সূচীপত্র
নামজারি বা মিউটেশন হলো জমির বর্তমান খতিয়ান থেকে নতুন মালিকের নাম সংযোজন করে একটি নতুন খতিয়ান তৈরি করার প্রক্রিয়া। জমি ক্রয়-বিক্রয় বা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি বৈধভাবে নিজের নামে রেকর্ড করতে এটি অপরিহার্য– মিউটেশন A to Z ২০২৫
নামজারি প্রক্রিয়া কি?১ম ধাপ: mutation.land.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নাগরিক বা কম্পিউটার কর্ণার থেকে অনলাইনে আবেদন করুন। আবেদন করার পর একটি কেস নম্বর পাবেন, যা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।২য় ধাপ: আপনার আবেদন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাবে। তদন্তের পর সব ঠিক থাকলে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে উপজেলা ভূমি অফিসে প্রস্তাব পাঠানো হবে।৩য় ধাপ: এসিল্যান্ড অফিস থেকে শুনানির তারিখ এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। শুনানির পর ডিসিআর ফি পরিশোধ করে অনলাইনে কিউআর কোডসহ নামজারি কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।✅ সময় ও খরচ: নামজারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত ১৫-৩০ দিন সময় লাগে। মোট খরচ: ১১৭০ টাকা।নামজারি করলে কি জমি নিজের হয়ে যায়? হ্যাঁ, নামজারি (Mutation/Jamabandi) করলে জমির মালিকানা পরিবর্তন হয় এবং জমির নতুন মালিকের নামে রেকর্ড হয়। তবে, নামজারি করা মানেই এই নয় যে, জমি সম্পূর্ণরূপে আপনার হয়ে যাবে। নামজারি হল জমির মালিকানার রেকর্ড হালনাগাদ করার একটি প্রক্রিয়া। এটি জমির মালিকানা পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, তবে জমির মালিকানা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করার জন্য অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়াও অনুসরণ করতে হতে পারে। সংক্ষেপে, নামজারি জমির মালিকানা পরিবর্তনের একটি আইনি প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি জমির রেকর্ডে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন।
নামজারি জমির মালিকানা পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলেও, জমির মালিকানা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করার জন্য অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়াও অনুসরণ করা প্রয়োজন।
জমির মালিকানা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া কি? যখন কেউ জমি কেনেন বা উত্তরাধিকার সূত্রে পান, তখন সেই জমির মালিকানা তার নামে রেকর্ড করার জন্য নামজারি করতে হয়। নামজারির মাধ্যমে, জমির পূর্ববর্তী মালিকের নাম থেকে নতুন মালিকের নামে রেকর্ড হালনাগাদ করা হয়। নামজারি সম্পন্ন হলে, জমির মালিকানা নতুন মালিকের নামে আসে এবং এটি ভবিষ্যতে আইনি প্রক্রিয়ায় জমির মালিকানা প্রমাণ করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, নামজারি করা মানেই এই নয় যে, আপনি জমির নিরঙ্কুশ মালিক হয়ে গেলেন। কিছু ক্ষেত্রে, নামজারি বাতিলও হতে পারে যদি দেখা যায় যে, জমিটি বেআইনিভাবে বা ভুলভাবে নামজারি করা হয়েছে।
Caption: mutation.land.gov.bd
মিউটেশন বা নামজারি ডকুমেন্ট ২০২৫ । নামজারি করতে যা যা প্রয়োজন । নামজারি আবেদন করার জন্য নিচের ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে
- জমির দলিলের সার্টিফাইড কপি/মূল কপি।
- এস এ/আর এস খতিয়ানের কপি।
- ওয়ারিশান সনদের কপি (যদি ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি হয়)।
- ছবি (জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে আবেদন করলে)।
- বায়া দলিলের কপি (যদি প্রয়োজন হয়)।
- মোবাইল নম্বর।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)।
- কর/খাজনার রশিদ।
নামজারি না করলে কি হয়?
নামজারি (মিউটেশন) না করলে জমি বা সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, জমি হস্তান্তরের পর নতুন মালিকের নামে নামজারি না করলে জমি ভোগ-দখল, খাজনা প্রদান, কেনা-বেচা এবং ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া, নামজারি না করা থাকলে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে এবং জমি বেদখল হওয়ারও সম্ভবনা থাকে। নামজারি না করা থাকলে, জমির মালিকানা প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। নামজারি ছাড়া জমি হস্তান্তর বা বিক্রি করা কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে যদি ক্রেতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চান। নামজারি না থাকলে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে সমস্যা হতে পারে এবং বকেয়া ভূমি উন্নয়ন করের জন্য জরিমানাও হতে পারে। নামজারি করা না থাকলে, জমির মালিকের মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারীরা সম্পত্তি হস্তান্তরে জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন। নামজারি না করা থাকলে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা যেমন- ভূমি উন্নয়ন ঋণ, ভূমি উন্নয়ন সহায়তা ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। অতএব, জমি বা সম্পত্তির মালিকানা নিরাপদ করতে এবং ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের আইনি জটিলতা এড়াতে নামজারি করা খুবই জরুরি।