সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত পুল হতে প্রশিক্ষক গণ প্রশিক্ষণ দেবেন – প্রশিক্ষণ পুলে আবেদন প্রক্রিয়া চলতে থাকবে – প্রশিক্ষক পুল গঠন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৩

প্রশিক্ষণ পুল কি? প্রশিক্ষক পুল গঠন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা- ২০২১’ অনুসরণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন প্রশিক্ষক তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে আগ্রহী কর্মকর্তাগণের নিকট হতে নিম্নোক্ত যোগ্যতা ও শর্তসাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

একজন কর্মকর্তা নীতিমালায় সংযোজনী-৪ এ বর্ণিত অধিক্ষেত্র ও বিষয়ের মধ্য হতে সর্বোচ্চ তিনটি বিষয়ে প্রশিক্ষক পুলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তালিকার বাইরে কোন অধিক্ষেত্র/বিষয়ে বিশেষায়িত জ্ঞান ও পারদর্শিতা থাকলে সে বিষয়টিকেও তিনি আবেদনের তিনটি অধিক্ষেত্র/বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।

কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় বা দুর্নীতির মামলা চালু থাকলে কিংবা কোনো কর্মকর্তা বিভাগীয় বা ফৌজদারি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে তিনি প্রশিক্ষক পুলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। বর্ণিত নীতিমালা ও আবেদনের ছক www.mopa.gov.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

সরকারি দক্ষ কর্মকর্তাদের মধ্য হতে প্রশিক্ষক নির্বাচন করা হবে / প্রশিক্ষক পুলে নির্বাচিত হতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষক পুলে অন্তর্ভুক্তির যোগ্যতা কি লাগবে? সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্য হতে ৯ম গ্রেড থেকে ২য় গ্রেড পর্যন্ত গ্রেডের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষক পুলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে। আগ্রহী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাগণও প্রশিক্ষক পুলের জন্য বিবেচিত হবেন। প্রশিক্ষণ-প্রতিষ্ঠানের অনুষদ সদস্যগণ যাঁরা ন্যূনতম তিন বছর প্রশিক্ষণ প্রদানের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁরাও প্রশিক্ষক পুলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। কর্মকর্তাগণের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ক ও খ শ্রেণি- এ দুই ধরনের প্রশিক্ষকের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। (১) ‘ক’ শ্রেণির প্রশিক্ষক পুলে যুগ্মসচিব বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে; এবং (২) ‘খ’ শ্রেণির প্রশিক্ষক পুলে উপসচিব বা তদনিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় বা দুর্নীতির মামলা চালু থাকলে কিংবা কোনো কর্মকর্তা বিভাগীয় বা ফৌজদারি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে তিনি প্রশিক্ষক পুলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

প্রশিক্ষক পুল গঠন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৩ । প্রশিক্ষক পুলে অর্ন্তভুক্তির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে

প্রশিক্ষণ পুলে আবেদনের যোগ্যতা যোগ্যতা ও শর্তসমূহ

  1. সরকারি চাকরিজীবিদের মধ্য হতে ৯ম গ্রেড থেকে ২য় গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তা এবং এ সকল গ্রেডের আগ্রহী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষক পুলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  2. গ্রেড-১ এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের বিশেষায়িত জ্ঞানসম্পন্ন স্বনামধন্য অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের সম্মতি সাপেক্ষে তাদেরকেও প্রশিক্ষণ পুলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এরূপ আগ্রহী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ ই-মেইলে ([email protected]) তাদের সম্মতি জ্ঞাপন করতে পারবেন।
  3. প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অনুষদ সদস্যগণ যারা ন্যূনতম তিন বছর প্রশিক্ষণ প্রদানের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারাও প্রশিক্ষক পুলে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  4. আবেদনকারীর ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং নীতিমালায় বর্ণিত অন্যান্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং এর সপক্ষে প্রমাণাদি সংযোজন করতে হবে।
  5. আবেদনকারীগণের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ক ও খ শ্রেণিতে প্রশিক্ষকের তালিকা প্রণয়ন করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ কবে?

প্রশিক্ষক পুল গঠন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২২’ এর আলোকে প্রশিক্ষক পুলে অর্ন্তভুক্তির জন্য আবেদন আহবান করা হয়েছে। বর্ণিত সকল তথ্যাদি সন্নিবেশ করে স্বয়ংসম্পূর্ণ আবেদন আগামী ২০/০২/২০১৩ তারিখের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছাতে হবে।প্রাপ্ত আবেদনসমূহ যথাযথ বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চূড়ান্ত করা হবে।

প্রশিক্ষকপুল গঠন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৩। প্রশিক্ষক হতে ন্যূনতম ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তা হতে হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *