সূচীপত্র
মে দিবস, বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা এবং ন্যায্য মজুরির দাবিতে উদযাপিত হয়। এটি মূলত ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হেইমার্কেট আন্দোলন-এর স্মরণে পালিত হয়, যেখানে শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন – মে দিবস ২০২৫
বাংলাদেশে মে দিবস সরকারি ভাবে পালিত হয়? হ্যাঁ। বাংলাদেশে মে দিবস সরকারিভাবে পালিত হয়। এদিন সরকারি ছুটি থাকে, এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। মে দিবস, যা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস নামেও পরিচিত, প্রতি বছর ১লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। এই দিনটি শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের ঐতিহাসিক আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানিয়ে উদযাপন করা হয়।
মে ডে কেন পালিত হয়? মে দিবসের উৎপত্তি ১৮৮৬ সালের আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেট ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। সে সময় শ্রমিকরা দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। ১লা মে ধর্মঘট শুরু হয় এবং ৪ঠা মে হে মার্কেটে এক সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে পুলিশ এবং শ্রমিক হতাহত হন। এই ঘটনার স্মরণে এবং শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে সম্মান জানাতে ১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে ১লা মে-কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মে দিবস? হ্যাঁ। প্রায় সব দেশেই এটি ১ মে তারিখে পালিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যদিও ‘Labor Day’ সেপ্টেম্বর মাসে পালন করে। বাংলাদেশেও ১ মে তারিখে সরকারিভাবে শ্রমিক দিবস পালিত হয় এবং এদিন সরকারি ছুটি থাকে।
মে দিবসের বক্তব্য /মে দিবস ২০২৫ পালিত হবে ১ মে, ২০২৫ তারিখে, যা বৃহস্পতিবার পড়েছে।
সম্মানিত সভাপতি, উপস্থিত সকল শিক্ষক, সহপাঠী এবং অতিথিবৃন্দ — আসসালামু আলাইকুম / নমস্কার। আজ ১লা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং অধিকার আদায়ের এক গৌরবময় স্মৃতিবাহী দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে হাজার হাজার শ্রমিক ৮ ঘণ্টা কর্মঘণ্টার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে হেইমার্কেট স্কয়ারে সংঘটিত হয় এক ঐতিহাসিক ঘটনা, যার ফলস্বরূপ বহু শ্রমিক রক্ত দিতে বাধ্য হন। তাদের এই ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি কর্মঘণ্টার নির্ধারণ, ন্যায্য মজুরি ও শ্রমিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা। বাংলাদেশেও শ্রমিকরা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গার্মেন্টস থেকে শুরু করে নির্মাণ, পরিবহন ও কৃষি—সবখানেই শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। এই দিবসে আমরা প্রতিজ্ঞা করি— শ্রমিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করব। তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় সচেতন থাকব। এবং একটি ন্যায্য ও মানবিক সমাজ গঠনে কাজ করব। সবশেষে বলব— “শ্রমিকের ঘাম যেন হয় না অপচয়, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।” শুভ মে দিবস। ধন্যবাদ।
Caption: May Day Bangladesh
বাংলাদেশেও প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় মে দিবস পালিত হয়। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এই দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম।
- বিশ্বের প্রায় ৮০টিরও বেশি দেশে মে দিবস সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশও এর অন্তর্ভুক্ত।
- এই দিনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, রাজনৈতিক দল এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো র্যালি, মিছিল, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
- অনুষ্ঠানগুলোতে শ্রমিকদের অধিকার, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, ন্যায্য মজুরি, আট ঘণ্টা কর্মদিবস এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
- এটি শ্রমিক সংহতি প্রকাশের এবং তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
শ্রমিক দিবস কবে পালিত হয়?
শ্রমিক দিবস (বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস) প্রতি বছর ১লা মে তারিখে পালিত হয়। এই দিনটি বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ও ত্যাগের স্মরণে পালিত হয়। বিশেষ করে ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের হেইমার্কেট আন্দোলন থেকে এ দিনের সূচনা। সেখানে শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন।