ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে ফ্রিভাবে বা কোন নির্ধারিত নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধীনে কাজ না করা। ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি শুধু দেশের সীমানায় গন্ডীবদ্ধ নয়। একজন ফ্রিল্যান্সার দেশ এবং বিদেশে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট নিয়ে কাজ করেন। তিনি একজন মুক্ত পেশাজীবী বিভিন্ন ক্লায়েন্টর কাজ বিভিন্ন সময় করে থাকে আবার মন চাইলে কর্ম হতে বিরতি নিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সার কি তাহলে কারও অধীনে নয়? হ্যাঁ একজন ফ্রিল্যান্সার কারও অধীন নয়। নিজেই নিজের অধীনে কাজ করে থাকেন। মূলত ক্লায়েন্টের কাজ নির্ধারিত সময়ে দেখানো ওয়েতে শেষ করে জমা দিয়ে থাকেন। একই সাথে অনেকগুলো ক্লায়েন্ট বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। তিনি ৯-৫ পর্যন্ত ডিউটির সীমায় বদ্ধ থাকেন না, তিনি একাধারে দিন রাত পরিশ্রম করে ক্লায়েন্টের কাজ সময় সম সম্পন্ন করে ডেলিভারী দিয়ে থাকেন। নির্ধারিত একজনের অধীনে না থাকলেও তিনি অনেকগুলো ক্লায়েন্টের হয়ে কাজ করে থাকেন।
ফ্রিল্যান্স কি অন্য চাকরির পাশাপাশি করা যায়? মুক্ত পেশাটি মানেই আপনি আপনার ইচ্ছা মতো করবেন। তবে কিছু কাজ রয়েছে যা চাইলেই ইচ্ছামত করা যায় না। আপনি যদি ক্লায়েন্টের ইচ্ছামত বা নির্ধারিত সময়ে শেষ না করেন তবে আপনি মার্কেটে টিকে থাকতে পারবেন না। আপনাকে ক্লায়েন্টের দেয়া সময়েই কাজ শেষ করে জমা দিতে হবে। কিছু কাজ আছে যেগুলো আপনি আপনার ইচ্ছামত করতে পারেন যেমন ধরুন আপনি যদি একজন কন্টেন্ট রাইটার হউন হতে আপনি ব্লগ তৈরি করে কন্টেন্ট লিখে গুগল এ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
ইউটিউব থেকে কি আয় করা যায়? অবশ্যই, এটি এখন সকলেই জানে ভিডিও ক্রিয়েটর এখন ভাল আয় করেন তার ভিডিও থেকে। ভাল মানের লার্নিং বা ফানি ভিডিও থেকে স্মার্ট একটি ইনকাম আসে। আপনার মধ্যেও যদি ট্যালেন্ট থাকে তবে আপনিও ইউটিউব থেকে আয় শুরু করতে পারেন। তবে ইউটিউবে সফলতার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রায় ২-৩ বছর সময় লেগে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো বা ৩-৬ মাসেও ফল আসা শুরু করে। তবে আপনাকে সফলতার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী পথ পারি দিতে হবে এটিই ধরে নিতে হবে। যদি ইংলিশ ও হিন্দি কন্টেন্ট ইউটিউবে অনেক আছে কিন্তু বাংলা মানসম্পন্ন ভিডিও এর অভাব এখনও বাঙ্গালি অনভব করে। ফানি ভিডিও এর ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে থাকলেও টেক ভিডিও ও অন্যান্য লার্নিং ভিডিও এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। যদি আপনি মনে করেন কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতা রয়েছে তবে আপনি আজই ইউটিউবে কিছু একটা শুরু করে দিন।
ফ্রিল্যান্সি এ ব্লগিং পেশার ভবিষ্যত কি?
ব্লগিং পেশাটি ধীরগতিতে সাফল্যা আসে তবে এটি ইউটিউবের প্রভাবে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও কালের বিবর্তনে মানুষ ব্লগের পিছনে আবার ছুটবে কারণ একটি ভিডিও তৈরি করা যত কঠিন ব্লগ তৈরি করা তার চেয়েও কঠিন বিষয়। তাই ব্লগিং বা ইউটিউব যেটিই শুরু করুন না কেন এ দুটির ভবিষ্যত খুবই উজ্জল। তাই দেরী না করে আজই ব্লগিং বা ইউটিউবিং শুরু করে নিজেকে এগিয়ে রাখুন।
কাদের এড়িয়ে চলবেন?
জীবনে কত ক্ষেত্রে আমরা কত টাকা খরচ করি, একবার ভাবুন তো ২৫০ টাকা দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করে কাজ শুরু করতে আপনি এতো চিন্তা করতেছেন। ২৫০ টাকা পুজি দিয়ে কয়েক হাজার টাকা কামাতে পারবেন, সেখানে ২৫০ টাকা খরচ করতে আপনার এতো দিধা আবার বলছি দ্রুত লাইফ গুড একাউন্ট ভেরিফাই করে মাঠে নেমে পড়ুন ইনশাআল্লাহ সফল হবেন। এইসব পোস্ট থেকে দূরে থাকবেন। অনলাইনে কাজ শিখতে কোর্স কিনতে পারেন কিন্তু কাউকে টাকা দিয়ে কাজ শুরু করবেন না।