সূচীপত্র
জমি বা ফ্ল্যাট হেবা করার নিয়ম- রক্তের সম্পর্ক ব্যতীত শুধুমাত্র স্ত্রীর নামে হেবার ঘোষণাপত্র জারি করা যায় – দলিল রেজিস্ট্রেশন ফিস তালিকা দেখুন
হেবার ঘোষণাপত্র কি?– হেবা সম্পত্তি বলতে কী বুঝায় দানকে মুসলিম আইনে হেবা বলে। সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ১৮৮২,এর ১২২ধারায় বলা হয়েছে,”কোন সম্পত্তি দাতা কর্তৃক কোন। ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে এর কোন পণ গ্রহণ না করে তাৎক্ষণিকভাবে হস্তান্তর করলে এবং গ্রহীতা বা তার পক্ষে কোন ব্যক্তি সেটি গ্রহণ করলে তাকে দান বা হেবা বলে।
মুসলিম আইনে হেবা/দান কখন কার্যকর হবে? দাতার জীবনকালের মধ্যে দান কার্য সম্পন্ন হতে হবে। দান গ্রহণের পূবে দাতার মৃত্য হলে দান বাতিল বলে গণ্য হবে। দানের সময় সম্পত্তিতে দাতার মালিকানা ও দখল থাকতে হবে। দান স্বেচ্ছায় এবং পণবিহীন হতে হবে। দাতাকে সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন ও সাবালক হতে হবে। দান গ্রহীতা মানসিক ভারসাম্যহীন বা নাবালক হলে তার পক্ষে অভিভাবক দান গ্রহন করতে পারবেন। মুসলিম আইন অনুযায়ী দাতা তার সমুদয় সম্পত্তি যে কাউকে দান করতে পারেন। তবে দায়ভাগ মতে একজন হিন্দু যাদের ভরণপোষণে আইনত বাধ্য তাদের জন্য উপযুক্ত বব্যস্থা রাখার পর বাকী সম্পত্তি দান করতে পারেন। দখল হস্তান্তরের পুর্বে দান প্রত্যাহার করা যায়। দখল হস্তান্তরের পরে দান প্রত্যাহারের জন্য আদালতের ডিক্রী লাগবে।
হেবা দলিল কি বাতিল করা যায়? দখল হস্তান্তরে পূর্বেই কেবল হেবা দলিল বাতিল করা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্র বিদ্যমান থাকিলে হেবা দলিল বাতিল করা যায় না। হেবাকৃত সম্পত্তির দাতা-গ্রহীতা স্বামী বা স্ত্রী হইলে বাতিল করা যায় না। গ্রহীতা মৃত্যূবরণ করিলে এবং দাতা-গ্রহীতার মধ্যে বিবাহ অযোগ্য সম্পর্ক
বিদ্যমান থাকিলে বাতিল করা যায় না। হেবাকৃত সম্পত্তি গ্রতীতা কর্তৃক বিক্রি বা হস্তান্তরিত হয়ে গেলেও বাতিল করা যায় না। হেবাকৃত সম্পত্তি বিলীন বা ধ্বংস হয়ে গেলে হেবা আর বাতিল করা যায় না। হেবাকৃত সম্পত্তির মূল্য বেড়ে গেলে তখন বাতিল করতে চাইলে পারবেন না। হেবাকৃত সম্পত্তির প্রকৃতি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গেলেও বাতিল করা যায় না। হেবা’টি ‘হেবা বিল এওয়াজ’ (বিনিময়ে দান) হয়ে থাকিলে হেবা দলিল বাতিল করা যায় না। এসব ক্ষেত্র ছাড়া আদালতের মাধ্যমেও হেবা দলিল বাতিল করা যায়। হেবা কৃত জমি গ্রহীতা বিক্রি সহ যে কোন ভাবেই হস্তান্তর করতে পারবে।
দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি ও হেবার ঘোষণা 2024 / রেজিস্ট্রেশন ফি কি ব্যাংকে জমা দিতে হয়?
রেজিস্ট্রেশন ফি, ই ফি, এন ফি এবং এনএন ফি নগদে অফিসে জমা প্রদান করতে হবে। মূল দলিল ২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রিন্ট করতে হবে।হলফনামা ২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রিন্ট করে মূল দলিলের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশে (এল টি নোটিশ) ১০ টাকার কোর্ট ফি সংযুক্ত করতে হবে।
মুসলিম আইন অনুযায়ী দাতা তার সমুদয় সম্পত্তি যে কাউকে দান করতে পারেন। তবে দায়ভাগ মতে একজন হিন্দু যাদের ভরণপোষণে আইনত বাধ্য তাদের জন্য উপযুক্ত বব্যস্থা রাখার পর বাকী সম্পত্তি দান করতে পারেন। দখল হস্তান্তরের পুর্বে দান প্রত্যাহার করা যায়। দখল হস্তান্তরের পরে দান প্রত্যাহারের জন্য আদালতের ডিক্রী লাগবে।
উৎসে কর এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না । হেবার ক্ষেত্রে কি কি খরচ লাগে? । ভেন্ডার তাহলে ৫-৭ হাজার টাকা নেয় কেন?
- রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০/- ১০০
- স্ট্যাম্প শুল্ক ১০০০/- ১০০০
- হলফনামা ৩০০
- ই ফিস ১০০
- এন ফিস ১৬০
এন এন ফিস ২৪০ - কোর্ট ফি ১০
- মোট খরচ ১৯১০
হেবা বাতিলের নিয়ম?
