সূচীপত্র
মাউশি’র আওতাধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তীব্র তাপ প্রবাহকালীন শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা সংক্রান্ত নির্দেশনা- তীব্র তাপপ্রবাহ কালীন শ্রেণি কার্যক্রম ২০২৪
পড়াশোনা কখন করতে হয়?– পড়াশোনা করার সঠিক সময় নির্ভর করে ব্যক্তির উপর। কারণ সবার মস্তিষ্কের কাজ করার ধরন আলাদা হয়। তবে কিছু গবেষণা থেকে জানা যায় যে, দিনের কিছু সময় পড়াশোনার জন্য অন্য সময়ের তুলনায় বেশি উপযোগী। নিজের একটি রুটিন তৈরি করুন এবং তা মেনে চলুন। পড়াশোনা শুরু করার আগে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। একবারে বেশিক্ষণ না পড়ে, অল্প অল্প করে বিরতি নিন। পড়াশোনার সময় মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য বিভ্রান্তিকর জিনিসপত্র বন্ধ রাখুন। আরামদায়ক পরিবেশে পড়াশোনা করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিন। মনে রাখবেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার জন্য কোন সময়টি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। বিভিন্ন সময় চেষ্টা করে দেখুন এবং আপনার জন্য কোন সময়টি সবচেয়ে ভালো কাজ করে তা খুঁজে বের করুন।
সকালে মুখস্ত কি ভাল হয়? ঘুম থেকে ওঠার পর মস্তিষ্ক সতেজ থাকে এবং মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। তাই সকালবেলা পড়াশোনা করলে নতুন তথ্য শেখা এবং মনে রাখা সহজ হয়। দুপুরের খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলে ভালো হয়। এই সময় মস্তিষ্ক আবার সক্রিয় থাকে এবং মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। বিকেলের শেষের দিকে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যেতে শুরু করে। তবে যারা রাত জাগতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই সময়টি পড়াশোনার জন্য ভালো হতে পারে। রাত জাগার অভ্যাস থাকলে রাতের শুরুর দিকে পড়াশোনা করা যেতে পারে। তবে রাতের দেরিতে পড়াশোনা করা এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
রাত জেগে পড়াশুনা করা কি ঠিক? রাত জেগে পড়াশুনা করা সর্বোত্তম সমাধান নয়, তবে কিছু পরিস্থিতিতে এটি কার্যকর হতে পারে। রাতে বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, তাই এই সময়টি পড়াশোনার জন্য শান্ত ও মনোযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। দিনের বেলায় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে মনোযোগ বিভ্রান্ত হতে পারে। রাতে বিভ্রান্তি কম থাকায় মনোযোগ পড়াশোনার উপর বেশি থাকে। দিনের বেলায় স্কুল, কলেজ, অফিস বা অন্যান্য কাজের কারণে পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত সময় নাও পাওয়া যেতে পারে। রাতে নিজের সময় বেশি থাকে, তাই পড়াশোনার জন্য বেশি সময় দেওয়া সম্ভব।
শুধু পড়াশোনা নয় বরং এক্সট্রা কারিকুলারও থাকা উচিৎ / পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে সময় দেওয়া উচিৎ
রাত জেগে পড়াশোনা করলে ঘুমের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয় এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘক্ষণ রাত জাগলে মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা, হজমের সমস্যা ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত রাত জাগলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব দেখা দিতে পারে।
Caption: See Full Circular pdf
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর নির্দেশনা ২০২৪ । যে সকল বিষয় মেনে চলতে হবে
- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাত্যহিক সমাবেশ বন্ধ রাখা;
- শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালীন শ্রেণি কক্ষের সব দরজা-জানালা খোলা রাখা;
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক পাখা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (যদি থাকে) সচল রাখা;
- পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা রাখা;
- শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীদের প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা করা;
- নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা, যেন কোন শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা যায়;
- প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রাখা;
- শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক শ্রেণিকক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করা;
- বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা যেন যথাসম্ভব সূর্যের আলো থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।
পড়া মুখস্ত করার কি কোন কৌশল আছে?
হ্যাঁ, পড়া মুখস্ত করার জন্য অনেক কার্যকর কৌশল আছে। মুখস্থ করার আগে পড়াটি বোঝার চেষ্টা করুন। যখন আপনি কোন বিষয় বুঝতে পারবেন, তখন তা মনে রাখা অনেক সহজ হবে। পড়ার বিষয়বস্তুকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোকে হাইলাইট করুন। এক্রোনিম, মনে রাখার সূত্র ইত্যাদি ব্যবহার করে পড়ার বিষয়বস্তুকে মনে রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত বারবার পড়া মনে রাখার জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায়। অন্যকে শেখানোর চেষ্টা করা মনে রাখার জন্য একটি চমৎকার উপায়। ফ্ল্যাশকার্ড, মেমোরি গেম ইত্যাদি খেলে পড়ার বিষয়বস্তুকে মজার করে মনে রাখুন।
কল্পনাশক্তি বৃদ্ধির জন্য কি করতে হবে? কল্পনাশক্তি ব্যবহার করুন:কল্পনাশক্তির সাহায্যে পড়ার বিষয়বস্তুকে একটি গল্পের সাথে যুক্ত করে মনে রাখুন পড়াশোনার মাঝে মাঝে বিরতি নিন এবং আরাম করুন।পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মনোযোগী পরিবেশে পড়াশোনা করুন। পড়াশোনার আগে মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য বিভ্রান্তিকর জিনিসপত্র বন্ধ রাখুন। নিজের জন্য একটি পুরস্কার নির্ধারণ করুন এবং লক্ষ্য অর্জনের পর নিজেকে পুরস্কৃত করুন। মনে রাখবেন, সকলের জন্য সব কৌশল কার্যকর হয় না। নিজের জন্য কোন কৌশলটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে তা খুঁজে বের করুন এবং নিয়মিত অনুশীলন করুন।