সূচীপত্র
সরকারি আদেশ জারির মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে ক্লাশ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্ডার জারি করেছে–গ্রীষ্মকালীন ছুটি সংক্ষিপ্তকরণ ২০২৪
কেন ছুটি কমানো হলো? শীত, তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে সৃষ্ট শিখন ঘাটতি পূরণ এবং আগামী ০৩ জুলাই ২০২৪ খ্রি: তারিখ হতে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সময়সূচি নির্ধারিত থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ছুটি সংক্ষিপ্ত করে ০২ জুলাই ২০২৪ খ্রি: তারিখের পরিবর্তে ২৫ জুন, ২০২৪ খ্রি: তারিখ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। আগামী ২৬ জুন, ২০২৪খ্রি: তারিখ হতে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ক্লাশ শুরু কত তারিখ হতে? আগামী ২৬ জুন হতে ক্লাশ চলবে। গত ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি: তারিখে ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৪.০০২.০২(অংশ)-২১৪ নং প্রজ্ঞাপন মূলে সাপ্তাহিক শনিবার শ্রেণি কার্যক্রম ও পাঠদান পরিচালনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হলো এবং পূর্বের ন্যায় শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি বহাল থাকবে। তবে আগামী ০৩ জুলাই ২০২৪ খ্রি: তারিখ হতে অনুষ্ঠিতব্য ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সময়সূচিতে শনিবার অন্তর্ভুক্ত থাকলে মূল্যায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলবে এবং ঐ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
শিখন ঘাটতি কিভাবে সৃষ্টি হয়? প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে স্কুল বন্ধ থাকলে শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হয়। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থী জন্মগতভাবে কিছু বৈজ্ঞানিক অক্ষমতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে যা তাদের শেখাার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। যেমন, ডিসলেক্সিয়া, অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার (ADHD) ইত্যাদি। অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষাগত প্রেরণার অভাব থাকে। এর ফলে তারা পড়াশোনায় মনোযোগ দেয় না এবং তাদের শেখাার গতি মন্থর হয়ে পড়ে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে এ আদেশ কার্যকর। শনিবার যথারীতি সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।
প্রতিটি শিক্ষার্থীর শেখাার নিজস্ব শৈলী থাকে। কিন্তু যদি শিক্ষাদান পদ্ধতি শিক্ষার্থীর শেখাার শৈলীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে তারা শিখতে পারে না। যাদের আত্মসম্মান কম থাকে তারা নিজেদেরকে সক্ষম মনে করে না। ফলে তাদের মধ্যে শেখাার প্রতি অনীহা তৈরি হয় এবং শিখন ঘাটতি দেখা দেয়।
Caption: order about short of leave
শিখন ঘাটতি সৃষ্টির বিভিন্ন কারণের মধ্যে পারিবারিক ও অদক্ষ শিক্ষকও আলাদা দুটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়
- গৃহে অস্থির পরিবেশ: যারা অস্থির পরিবেশে বড় হয় তাদের মনোযোগ দিতে সমস্যা হয় এবং তারা শিখতে পারে না।
- অভিভাবকদের অমনোযোগিতা: যদি অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ না দেয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অনীহাগ্রস্ত হয় এবং তাদের শেখাার গতি কমে যায়।
- পর্যাপ্ত শিক্ষা সরঞ্জামের অভাব: অনেক পরিবারে পর্যাপ্ত শিক্ষা সরঞ্জাম থাকে না। যেমন, বই, খেলনা, ইন্টারনেট সংযোগ ইত্যাদি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে।
- অদক্ষ শিক্ষক: যদি শিক্ষকরা অদক্ষ হয়, তাহলে তারা শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে শেখাতে পারে না। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখাার ঘাটতি দেখা দেয়।
- অপর্যাপ্ত শিক্ষাসরঞ্জাম: অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত শিক্ষাসরঞ্জাম থাকে না। যেমন, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব ইত্যাদি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে।
- অতিরিক্ত শিক্ষার্থী: অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে। যার ফলে শিক্ষকরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর দিকে নজর দিতে পারে না এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখাার ঘাটতি দেখা দেয়।
সিলেবাস শেষ করতে করণীয় কি?
সিলেবাসকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে ফেলুন এবং প্রতিটি অংশের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করুন। এতে করে আপনি কতটা অগ্রগতি করছেন তা সহজেই ট্র্যাক করতে পারবেন এবং সময়মতো সবকিছু শেষ করতে পারবেন। প্রতিদিন কতক্ষণ পড়াশোনা করবেন তা নির্ধারণ করুন এবং একটি নিয়মিত সময়সূচী তৈরি করুন। এই সময়সূচীটি মেনে চলার চেষ্টা করুন। দীর্ঘক্ষণ ধরে একটানা পড়াশোনা না করে মাঝে মাঝে বিরতি নিন। এতে আপনার মনোযোগ বজায় থাকবে এবং আপনি আরও ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন। সক্রিয়ভাবে পড়াশোনা করুন: শুধু বই পড়া নয়, বরং বিষয়বস্তু বুঝার চেষ্টা করুন। নোট করুন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে হাইলাইট করুন এবং প্রশ্ন তৈরি করে নিজেকে পরীক্ষা করুন। বন্ধুদের সাথে মিলে গ্রুপ স্টাডি করুন। এতে করে আপনি বিষয়বস্তু আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স যেমন, ভিডিও লেকচার, অনলাইন কোর্স, ওয়েবসাইট ইত্যাদি ব্যবহার করে পড়াশোনা করুন।