সূচীপত্র
২০২৬ খ্রিস্টাব্দের জন্য সরকারি, আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ০৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জারি করা প্রজ্ঞাপন (নম্বর: ০৫.০০.০০০০.০০০.১৭৫.০৮.০০০৮.২৫-১৭) অনুযায়ী, আগামী বছর সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি থাকবে। তবে, এর মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সাথে মিলে যাওয়ায় কর্মজীবীদের জন্য কার্যত মোট ১৭ দিন সরকারি কর্মদিবসের বাইরে ছুটি ভোগ করার সুযোগ থাকছে।
এই তালিকা গত ৬ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ২০২৬ সালের জন্য মোট ছুটিগুলোকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
সাধারণ ছুটি: মোট ১৪ দিন। এর মধ্যে ৭টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন অন্তর্ভুক্ত।
নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি: মোট ১৪ দিন। এর মধ্যে ৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন অন্তর্ভুক্ত।
নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটির মধ্যে রয়েছে:
ঈদ-উল-ফিতর: ঈদের পূর্বের ২ দিন এবং পরের ২ দিনসহ মোট ৪ দিন।
ঈদ-উল-আজহা: ঈদের পূর্বের ২ দিন এবং পরের ৩ দিনসহ মোট ৫ দিন।
নববর্ষ: ১ দিন (মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৬)।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পর্ব যেমন শব-ই-বরাত, শব-ই-ক্বদর, আশুরা এবং দুর্গাপূজা (নবমী) এর জন্য ১ দিন করে ছুটি বরাদ্দ।
☪️ ঐচ্ছিক ছুটি (ধর্ম ও জনগোষ্ঠীভিত্তিক)
কর্মচারীরা নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট ০৩ (তিন) দিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এই ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত করে নেওয়া যেতে পারে।
ধর্মভিত্তিক ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:
মুসলিম পর্ব: ৫ দিন (১টি সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ)।
হিন্দু পর্ব: ৯ দিন (২টি সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ)।
খ্রিষ্টান পর্ব: ৮ দিন (৩টি সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ)।
বৌদ্ধ পর্ব: ৭ দিন (২টি সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ)।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কর্মচারীদের জন্য: ২ দিন।
চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল পর্বসমূহ
তালিকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় পর্বের ছুটি চাঁদ দেখা বা চান্দ্র তিথির উপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
ঈদ-উল-ফিতর
ঈদ-উল-আজহা
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)
শব-ই-বরাত ও শব-ই-ক্বদর
বিশ্লেষকদের মন্তব্য
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদিও মোট ছুটির সংখ্যা ২৮ দিন, তবে সাপ্তাহিক ছুটির সাথে মিলে যাওয়ায় কর্মজীবীরা মূলত গত বছরের মতোই (২০২৫ সালে মোট ছুটি ছিল ২৬ দিন, কার্যত ১৭ দিন) ১৭ দিন অতিরিক্ত ছুটি পাবেন। তবে, ঐচ্ছিক ছুটির সুবিধা থাকায় বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মচারীরা তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনে কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন: রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সহকারী সচিব (এ.বি.এম. আবু বাকার ছিদ্দিক)।

ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিগুলো কবে কবে?
২০২৬ সালের ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিগুলো নিম্নরূপ। উল্লেখ্য, এই ছুটিগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল । মোট ছুটি: সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশের ছুটি মিলিয়ে মোট ৫ দিন।
| ছুটির ধরন | পর্বের নাম | সপ্তাহের দিনের নাম ও তারিখ | বঙ্গাব্দের তারিখ | ছুটির পরিমাণ |
| নির্বাহী আদেশে ছুটি | ঈদের পূর্বের ০২ দিন
| বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২৬ ও শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২৬
| ০৫ ও ০৬ চৈত্র ১৪৩২
| ২ দিন |
| সাধারণ ছুটি | ঈদ-উল-ফিতর (ঈদের দিন)
| শনিবার, ২১ মার্চ ২০২৬
| ০৭ চৈত্র ১৪৩২
| ১ দিন |
| নির্বাহী আদেশে ছুটি | ঈদের পরের ০২ দিন
| রবিবার, ২২ মার্চ ২০২৬ ও সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২৬
| ০৮ ও ০৯ চৈত্র ১৪৩২
| ২ দিন |
ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব):
মুসলিম ধর্মাবলম্বী কর্মচারীরা তাদের নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে যে ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারেন, তার মধ্যে ঈদের পরের আরও ১ দিন ছুটি অন্তর্ভুক্ত আছে:
| ছুটির ধরন | পর্বের নাম | সপ্তাহের দিনের নাম ও তারিখ | বঙ্গাব্দের তারিখ | ছুটির পরিমাণ |
| ঐচ্ছিক ছুটি | ঈদ-উল-ফিতর (ঈদের পরের তৃতীয় দিন) 13
| মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২৬ 14
| ১০ চৈত্র ১৪৩২ 15
| ১ দিন |
সুতরাং, যদি ২১ মার্চকে ঈদের দিন ধরা হয়, তবে সরকারি ছুটি থাকবে ১৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে ২৩ মার্চ (সোমবার) পর্যন্ত। ঐচ্ছিক ছুটি যোগ করলে তা ২৪ মার্চ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