হেবা দলিল বাতিল করতে হবে আদালতের মাধ্যমে। আদালতে দলিল বাতিলের জন্য মামলা দায়ের করলে, আদালত মামলার বিষয়বস্তুর গুনগত মান বিবেচনা করে যৌক্তিক মনে করলে উক্ত হেবা দলিল বাতিল করতে পারেন। মন চাইলেই মৌখিক ঘোষণা দিয়েই হেবা বাতিল করা যায় না। প্রতারকগণ অনেক সময় প্রতারণা করে একই জমি একাধিক বার একাধিক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে থাকে। এ বিক্রি কখনো একই দিনেও সম্পন্ন করতে পারে। আবার একাধিক দিনও এ বিক্রি সম্পন্ন হতে পারে। আবার প্রতারক বিক্রেতা প্রথমেই উক্ত জমি নিজের স্ত্রীর নামে হেবা করে দিয়ে পরবর্তীতে অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারে। রেজিষ্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ৪৭ ধারা অনুযায়ী, যে দলিলটি পূর্বে সম্পাদিত হয়েছে সে দলিল টিই কার্যকর হবে। দলিল সম্পাদনা মানে হলো, জমি বিক্রেতা বা দলিলদাতা যখন দলিল প্রস্তুত করে ২ জন স্বাক্ষী ও সনাক্তকারীর সম্মুখে প্রত্যেকে স্বাক্ষর করবেন তখন দলিলটি প্রাথমিকভাবে সম্পাদিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত দলিল টি ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন করা যায়। হেবার অন্যান্য আইন দেখুন
হেবা বা দান হল এক ব্যক্তি কর্তৃক অপর ব্যক্তিকে কোন বিনিময় মূল্য ছাড়াই অনতিবিলম্বে সম্পত্তি হস্তান্তর। প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তি যিনি সুস্থ মস্তিষ্কের এবং নাবালক নন তিনি দান করতে পারবেন। হেবা বৈধ হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, দাতা কর্তৃক দানের কথা ঘোষণা করতে হয়, দ্বিতীয়ত, দানগ্রহীতা বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সুস্পষ্টভাবে ওই দান গ্রহণ করতে হয় এবং তৃতীয়ত, দাতা কর্তৃক দান গ্রহীতাকে দানের বিষয়বস্তুর দখল দিতে হয়। তিনটি শর্ত পূরণ হলে মৌখিক ভাবে করা দানও বৈধ হবে।
মুসলিম আইনে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির দান আইনসিদ্ধ হওয়ার জন্য লিখিত দলিল হওয়া জরুরি নয়। ‘হেবা-বিল-এওয়াজ’ ও ‘হেবা বা শর্ত -উল-এওয়াজ’ সাধারণ হেবা থেকে কিছুটা আলাদা। হেবা-বিল-এওয়াজ হলো প্রতিদানের জন্য প্রদত্ত একটি দানবিশেষ। এক্ষেত্রে লেনদেনটি বৈধ করতে হলে দুটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, দানগ্রহীতা কর্তৃক এওয়াজ বা প্রতিদানটি কার্যত পরিশোধ করা, দ্বিতীয়ত, দাতার পক্ষে বর্তমান মালিকানা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে সেটি দানগ্রহীতাকে প্রদান করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা। কোন প্রতিদান বা বিনিময়ের শর্তে দান করা হলে তাকে হেবা বা শর্ত -উল-এওয়াজ বলে। ভবিষ্যতের জন্য কার্যকরী দান করা যাবে না। এমনকি সম্ভাব্য কোন কিছুর উপর নির্ভর করে দান করা যায় না। দখল প্রদানের পূর্বে যে কোন সময় দান প্রত্যাহার করা যায়। এছাড়াও দাতা বা গ্রহীতা মারা গেলে, যখন দানের বস্তুটি এমনভাবে রূপান্তরিত হয় যে উহাকে আর সনাক্ত করা যাবেনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে দান প্রত্যাহার করা যায়। বর্তমানে দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হওয়ায় হেবা রেজিস্ট্রেশন না হলে তা আদালত কর্তৃকত গ্রহণযোগ্য নয়।
রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ফিসে তালিকা দেখুন: ডাউনলোড
আমার বাবা ক্যানসার রোগী ছিলেন ২য় ক্যমো দেওয়ার পর আমার একমাএ ভাই ডাঃ দেখাবেন বলে বাজারে নিয়ে আমার বাবাকে দিয়ে হেবা দলিল করে নেন আমরা তিন বোন ও মা,বাবা মারা যাবার পর জানতে পারি এবং ঐ দলিলে আমাদের দুই চাচা সাক্ষী হয়েছেন এখন আমরা কি ঐ সম্পদ ফিরে পেতে পারি, দয়া করে জানাবেন। ধন্যবাদ
দু:খিত। না। তিনি বেচে থাকলে ফ্রড মামলা বা অন্য কোন কারণ দেখিয়ে দাবী করতে পারবেন। আপনারা দাবী করতে পারবেন না।
ভেন্ডর তাহলে এত টাকা চায় কেন?
আমাদের বোকা পেয়ে অথবা অজ্ঞতার কারণেই।