সূচীপত্র
সরকারি বা বেসরকারি চাকরি হতে ইস্তফা বা অব্যাহতি পত্র দাখিল করার পর উক্ত অফিস একটি পত্র জারি করে সেটি সংগ্রহ রাখা খুবই জরুরি – Resign Letter Format bd
না দাবী পত্র কি?– সাধারণত কোন দপ্তর হতে অন্য দপ্তরে বদলী বা চাকরি অবসান কালে উক্ত দপ্তর হতে না দাবী পত্র সংগ্রহ করতে হয়। অবসর গ্রহণকালে সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে না দাবী পত্র নিতে হয়। এছাড়া চাকরি ছাড়লেও নাদাবীপত্র সংগ্রহ করতে হয় যাতে ভবিষ্যতে দপ্তর কোন অর্থ বা কোন কিছু দাবী করতে না পারে।
সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম কি? আপনি চাইলেই চাকরি ছাড়তে পারবেন এজন্য শুধুমাত্র একটি ইস্তফা পত্র দাখিল করতে হবে। ১ মাস আগে ইস্তফাপত্র দাখিল করলে কোন মূল বেতন ট্রেজারির মাধ্যমে জমা দিতে হবে না। কিন্তু ইনস্ট্যান্ট চাকরি ছাড়লে ১ মাস বা ১৪ দিনের মূল বেতন জমা দিয়ে ছাড়তে হয়। তাছাড়া আর কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিভাগীয় মামলা বা কর্তৃপক্ষ আপনার নিকট কোন আর্থিক দাবী বা না দাবী না দিলে চাকরি ছাড়তে পারবেন না।
পদত্যাগ সংক্রান্ত বিধান কি? পদত্যাগ অর্থ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অধিকার ত্যাগ করা এবং চাকরির ক্ষেত্রে কর্মত্যাগ করা বা ছাড়িয়া দেওয়া। পদত্যাগ সম্পূর্ণ ও কার্যকর হওয়ার জন্য অবশ্যই কৰ্মত্যাগ বা ছাড়িয়া দেওয়ার অভিপ্রায় থাকিতে হইবে এবং কর্মত্যাগের ঘটনা সংঘটিত হইতে হইবে। সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ একতরফা অথবা দুইতরফা অর্থাৎ দ্বিপাক্ষিক প্রকৃতির হইতে পারে। একতরফার প্রকৃতির ক্ষেত্রে কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পদত্যাগপত্র দাখিল করিলেই তাহা কার্যকর হয়।
কর্তৃপক্ষ চাইলে কি ইস্তফাপত্র ফেরত দিতে পারে?/ আর্থিক দাবী থাকলে কর্তৃপক্ষ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবে না
অপরদিকে দুইতরফা প্রকৃতির ক্ষেত্রে পদত্যাগপত্র দাখিলের পর তাহা গ্রহণের প্রশ্ন জড়িত এবং এইক্ষেত্রে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তাহা কার্যকর হয় না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে পদত্যাগ দুইতরফা প্রকৃতির। এইক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা কর্তৃক পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তাহা কার্যকর হয় না। সরকারী কর্মচারী কর্তৃক পদত্যাগপত্র দাখিলের পর তাহা গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত পদত্যাগ কার্যকর হয় না।
Caption: resign letter sample
সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম । যে সকল বিধান মেনে সরকারি চাকরি হতে পদত্যাগ করা যায়
- স্থায়ী কর্মচারীর পদত্যাগ: স্থায়ী চাকরি হইতেছে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ফসল। স্থায়ী কর্মচারীর পদত্যাগের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং কর্মচারী উভয়ের সম্মতির প্রয়োজন। স্থায়ী কর্মচারী পদত্যাগপত্র দাখিল করিয়া গৃহিত না হওয়া পর্যন্ত তাহার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখিবেন। কেননা চুক্তির অবসানের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সম্মতিরও প্রয়োজন রহিয়াছে। পদত্যাগপত্র গৃহিত হওয়ার পূর্বে চাকরিতে অনুপস্থিত থাকিলে তাহা দণ্ডযোগ্য অপরাধ হইবে এবং এই কারণে চাকরি হইতে বরখাস্ত দণ্ডও আরোপ করা যাইবে ।
- অস্থায়ী কর্মচারীর পদত্যাগ: বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী একজন অস্থায়ী কর্মচারীকে পদত্যাগের জন্য এক পক্ষকালের নোটিশ প্রদান করিতে হয়। যেইক্ষেত্রে পদত্যাগপত্র দাখিল ও গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে, উক্ত ক্ষেত্রে নোটিশ প্রদান অপ্রয়োজনীয়। যদি কোন অস্থায়ী কর্মচারী নোটিশ প্রদান ব্যতীত পদত্যাগপত্র দাখিল করে, তাহা হইলে বিভাগীয় প্রধান অবস্থাদি বিবেচনায় যুক্তিযুক্ত মনে করিলে বেতন বাজেয়াপ্তকরণ ব্যতীত পদত্যাগপত্র গ্রহণ করিতে পারিবেন। বিভাগীয় প্রধানের এই ক্ষমতা স্বেচ্ছাধীন।
- নোটিশ প্রদানপূর্বক পদত্যাগ: সংশ্লিষ্ট চাকরি বিধিমালায় বা নিয়োগপত্রে নোটিশ প্রদানপূর্বক পদত্যাগের বিধান থাকার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় চাকরি হইতে পদত্যাগের নোটিশ প্রদান করিলে এবং উক্ত নোটিশের প্রেক্ষিতে চাকরি হইতে অব্যাহতি দেওয়া হইলে উক্ত ক্ষেত্রে পদত্যাগকৃত পদে যোগদান বা পুনর্বহালের সুযোগ নাই।
পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করা যায় কি?
পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা বা না করার বিষয়টি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়। একজন কর্মকর্তার পক্ষে খেয়ালবসে পদত্যাগপত্র দাখিল করা এবং তাহা প্রত্যাহারের আবেদন করা শোভনীয় নয়। পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করার ক্ষেত্রে এইরূপ আবেদন করার জন্য কফিয়ত চাওয়া যথাযথ হইবে এবং জবাব সন্তোষজনক না হওয়ার ক্ষেত্রে মাদাচরণের জন্য বিভাগীয় মামলা রুজু করা যুক্তিযুক্ত।
Resign Letter Format 2023 । চাকুরি হতে ইস্তফা প্রদানের দরখাস্ত (নমুনা)