অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ারদাতা একাধিক হইলে উক্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হইবার পূর্বে কোন পাওয়ারদাতার মৃত্যুতে তাহার ওয়ারিশগণ এমনভাবে মৃত পাওয়ারদাতার স্থলাভিষিক্ত হইবেন এবং কার্য-সম্পাদন করিবেন যেন পাওয়ারদাতার মৃত্যু হয় নাই। – Power of Attorney দলিলের খরচ 2023

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রাপ্ত ব্যক্তি কি জমি বিক্রি করতে পারে? হ্যাঁ পারে। কোনো দায়িত্ব বা ক্ষমতা অর্পণের জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা আমমোক্তারনামা করতে হলে, তা হতে হবে লিখিত। এটি একটি আইনগত দলিল। এই দলিলের মাধ্যমে যাকে মোক্তার নিয়োগ করা হলো, তিনি মূল মালিকের পক্ষে কোনো সম্পত্তির দান, বিক্রি, হস্তান্তর, রক্ষণাবেক্ষণ, বন্ধক রাখা, খাজনা আদায় ইত্যাদি কাজ করে থাকেন।

What is power of Attorney? কোনো দায়িত্ব বা ক্ষমতা অর্পণের জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা আমমোক্তারনামা করতে হলে, তা হতে হবে লিখিত। এটি একটি আইনগত দলিল। এই দলিলের মাধ্যমে যাকে মোক্তার নিয়োগ করা হলো, তিনি মূল মালিকের পক্ষে কোনো সম্পত্তির দান, বিক্রি, হস্তান্তর, রক্ষণাবেক্ষণ, বন্ধক রাখা, খাজনা আদায় ইত্যাদি কাজ করে থাকেন। এতে মোক্তারনামা দলিলে এসব বিষয়ে শর্ত স্পষ্ট করে লেখা থাকতে হবে যে, তাঁকে কী কী ক্ষমতা দেওয়া হলো অর্থাৎ তিনি কী কী করতে পারবেন কিংবা পারবেন না। সাধারণত মোক্তারনামা দুই প্রকার। একটি হচ্ছে সাধারণ মোক্তারনামা, যাকে আমমোক্তারনামা বলা হয়। আরেকটি হচ্ছে খাস মোক্তারনামা, যা বিশেষ ধরনের।

বিদেশে বসে কি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়া যায়? বিদেশে বসবাস বা অবস্থানরত কোনো ব্যক্তি কাউকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে চাইলে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’-সংক্রান্ত বাংলাদেশের আইন-কানুন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে আইনটি সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানেন এমন কাউকে দিয়ে সঠিকভাবে লিখে দূতাবাসের মাধ্যমে দলিলটি সম্পাদন ও প্রত্যয়ন করে পাঠাতে হবে। এর পর পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সহকারী সচিব কর্তৃক সত্যায়ন বা প্রমাণীকরণ করাতে হবে। এর পর তা জেলা প্রশাসকের রাজস্ব কার্যালয়ে জমা দিয়ে নির্দিষ্ট মূল্যের স্ট্যাম্প লাগাতে হবে। এই পর্যায়ে ওই দলিলের একটি ক্রমিক নম্বর ও তারিখ নির্দিষ্ট হবে। এই নম্বরটিই ওই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলের নম্বর। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যে ব্যক্তিকে মোক্তার করা হচ্ছে, তিনি কতটা বিশ্বস্ত, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। অনেক সময় দেখা যায়, মোক্তার নিজের নামে কিংবা প্রতারণামূলকভাবে জায়গাজমি হস্তান্তর বা বিক্রি করে দেন। তখন মূল মালিক বিপদে পড়েন। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও কম হয় না। তাই দলিলের শর্তগুলো স্পষ্ট করে লেখা থাকতে হবে। যাকে ক্ষমতা দেওয়া হলো, তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখাও মালিকের দায়িত্ব।

সাধারণ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি অবসানের ক্ষেত্রে দাতা ক্ষমতা গ্রহীতাকে রেজিস্টার্ড ডাকের মাধ্যমে ৩০ দিনের নোটিশ দিয়ে প্রদত্ত ক্ষমতার অবসান ঘটাতে পারবে। তা ছাড়া ক্ষমতা গ্রহীতাও একইভাবে মালিককে ৩০ দিনের নোটিশ সাপেক্ষে অ্যাটর্নির দায়িত্ব ত্যাগ করতে পারে। এ ছাড়া মোক্তারনামা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য করা হলে মেয়াদ শেষে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। একইভাবে নির্দিষ্ট কাজের জন্য করা মোক্তারনামা ওই কাজের সমাপ্তিতে বাতিল বলে গণ্য হবে। যৌথ ক্ষমতার মোক্তারনামার পক্ষদের একজনের মৃত্যুতে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। মোক্তারনামা দাতা কোনো মোক্তারনামা বাতিল করতে ইচ্ছুক হলে যে রেজিস্ট্রি অফিসে মোক্তারনামাটি রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল, সে স্থানের জেলা রেজিস্ট্রারের বরাবরে মোক্তারনামা রদের জন্য আবেদন করতে হবে। মোক্তারনামার ওপর তিনি ‘রদ করা’ কথাটি লিখে দেবেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই রেজিস্ট্রার তা সংশোধন করবেন। রেজিস্ট্রি অফিসার মোক্তারনামা বাতিলের আবেদন পাওয়ার পর, তার জেলার সব রেজিস্ট্রার অফিসে বা অন্য কোনো জেলার সদর অফিসকে বিষয়টি নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। নোটিশ জারির ডাক টিকিটের খরচ আবেদনকারীকেই বহন করতে হবে। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিলকরণ (পূরণকৃত নমুনা) Word File

পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মেয়াদ কত দিন? / পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিল না করা পর্যন্ত কার্যকর থাকে

কিভাবে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিল করতে হয়? হ্যাঁ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল বাতিল করা যায়। যেকোনো সময় সাধারণ মোক্তারনামা বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিল বা প্রত্যাহার করা যায়। বাতিল করতে চাইলে যে অফিসে রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল, সেই জেলার রেজিস্ট্রার বরাবর মোক্তারনামা বাতিলের আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া নোটারির মাধ্যমে করা মোক্তারনামা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমেই বাতিল করতে হবে।

Power of Atorney Act and Rules 2012

Caption: Power of Attorney Act 2012 PDF Download

অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল । Power of Attorney দলিলের খরচ 2023

  1. রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা।
  2. স্ট্যাম্প শুল্কঃ ১০০০ টাকা।
  3. ই ফিঃ ১০০ টাকা। ৪) এন ফিঃ (i) বাংলায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১৬ টাকা। (ii) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
  4. এনএন ফি (নকলনবিশগনের পারিশ্রমিক) (i) বাংলায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা। (ii) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ৩৬ টাকা।
  5. ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে হলফনামা প্রিন্ট করে দলিলের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
  6. ফিস পরিশোধ পদ্ধতিঃদলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য যাবতীয় ফিসাদি নগদে অফিসে জমা প্রদান করতে হবে।
  7. অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮, এর ৫২এ ধারা প্রযোজ্য।
  8. সিটি কর্পোরেশন বা জেলা সদরের পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত এক লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি দলিল রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে ই-টিন বাধ্যতামূলক।
  9. পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ক্ষমতা অর্পনে সীমাবদ্ধতাঃ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা, ২০১৫ এর ৪ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের উদ্দেশ্য পুরনকল্পে, এই বিধিমালার অধীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কোন ক্ষমতা অর্পণ করা যাবে না, যথা- (১) উইল সম্পাদন, বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত উইল রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে দাখিলকরন;
  10. দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র সম্পাদন; বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে দাখিলকরন; (৩) দান বা হেবা সম্পর্কিত ঘোষণা সম্পাদন; (৪) ট্রাস্ট দলিল সম্পাদন; এবং (৫) সরকার কর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ঘোষিত অন্য প্রকার দলিল বা কার্য সম্পাদন।

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল কি রেজিস্ট্রি করে নিতে হয়?

সাধারণত মোক্তারনামা মোক্তারদাতার পক্ষে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়। কিন্তু বিশেষ মোক্তারনামা সম্পাদন করতে হয় নির্দিষ্ট কাজের জন্য। সাধারণত যেসব আমমোক্তারনামা জমিজমা হস্তান্তরের সঙ্গে জড়িত নয়, সেগুলো নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নোটারি করে নিতে হয়। কিন্তু জমিজমা-সংক্রান্ত মোক্তারনামা অবশ্যই রেজিস্ট্রি করাতে হবে। না হলে এর আইনগত ভিত্তি থাকে না। এই রেজিস্ট্রেশন মোক্তারনামা দলিলটি সম্পাদনের তিন মাসের মধ্যে করতে হবে। কোনো মামলা-মোকদ্দমা পরিচালনার ক্ষেত্রেও পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়োগ করা যায়। এ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি লাগবে। দলিলের ধরন বুঝে নির্দিষ্ট টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তা সম্পন্ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন দলিল কত টাকার স্ট্যাম্পে করতে হবে, তা জেনে নিতে হবে। বর্তমানে যেকোনো দলিল হস্তান্তর, ক্রয়-বিক্রয়, উন্নয়ন ও ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের ছবি দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।  পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিলকরণ (পূরণকৃত নমুনা)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *