আংশিক ভূমি ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং আংশিক ভূমি অর্পিত সম্পত্তি হলে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূ-সম্পত্তির নামজারি প্রদান ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায়” সংক্রান্ত নির্দেশনা– আংশিক মালিকানাধীন ও অর্পিত সম্পত্তির নামজারি ২০২৪

অর্পিত সম্পত্তি কি? –১৯৬৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে যেসকল লোক পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে গিয়ে বসবাস করছিল তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি পাকিস্তান সরকার শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৪ সাল থেকে শত্রু সম্পত্তির নতুন নাম দেওয়া হয় অর্পিত সম্পত্তি। অর্পিত সম্পত্তি বলতে বোঝায় যে সম্পত্তির মালিকানা সরকারের নিকট ন্যস্ত। এই সম্পত্তিগুলি সাধারণত পরিত্যক্ত, শত্রু সম্পত্তি, অথবা বেদখলকৃত সম্পত্তি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসকল ব্যক্তি পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে যান তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি পাকিস্তান সরকার শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ সরকারও পাকিস্তানি নাগরিকদের মালিকানাধীন সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে। বেদখলকৃত সম্পত্তি যা সরকার কর্তৃক উদ্ধার করা হয় তাও অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হয়। বাংলাদেশে অর্পিত সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ভূমি অধিদপ্তরের অধীনে) কাজ করে। অর্পিত সম্পত্তি বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত নীতিমালা রয়েছে। অর্পিত সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার জন্যও আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে।

পরিত্যক্ত জমির ক্রেতার অংশের ভূমি কর আদায় সংক্রান্ত নীতিমালা? হ্যাঁ। কোন দাগের আংশিক ভূমি ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং আংশিক ভূমি অর্পিত সম্পত্তি হলে অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূ-সম্পত্তির নামজারি প্রদান ও ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণে মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোন ক্রমেই কাম্য নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে “কোন দাগের আংশিক ভূমি ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং আংশিক ভূমি অর্পিত সম্পত্তি হলে”- (ক) ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূ-সম্পত্তির নামজারি প্রদান ও ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। (খ) উক্ত দাগ বা দাগসমূহে ব্যক্তি মালিকানাধীন ও অর্পিত সম্পত্তি পৃথক পৃথকভাবে চিহ্নিত না থাকলে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা পৃথক পৃথক ভাবে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করবেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা সাবেক / হাল রেকর্ড, দাগসূচী, মৌজা ম্যাপ পর্যালোচনান্তে পৃথক পৃথক ভাবে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করবেন।

ব্যক্তি নামের অংশ নামজারি হবে? হ্যাঁ। ব্যক্তি মালিকানাধীন অংশের নামজারী প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দাগ ভিত্তিক জমির মধ্যে কতটুকু অর্পিত সম্পত্তি তা উল্লেখ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন যতটুকু জমির জন্য নামজারী করা হলো সৃজিত খতিয়ানের মন্তব্য কলামে তা সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। উক্ত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তার আওতাধীন কানুনগো/সার্ভেয়ার/সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন/ পৌর ভূমি সহকারী/উপ-সহকারী কর্মকর্তার দ্বারা সরেজমিনে স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষগণের উপস্থিতিতে তদন্তপূর্বক অর্পিত সম্পত্তি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি আলাদাভাবে চিহ্নিত করে যৌথ স্বাক্ষরিত নকশা প্রস্তুত করে প্রতিবেদন সংগ্রহ, শুনানি গ্রহণ ও সাবেক/হাল রেকর্ড, দাগসূচী, মৌজা ম্যাপ পর্যালোচনান্তে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমির নামজারি প্রদান এবং ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করবেন।

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০০১ সনের ১৬ নং আইন(২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) / অর্পিত সম্পত্তির ভূমি কর ও নামজারি নিয়ে নতুন নির্দেশনা দেখুন

১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তান প্রতিরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করে। এ অধ্যাদেশের ৩ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে একই তারিখে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এ বিধিমালার ১৮২ বিধির (১) উপবিধির (খ) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ১৯৬৫ সালের ৩ ডিসেম্বর একটি আদেশ জারি করেন। এ আদেশে উক্ত বিধিমালার ১৬৯ (৪) বিধির সংজ্ঞানুসারে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত সকল জমি ও তাতে অবস্থিত ভবনসমূহ ও অস্থাবর সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তির উপ-তত্ত্বাবধায়ক বরাবর ন্যস্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়। ১৯৬৫ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে উপ-তত্ত্বাবধায়ক বরাবর ন্যস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়, বিনিময়, দান, উইল, বন্ধক, ইজারা, দর-ইজারা বা অন্য কোনো প্রকারে হস্তান্তর নিষিদ্ধ করা হয় এবং এ আদেশের পরিপন্থী যেকোন প্রকার হস্তান্তর অবৈধ ও অকার্যকর ঘোষণা করা হয়।

আংশিক মালিকানাধীন ও অর্পিত সম্পত্তির নামজারি ২০২৪ । অর্পিত আংশিক ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমির উন্নয়ন কর নিবে?

Caption: Full pdf Download link

অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান । অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন,২০০১ ও উক্ত আইনের আওতায় প্রণীত খসড়া বিধিমালা, ২০২০ সংক্রান্ত

ক্রম বিষয়বস্তু প্রকাশের তারিখ ডাউনলোড
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন,২০০১ ও উক্ত আইনের আওতায় প্রণীত খসড়া বিধিমালা, ২০২০ সংক্রান্ত ১৩-০৫-২০২০
pdf
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনে বাতিরকৃত খ-তফসিল বিষয়ে নির্দেশনাসমূহ ২০-১১-২০১৩
pdf
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০১৩ সনের ৪৬ নং আইন ১০-১০-২০১৩
pdf
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০১৩ সনের ৫ নং অধ্যাদেশ(রহিত) ২২-০৮-২০১৩
pdf
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০১৩ সনের ২০ নং আইন ০৫-০৫-২০১৩
pdf
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০১৩ সনের ৩ নং অধ্যাদেশ(রহিত) ১৮-০৪-২০১৩
pdf
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০১২ সনের ৩৯ নং আইন ২৪-০৯-২০১২
pdf
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০১২ সনের ৭ নং অধ্যাদেশ(রহিত) ২৭-০৮-২০১২
pdf
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০১২ সনের ২২ নং আইন ২১-০৬-২০১২
pdf
১০ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০১১ সনের ২৩ নং আইন ১১-১২-২০১১
pdf
১১ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০০১ সনের ১৬ নং আইন ১১-০৪-২০১১
pdf
১২ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০০২ সনের ৩৩ নং আইন ০১-১২-২০০২
pdf
১৩ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০০১ সনের ১৬ নং আইন(২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) ১১-০৪-২০০১
pdf

মুসলমান বা হিন্দুদের পরিত্যক্ত ভূমির ক্রয়কৃত অংশে কর দেওয়া যাবে?

হ্যাঁ। সহকারী কমিশনার (ভূমি) উক্তরূপ কার্যধারায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও কানুনগো/সার্ভেয়ার/সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন/পৌর ভূমি সহকারী/উপ-সহকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত নকশার কপি পক্ষগণকে প্রদানসহ নিজ দপ্তরে ও আওতাধীন ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অফিসে সংরক্ষণ করবেন এবং তদনুযায়ী ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমির নামজারি প্রদান ও ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ নিশ্চিত করবেন। এমতাবস্থায়, আংশিক ভূমি ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং আংশিক ভূমি অর্পিত সম্পত্তি হলে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূ-সম্পত্তির নামজারি প্রদান ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে এ পরিপত্রের নির্দেশনা মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *