দেশের উন্নয়ন এবং মানব সভ্যতার জন্য গণতান্ত্রিক দেশের বিকল্প নেই-বহু দেশ তাই যুগের পর যুগ লড়াই করে যাচ্ছে গণতন্ত্র বা স্বাধীনতা লাভের জন্য-সেনা শাসিত দেশের তালিকা ২০২৪

গণতন্ত্র বলতে আসলে কি বুঝায়? গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে রাষ্ট্রের ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে। অর্থাৎ, দেশের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তগুলো জনগণের ভোটের মাধ্যমে নেওয়া হয়। এখানে জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে আসেন এবং তাদেরকে জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করতে হয়। জনগন গণতান্ত্রিক দেশে তাদের ইচ্ছামত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে।

দেশটি গণতান্ত্রিক কিনা কিভাবে বুঝবেন? জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে।নির্বাচন নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। বহুদলীয় ব্যবস্থা সাধারণত একাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। আইনের শাসন সকল নাগরিক আইনের সমান অধীনে থাকে। মৌলিক অধিকার  প্রত্যেক নাগরিকের কিছু মৌলিক অধিকার থাকে যেমন, ভাবের স্বাধীনতা, বাক্য স্বাধীনতা ইত্যাদি। প্রেস স্বাধীনতা গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করতে পারে। বিরোধী দল সরকারকে সমালোচনা করার জন্য বিরোধী দল থাকে। এসব বৈশিষ্ট্য খুঁজে না পেলে সেটি গণতান্ত্রিক দেশ হতে পারে না।

স্বৈরতন্ত্র বলতে কি বুঝায়? স্বৈরতন্ত্র বলতে সাধারণত একজন ব্যক্তি বা ছোট্ট একদল ব্যক্তির একক ক্ষমতায় শাসিত রাষ্ট্রকে বোঝায়। এখানে জনগণের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার থাকে না এবং শাসকের ইচ্ছা অনুযায়ী সব কিছু পরিচালিত হয়।এক ব্যক্তি বা ছোট্ট একটি দলের একক ক্ষমতা জনগণের প্রতিনিধিত্ব নয়, একজন শাসক বা একটি ছোট দল সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে। আইন শাসকের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় এবং জনগণের উপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া হয়।

সেনা শাসিত দেশ / বৈদেশিক বিনিয়োগ ও দাতা সংস্থার সাহায্য আসে না

গণতন্ত্র মানে হলো জনগণের শাসন। এটি এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে জনগণ নিজের ভবিষ্যৎ নিজে নির্ধারণ করতে পারে।

sudan photos

Caption: sudan City

সামরিক শাসন ব্যবস্থার দেশ ২০২৪ । সভ্য সমাজ মানেই সেখানে গণতন্ত্র থাকতে হবে

  1. আফ্রিকা: আফ্রিকা মহাদেশে সামরিক শাসন বেশি দেখা যায়। মালি, সুদান, বুরকিনা ফাসো ইত্যাদি দেশগুলোতে বর্তমানে বা সম্প্রতি সামরিক শাসন ছিল।
  2. এশিয়া: এশিয়ার কিছু দেশেও ইতিহাসে সামরিক শাসন ছিল। তবে বর্তমানে এশিয়ার অধিকাংশ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিরাজমান।

একদলীয় গণতন্ত্র কী?

একদলীয় গণতন্ত্র শব্দটি প্রথম শুনলে অনেকেই বিস্মিত হতে পারেন। গণতন্ত্রে তো বহুদলীয় ব্যবস্থা থাকে, তাহলে একদলীয় গণতন্ত্র কিভাবে সম্ভব? আসলে, এই ধারণাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের মূলনীতির বিরোধী। একদলীয় গণতন্ত্রে মূলত একটি রাজনৈতিক দলই সরকার গঠন করে এবং দেশ পরিচালনা করে। অন্য কোন দলকে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হয় না।যদিও একে গণতন্ত্র বলা হয়, তবে এটি আসলে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের একটি ছদ্মবেশ হিসেবেই বিবেচিত হয়।

কেন একদলীয় গণতন্ত্র সমস্যা? একদলীয় ব্যবস্থায় জনগণের সামনে সীমিত পছন্দের সুযোগ থাকে। তাদেরকে কেবল একটি দলের প্রার্থীদের মধ্য থেকেই নির্বাচন করতে হয়। একদলীয় ব্যবস্থায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত থাকে। বিরোধী মতামতকে দমন করা হয়। একদলীয় ব্যবস্থায় দুর্নীতির প্রবণতা বেড়ে যায়। কারণ, কোনো প্রতিযোগিতা না থাকায় দলীয় নেতারা অনায়াসে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন। একদলীয় ব্যবস্থায় দেশের সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। কারণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের চাহিদা উপেক্ষা করা হয়।

একদলীয় গণতান্ত্রিক দেশের  ঐতিহাসিক উদাহরণ—-
সোভিয়েত ইউনিয়ন চীন (মহান লাফের সময়) কাম্বোডিয়া (খের মের রেজিমের সময়)
উত্তর কোরিয়া কুবা ভিয়েতনাম
     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *