সূচীপত্র
লটারিতে সংশ্লিষ্ট স্কুল না থাকলে ভর্তি হওয়া যাবে না – প্রতিষ্ঠান কমিটি বা স্কুল প্রধান কোনভাবে লটারিতে নির্বাচিত না হলে ভর্তি করতে পারবে না– ডিজিটাল লটারি পরবর্তী ভর্তি কার্যক্রম ২০২২
লটারি রেজাল্ট চেক করার নিয়ম- ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের User ID ও Password দিয়ে Login করে ডাউনলোড অপশনটি Click করবেন। Click করলে তাঁর প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারিদের তালিকা পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত ১ম তালিকা এবং ১ম অপেক্ষমান তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এই লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে নাম তথ্যাদি টাইপ করে Submit করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে তা জানা যাবে।
এক্ষেত্রে কোন আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। কেননা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে একই পছন্দক্রমে একাধিকবার আবেদন করা যাবে না মর্মে উল্লেখ ছিল। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাঁদের ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে ১ম অপেক্ষমান তালিকা পত্র প্রাপ্তির সাথে সাথেই প্রদর্শন করবেন।
সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত বৈধ প্রার্থী ছাড়া সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি অথবা প্রতিষ্ঠান প্রধান কোন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে পারবেন না। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জন্য ৬+ বছর এবং দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ৭+ বছর প্রযোজ্য হবে। অন্য শ্রেণির ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।
সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল লটারি পরবর্তী ভর্তি কার্যক্রম সংক্রান্ত
যে বিষয়গুলো আবশ্যিকভাবে অনুসরণ করতে হবে
- ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে;
- নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে;
- মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কোন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না;
- একই শিক্ষার্থী অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বার বার পরিবর্তন করে মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) জালিয়াতির কারণে তাকে ভর্তি করা যাবে না;
- শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত ভর্তি নীতিমালায় যে সকল কোটা সংরক্ষিত রয়েছে ভর্তির সময়ে উক্ত কোটাসমূহে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যতিত অন্যান্য সংরক্ষিত কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমান তালিকার ক্রমানুসারে উক্ত শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না;
- সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন এর ভর্তি বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি ভর্তি নীতিমালা- ২০২২ এ স্পষ্টীকরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন কে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে এ সুবিধা কোন দম্পতির সর্বোচ্চ ০২ (দুই) সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে;
- সর্বোপরি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে;
- উপরোল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।
ভর্তিকালীন শিক্ষার্থীকে কত টাকা জমা দিতে হবে?
বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা- ২০২২ এর অনুচ্ছেদ ১০ এর ১০.৬ এ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক/কর্মচারীগণের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলের জন্য ভর্তিকালীন সময়ে শিক্ষার্থী প্রতি ১০০/- টাকা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট হিসাব খাতে জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলের জন্য ভর্তিকালীন সময়ে শিক্ষার্থী প্রতি ১০০/- টাকা গ্রহণ করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের তহবিলে/ব্যাংক হিসাবে জমা রাখবেন।