সূচীপত্র
কোন ভেন্ডার বা দালাল দিয়ে নয় নিজে নিজেই করুন ই নামজারির আবেদন – দুই মাসের মধ্যেই আবেদন মঞ্জুর বা না মঞ্জুর সম্পর্কে জানা যাবে– মিউটেশন করার নিয়ম ২০২৪
অনলাইনে আবেদনের অবস্থা দেখার উপায় ২০২৪– আবেদনের সম্পন্ন করার পর একটি আবেদন আইডি নম্বর পাওয়া যাবে। আবেদন আইডি নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে আবেদনের অবস্থা জানা যাবে। অনলাইনে আবেদেনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি যেমন জানা যায়। একইভাবে কোন আপত্তি থাকলেও তা অনলাইনে মিটআপ করা যায়। অন্যদিকে যদি শুনানির প্রয়োজন পড়ে অনলাইনে আবেদনের শুনানিতে অংশগ্রহণ বা হাজিরা দেওয়া যায়।
ই নামজারি বা মিউটেশন অনলাইন আবেদন – আবেদনের পূর্বে আবেদনকারিকে নির্দেশিকা ও সংশ্লিষ্ট লিংক ভালো করে পড়ে নেবার অনুরোধ করা হয়েছে। আপনি যদি এ পোস্টটি ভাল করে পড়েন তবে ই নামজারি করার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে। আপনি নতুন হলেও কোন সমস্যা নাই অনুগ্রহ করে পোস্টটি পড়ুন এবং পোস্টের শেষে ভিডিও যুক্ত করা রয়েছে সেটি দেখে নিন তাতে আবেদন প্রক্রিয়াটি সহজ এবং নির্ভুল হবে। জমি দখলের শাস্তি ২০২২ । সম্পত্তি বেদখল হলে আপনি কি করবেন?
আবেদন দাখিলের সময় আপনাকে আবেদন ফি ২০/- ও নোটিশ জারি ফি ৫০/- মোট ৭০/ টাকা শুধুমাত্র অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। এজন্য আপনি নগদ, রকেট, বিকাশ, উপায়,ভিসা কার্ড, মাস্টার্ড কার্ড সহ অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করতে পারবেন, বিধায় আবেদন করার সময় সুবিধাজনক একটি মাধ্যমে ৭০/-টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা হাতের কাছে রাখুন।
মিউটেশন ফি অনলাইনেই পরিশোধ করা যায় / বিকাশ বা নগদ ব্যবহার করে ঘরে বসেই ফি পরিশোধ করা যায়।
অনলাইনে ডিসিআর (DCR) ফী ১,১০০ টাকা পরিশোধ করলে অনলাইনেই চালান প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালান পরিশোধিত হলে https://mutation.land.gov.bd/ এই লিঙ্ক এ গিয়ে আবেদন ট্র্যাকিং করে খতিয়ান প্রিন্ট এবং ডিসিআর প্রিন্ট কপিটি পাবেন। ৭০+১১০০ = ১১৭০ টাকা সর্বমোট ফি পরিশোধ করতে হয়।
Caption: Mutation Application Link: mutation.land.gov.bd/application-request
মিউটেশন আবেদন করার নিয়ম ২০২৪ । জমি খারিজ বা নামজারির আবেদন যেভাবে করবেন
- সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করে আবেদন করতে হবে।
- এতে নির্ধারিত জায়গায় জমির বিস্তারিত পরিচয় দিতে হবে। আবেদনে নাম, ঠিকানা, রেজিস্ট্রি ক্রয় দলিলের নম্বর ও সাল স্পষ্ট থাকতে হবে।
- একই সঙ্গে মূল দলিলের অনুলিপি, ভায়া দলিল, পরচা বা খতিয়ানের অনুলিপি, ভূ-উন্নয়ন কর পরিশোধের দলিল, ওয়ারিশান সনদপত্র (তিন মাসের মধ্যে ইস্যু করা), বণ্টননামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) দিতে হবে।
- কোনো রায় বা ডিক্রির কারণে নামজারি করতে হলে ডিক্রি বা রায়ের অনুলিপি জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারী নিজেও আবেদন করতে পারেন অথবা আবেদনকারী কোনো প্রতিনিধি নিয়োগ করেও আবেদন করতে পারেন।
- আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারী অথবা আবেদনকারীর প্রতিনিধির পাসপোর্ট আকারের ছবি সংযুক্ত করে দিতে হবে আবেদনের নির্ধারিত জায়গায়। খেয়াল রাখতে হবে নামজারি করাতে গিয়ে কোনো দালালের খপ্পরে যেন না পড়েন।
- বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী মহানগরে ৬০ কর্মদিবসে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে নামজারি-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নিয়ম করা হয়েছে।
ই নামজারি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
মিউটেশন আবেদনে নির্ধারিত জায়গায় জমির বিস্তারিত পরিচয় দিতে হবে। আবেদনে নাম, ঠিকানা, রেজিস্ট্রি ক্রয় দলিলের নম্বর ও সাল স্পষ্ট থাকতে হবে। একই সঙ্গে মূল দলিলের অনুলিপি, ভায়া দলিল, পরচা বা খতিয়ানের অনুলিপি, ভূ-উন্নয়ন কর পরিশোধের দলিল, ওয়ারিশান সনদপত্র (তিন মাসের মধ্যে ইস্যু করা), বণ্টননামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) দিতে হবে।
বি:দ্র: আবেদন না মঞ্জুর হলে আপনার মোবাইলে মেসেজ যাবে। আবেদন না মঞ্জুর হলে পুনরায় আবেদন করতে হবে। তথ্য ঘাটতি বা অন্য কোন কারণে আবেদন না মঞ্জুর হতে পারে। তবে না মঞ্জুর হলে ঠিক কি কারনে না মঞ্জুর হয়েছে তা জানিয়ে দেয়া হয়। আপনি অনলাইনে তা চেক করতে পারবেন। আবেদেনের অবস্থা জানতে এখানে ক্লিক করুন: mutation.land.gov.bd
বর্তমানে প্রথমবারই আবেদন কোন সুনির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে বাতিল বা রিজেক্ট করা যাবে না এবং আবেদনকারীকে অবশ্যই যুক্তি বা প্রমানক দাখিলের সুযোগ দিতে হবে মর্মে ভূমি মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করেছে।
ই নামজারি করার নিয়ম । ভূমির ই-নামজারি করার জন্য ব্যবহার নির্দেশিকা ২০২২