বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতিকে উন্নত করার জন্য নতুন নতুন কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে এরই ধারাবাহিকতায় নবম শ্রেণীতে বিভাগ বাতিল করা হলো – নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩

ভাষা শিক্ষার জন্য কোন বিষয়গুলো করা উচিৎ? থিমভিত্তিক বিষয়গুলো ছাড়াও অন্যান্য বিষয়েও একাধিক আলোচনার ক্ষেত্রের সমন্বয় ঘটেছে, যেমন ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানকে একটি বিষয় হিসেবে ধরা হলেও, ইতিহাস, অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল এসকল বিষয়ের সমন্বয় ঘটেছে এখানে । একইভাবে, বিজ্ঞান বিষয়ে ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ভূ-বিজ্ঞান এসকল ক্ষেত্রের শিখনযোগ্যতার সমন্বয় থাকছে। ভাষা শিক্ষায় শোনা, বলা, পড়া, লেখার মত মৌলিক দক্ষতা শুধু নয়, বিকল্প যোগাযোগ দক্ষতাও বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

প্রাক্ – প্রাথমিকের শিশুদের জন্য আলাদা বই থাকবে না , শিক্ষকরাই শেখাবেন । কেবল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নয় , পাঠ্যক্রমে অভিভাবকদেরও অংশগ্রহণ থাকবে । নতুন শিক্ষারুমে মুখস্থনির্ভর লেখাপড়ার চর্চা থেকে বেরিয়ে আসবে শিক্ষার্থীরা । নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা যে কোনো ইস্যুতে সূক্ষ্ম চিন্তা করার শক্তি অর্জন করবে । আর অন্যের মতামত ও অবস্থানকে অনুধাবন করে প্রেক্ষাপট অনুযায়ী নিজের ভাব , মতামত , সৃজনশীলভাবে প্রকাশ করতে পারার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে । নতুন অনুমোদিত শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় দশটি যোগ্যতা অর্জনের নতুন মাত্রা সংযোজন করা হয়েছে । শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক ও আনন্দময় শিখনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে নতুন শিক্ষাক্রমে বিবেচ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে । বিষয় এবং পাঠ্যবইয়ের বোঝা ও চাপ কমানো এবং গভীর শিখানোর বিষয় ও গুরুত্ব বিবেচনা করা হয়েছে ।

মুখস্ত পদ্ধতি কি তাহলে উঠে গেল? হ্যাঁ। শিক্ষার্থী – কেন্দ্রিক ও আনন্দময় শিখনের পরিবেশ সৃষ্টি। বিষয় এবং পাঠ্যবইয়ের বোঝা ও চাপ কমানো। শিখণ শিখানোর বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান। মুখস্ত- নির্ভরতার পরিবর্তে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রম ভিত্তিক শিখনে অগ্রাধিকার প্রদান। খেলাধুলা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের ওপর গুরুত্ব প্রদান। নির্দিষ্ট দিনের পাঠ শ্রেণিকক্ষেই যেন শেষ হয় , সে ধরনের শিখন শিখানো কার্যক্রম পরিচালনায় সচেষ্ট হয়ে বাড়ির কাজ কমানো। নির্দিষ্ট সময়ে অর্জিত পারদর্শিতার জন্য সনদ প্রাপ্তির প্রতি গুরুত্ব আরোপ। জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষা। শিক্ষাক্রমে তথ্য মনে রাখার ক্ষমতার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীর তথ্য বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা এবং তথ্য ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতার উপর ।

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১/ উন্নত বিশ্বের শিক্ষা পদ্ধতি কি বাংলাদেশে চালু হচ্ছে? 

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা -২০২১ অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ হতে ৯ম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন থাকছে না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অবহিত করা হয়েছে।

 

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯ম শ্রেণীতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন সংক্রান্ত পিডিএফ ডাউনলোড

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনলাইন প্রশিক্ষণ । যেখানে আপনি নতুন শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে শিখতে ও জানতে পারবেন

  • ভূমিকা- সাধারণ নির্দেশনা
  • মডিউল ১: শিখন-শেখানো কৌশল
  • মডিউল ২: যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম
  • মডিউল ৩: মূল যোগ্যতা, রূপকল্প, অভিলক্ষ্য ও মূলনীতি
  • মডিউল ৪: বিষয় পরিচিতি
  • মডিউল ৫: শিখন সময়
  • মডিউল ৬: মূল্যায়ন
  • মডিউল ৭: ইনক্লুশন ও জেন্ডার
  • মডিউল ৮: বিষয়ের ধারণায়ন
  • কোর্স সমাপনী

নতুন শিক্ষা পদ্ধতি কত সাল থেকে চালু হয়েছে?

২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে । ২০২২ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৬২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাইলট প্রকল্পের অংশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ করা হয়েছে । সেই সঙ্গে নতুন পাঠ্যক্রম অনুসারে এই সকল শিক্ষার্থী সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পাবে । পরবর্তীতে ২০২৩ সাল থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পাবে । ২০২৩ সালে ৬ষষ্ঠ-৭ম শ্রেণিতে শিক্ষাক্রম শুরু হবে । এরপর ২০২৪ সালে ৩য় , ৪র্থ , ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে চালু হবে । ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে , ২০২৬ সালে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম । ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুমোদন করা হয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *